jagannathpurpotrika-latest news

আজ, , ৩০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সংবাদ শিরোনাম :
«» যুক্তরাজ্যের ভিসা সহজ হচ্ছে বাংলাদেশিদের জন্য ! «» চেয়ারম্যান পদে বাবা-ছেলে ভোট যুদ্ধে মাঠে «» জগন্নাথপুরে বিরোধীয় ভূমি পরিদর্শনে বাংলাদেশ আইন সহায়তা কেন্দ্রের প্রতিনিধি দল «» মসজিদের জায়গা নিয়ে সংঘর্ষে আহত আরেকজনের মৃত্যু «» সৈয়দপুর দরগাহ জামে মসজিদ নির্মাণ- সংস্কারে সমালোচনার অবসান চাই «» সুনামগঞ্জে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস পালিত «» সিলেট সদর উপজেলা নির্বাচনে জনপ্রিয়তায় ও ভোটের মাঠে অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিক এগিয়ে «» সুনামগঞ্জে অ্যারাউন্ড দ্যা ভিলেজের গজল প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত «» শান্তিগঞ্জে উজানীগাঁও বাসস্টেন্ডে উপজেলা সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী সাদাত মান্নান অভির পক্ষে মতবিনিময় সভা «» রাস্তা দখল নিয়ে সংঘর্ষে আহত- ৩০



সিলেটে স্বামী-স্ত্রী আলাদা থাকার প্রবণতা বাড়ছে, কারণ যা জানা গেল

ডেস্ক রিপোর্ট :: সিলেটে স্বামী থেকে স্ত্রীদের আলাদা থাকার প্রবণতা বাড়ছে। বিশেষ করে স্বামীর কর্মসংস্থান, শিক্ষা কিংবা অভিবাসনের মতো কারণে অনেক নারীকে আলাদা থাকতে হয়। মনোবিজ্ঞানীরা বলছেন, স্বামী ও স্ত্রী আলাদা থাকার কারণে ব্যাহত হচ্ছে আদর্শ পরিবার গড়ে ওঠার প্রক্রিয়া। বিশেষ করে সমাজের আদিম এ প্রতিষ্ঠানের মনস্তাত্ত্বিক, অর্থনৈতিক, স্বাস্থ্য সুরক্ষা, নিরাপত্তা ও সামাজিকীকরণের বৈশিষ্ট্যগুলো নানাভাবে ক্ষুণ্ন হচ্ছে।

 

জরিপে দেখা গেছে, স্বামী থেকে পৃথক থাকার হার সিলেটে ১৮ শতাংশ। স্বামী থেকে আলাদা বসবাস করা নারীদের তথ্য উঠে এসেছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের জাতীয় জনসংখ্যা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের (নিপোর্ট) সর্বশেষ জরিপে। এর নাম ‘বাংলাদেশ জনমিতি ও স্বাস্থ্য জরিপ (২০২২)’। জরিপের তথ্য অনুযায়ী, দেশে বিবাহিত নারীদের ১৬ শতাংশ স্বামী থেকে পৃথক থাকছেন। সবচেয়ে বেশি আলাদা থাকতে হয় গ্রামাঞ্চলের নারীদের। তাদের মধ্যে এ হার ১৭ দশমিক ৫ শতাংশ। শহরে ১২ দশমিক ৫ শতাংশ। শিক্ষা ও অর্থনীতির মানদণ্ডে উচ্চ শিক্ষিত ও ধনী পরিবারের নারীদের মধ্যে এ হার বেশি।

 

নৃবিজ্ঞানী ও মনোবিজ্ঞানীরা বলছেন, পরিবারের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে স্বামী ও স্ত্রী দুই পক্ষেরই সমান ভূমিকা রয়েছে। এখানে এক পক্ষের শারীরিক অনুপস্থিতি আদর্শ পরিবার গড়ে ওঠার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে সন্তানের শিক্ষা, নৈতিকতা ও সম্মানবোধ।

 

৩৮ শতাংশ বিবাহিত নারী জানান, তাদের স্বামীরা (জরিপকাল থেকে) গত এক বছরের মধ্যে পরিবারের সঙ্গে একবারও সাক্ষাৎ করেননি। এই হার শহরে ৩৫ দশমিক ৯ শতাংশ। গ্রামে ৩৮ দশমিক ৩ শতাংশ। ৪১ শতাংশ নারীর স্বামী বছরে এক থেকে পাঁচবার পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। বছরে ছয় থেকে ১১ বার পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাতে এসেছেন ১১ শতাংশ স্বামী। আর প্রতি মাসে এক বা একাধিকবার পরিবারের সাক্ষাৎ পেয়েছেন ১১ শতাংশ স্বামী।

 

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমনও দেখা যায় অনেক নারী দুরারোগ্য ব্যাধিতে ভুগছেন। কিন্তু স্বামী কাছে না থাকার কারণে তার চিকিৎসা পেতে বিলম্ব হচ্ছে। আবার বাবা না থাকার কারণে হাসপাতালে অনেক শিশু চিকিৎসার জন্য দেরিতে আসছে।

 

অভিবাসন নিয়ে কাজ করা বেসরকারি সংস্থা রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্টস রিসার্চ ইউনিট (রামরু) ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. তাসনীম সিদ্দিকী বলেন, ‘সমাজ বদলে যাওয়ার কারণে নারী-পুরুষের পরিবার থেকে পৃথক হতে হচ্ছে। এ সংকট মোকাবেলায় সমাজ ও রাষ্ট্রকে এগিয়ে আসতে হবে। কিন্তু আমাদের দেশে সেটি দেখা যাচ্ছে না। মাইগ্রেশনের বিষয়টি চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে বেশি।’

এখানে ক্লিক করে শেয়ার করুণ