আজ, , ২১শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সংবাদ শিরোনাম :
«» দুর্নীতির মহামারী থেকে দেশকে রক্ষার জন্য নৈতিক মূল্যবোধ সম্পন্ন নেতৃত্ব তৈরি করতে হবে- ছাত্র মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি «» ইংলিশ টিচার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ ইউকে শাখার আহবায়ক সুনামগঞ্জের নয়ন «» শান্তিগঞ্জের জয়কলসে বিএনপির কর্মীসভা «» খেলাফত প্রতিষ্ঠার কাজ করে জীবনের শেষ সময়টুকু অতিবাহিত করতে চাই- এড. মাও. শাহীনুর পাশা চৌধুরী «» ওয়াজ মাহফিল নিয়ে একটি পক্ষের ফায়দা হাসিলের চেষ্টা «» বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে দুই সন্তানের জননীর অনশন «» কথা বলব ভেবে চিন্তে «» বিশ্বনাথে দেবরের বিরুদ্ধে ভূমি দখলের অভিযোগ ভাবির «» শায়খুল হাদিস রাহ. আজীবন খেলাফত প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সংগ্রাম করে গেছেন- মাওঃ নুরুদ্দিন «» শান্তিগঞ্জে স্থাপিত হচ্ছে বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুল: আনুষ্ঠানিক ভাবে ২ কোটি টাকা মূল্যের জায়গা দান করলেন ডা. আবু সাঈদ ও তাঁর সহধর্মিণী ডা. সুলতানা





তিন বছর পর নিখোঁজ নারীর খোঁজ মিলল পরকীয়া প্রেমিকের বাড়িতে

ডেস্ক রিপোর্ট :: সেখানে টানা তিনবছর ধরে নিখোঁজ এক তরুণী, সবাই ধরেই নিয়েছিল সে হয়তো মারা গেছেন। শ্বশুরবাড়ি ও বাবার বাড়ির পক্ষ থেকে একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগও দায়ের করা হয়েছিল। অবশেষে সম্প্রতি খোঁজ মিলল ওই নারীর। ঘটনাটি ভারতের উত্তরপ্রদেশের। বাড়ি থেকে কয়েকশো কিলোমিটার দূরে পরকীয়া প্রেমিকের বাড়ি থেকে তাকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এক প্রতিবেদনে চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা প্রকাশ করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তিন বছর ধরে মৃত বলে মনে করা উত্তরপ্রদেশের গোন্ডার ৩০ বছর বয়সী এক নারীকে গত রোববার গভীর রাতে লখনৌতে জীবিত পাওয়া গেছে। ওই নারীর নাম কবিতা এবং তিনি ২০২১ সালে হঠাৎ করেই নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন। এই তিন বছরে তার পরিবার তার শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে হত্যার মামলা দায়ের করেছে।

আবার তার স্বামী তার বাবার বাড়ির বিরুদ্ধে অপহরণের মামলা দায়ের করেছে। কিন্তু, তিন বছরে কোথাও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। ধরেই নেওয়া হয়েছিল, তার মৃত্যু হয়েছে। তবে এতদিনে তার সন্ধান পেয়েছে উত্তর প্রদেশ পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, লখনৌতে খোঁজ পাওয়া গেছে ওই নারীর। গত তিন বছর ধরে সেখানে তিনি তার প্রেমিকের সঙ্গে বসবাস করছেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, ২০১৭ সালের ১৭ ডিসেম্বর দুয়া বাজার এলাকার বিনয় কুমারকে বিয়ে করেছিলেন তিনি। এরপর ২০২১ সালের ৫ মে হঠাৎ করেই শ্বশুরবাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যান তিনি। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি।

 

কবিতার বাপের বাড়ির লোকজন, তার শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনে। তার স্বামী, দেবর এবং শাশুড়ির বিরুদ্ধে কোতোয়ালি নগর থানায় মামলা দায়ের করা হয়। অন্যদিকে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে কবিতার ভাই অখিলেশ-সহ তার বাপের বাড়ির ছয়জনের বিরুদ্ধে পাল্টা মামলা করেছিলেন কবিতার স্বামী বিনয় কুমার। তিনি অভিযোগ করেন, বাপের বাড়ির লোকজনই কবিতাকে অপহরণ করেছে।

 

দুই মামলারই তদন্ত চলছিল। কিন্তু কবিতার কোনও খোঁজ মেলেনি। বিষয়টি হাইকোর্টে পর্যন্ত গড়ায়। হাইকোর্ট জানতে চায় পুলিশ কী কী ব্যবস্থা নিয়েছে। এরপর, উত্তর প্রদেশ পুলিশের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ এবং কোতোয়ালি থানার পুলিশ যৌথভাবে এই মামলার তদন্ত শুরু করে। অবশেষে সম্প্রতি কবিতা ও তার প্রেমিক সত্য নারায়ণ গুপ্তর খোঁজ পায় তদন্তরকারীরা। লখনৌয়ের ডালিগঞ্জ এলাকায় একটি বাড়িতে গত তিন বছর ধরে বাস করছিলেন তারা।

এখানে ক্লিক করে শেয়ার করুণ