সৈয়দ মবনু:
আবদুল হামিদ মানিক, প্রতিভাবান শব্দ এবং বাক্যের এক যোগ্য কারিগর। তাঁর সাথে প্রথম পরিচয় মরহুম ওয়াহিদ খানের অধুনালুপ্ত সাপ্তাহিক সমাচার অফিসে, আমার শৈশবে। সময়টা হবে ১৯৭৮/৭৯ কিংবা ৮০ খ্রিস্টাব্দ।
আবদুল হামিদ মানিকের পরিচয় তখন আমার কাছে মামার বন্ধু মামা। তিনি আমার বড়মামা কবি ফরীদ আহমদ রেজার বন্ধু। এরপর থেকে জানা-শোনা। আমি কৈশোর থেকেই লেখালেখি করি। তখনতো আর ফেইসবুক ছিলো না। পত্রিকায় প্রকাশের একটা আকাঙ্খা থাকতো। চেষ্টা করতাম লিখতে, সাহস হতো না পত্রিকায় দিতে। তবে পত্রিকা অফিসে গেলে ভালো লাগতো। সেই সময়ের পত্রিকা তো ছিলো ওয়হিদ খানের সাপ্তাহিক সমাচার, আমীনূর রশীদের সাপ্তাহিক যুগভেরী, রাগিব হোসেন চৌধুরীর জাগরণ, ফায়জুর রহমানের সাপ্তাহিক সিলেটের ডাক। এই সব পত্রিকায়ই কৈশোর থেকে আমার যাওয়া-আসা ছিলো বিভিন্ন কারণে। আবদুল হামিদ মানিক সমাচারে কাজ করলেও এই সকল পত্রিকায় লিখতেন। এভাবে লেখক আবদুল হামিদ মানিক নাম ও ব্যক্তির সাথে জড়িয়ে যাই আমি কৈশোর থেকে। যৌবনে এসে দেখি তিনি ভালো আলোচক। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তিনি মূখ্য বা প্রধান আলোচক। এরপর কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের প্লাটফর্মে এক সাথে কাজ করার সুযোগে আরও ঘনিষ্ঠতা। তিনি যখন আল ইসলাহ সম্পাদক তখন আমি তাঁর সহযোগী, তিনি যখন সাধারণ সম্পাদক, তখন আমি সহসাধারণ সম্পাদক। এভাবে দীর্ঘ পথ চলা। বর্তমানে তিনি অসুস্থ। গত বৃহস্পতিবার অসুস্থতার কারণে কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের ১২শতম সাহিত্য আসরে আসতে পারেননি। তাই আমরা তাঁকে সম্মননা সনদটি বাসায় গিয়ে দিয়ে আসি। আমার সাথে ছিলেন সাবেক সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান মাহমুদ রাজা চৌধুরী এবং বর্তমান পাঠাগার সম্পাদক সৈয়দ মুহাম্মদ তাহের।
লেখক: কবি ও গবেষক।