আজ, , ২১শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সংবাদ শিরোনাম :
«» দুর্নীতির মহামারী থেকে দেশকে রক্ষার জন্য নৈতিক মূল্যবোধ সম্পন্ন নেতৃত্ব তৈরি করতে হবে- ছাত্র মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি «» ইংলিশ টিচার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ ইউকে শাখার আহবায়ক সুনামগঞ্জের নয়ন «» শান্তিগঞ্জের জয়কলসে বিএনপির কর্মীসভা «» খেলাফত প্রতিষ্ঠার কাজ করে জীবনের শেষ সময়টুকু অতিবাহিত করতে চাই- এড. মাও. শাহীনুর পাশা চৌধুরী «» ওয়াজ মাহফিল নিয়ে একটি পক্ষের ফায়দা হাসিলের চেষ্টা «» বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে দুই সন্তানের জননীর অনশন «» কথা বলব ভেবে চিন্তে «» বিশ্বনাথে দেবরের বিরুদ্ধে ভূমি দখলের অভিযোগ ভাবির «» শায়খুল হাদিস রাহ. আজীবন খেলাফত প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সংগ্রাম করে গেছেন- মাওঃ নুরুদ্দিন «» শান্তিগঞ্জে স্থাপিত হচ্ছে বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুল: আনুষ্ঠানিক ভাবে ২ কোটি টাকা মূল্যের জায়গা দান করলেন ডা. আবু সাঈদ ও তাঁর সহধর্মিণী ডা. সুলতানা





১৯ বছর পর দেশে ফিরছেন যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপিত সিলেটের এমএ মালিক

ডেস্ক রিপোর্ট :: দীর্ঘ ১৯ বছর পর দেশে ফিরবেন যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এম এ মালিক। আগামী ১৩ অক্টোবর দুপুরে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবেন তিনি। বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানাবেন বিএনপি নেতারা। বিমানবন্দর থেকে তিনি সরাসরি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে যাবেন। সেখানে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে নয়াপল্টন কার্যালয়ে যাবেন। দীর্ঘদিন পর দেশের ফেরার প্রতিক্রিয়ায় এম এ মালিক বলেন, আমি খুব ইমোশনাল হয়ে পড়েছি। আমার মায়ের শেষ ইচ্ছা ছিল; দেশের মাটিতে যেন তাকে কবর দেওয়া হয়। কিন্তু শেখ হাসিনা সরকারের বাধায় আমার মায়ের মরদেহ দেশে নিতে পারিনি। এমনকি আমার বাবা ও ছোট ভাইয়ের মরদেহও দেশে নিয়ে কবর দিতে পারি নাই। শেখ হাসিনা সরকার আমার পাসপোর্ট আটকে রেখেছিল। ৫ই আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের ফলে দীর্ঘ ১৮ বছর পর আমি পাসপোর্ট ফিরে পেয়েছি। এখন দেশে ফিরলে আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধব ও রাজনৈতিক নেতাসহ সবার সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ হবে- এটা ভেবে আমি খুবই এক্সাইটেড।

 

এমএ মালিকের সফরসঙ্গী হিসেবে দেশে ফিরবেন ছাত্রদলের ইউরোপ শাখার সাবেক সভাপতি প্রভাষক খলিলুর রহমান খোকন। তিনি জানিয়েছেন, ১১ অক্টোবর যুক্তরাজ্যে থেকে রওনা দেবেন এমএ মালিক। ১২ অক্টোবর সৌদি আরবে পৌঁছে পবিত্র ওমরাহ হজ পালন করবেন। সেখান থেকে ১৩ অক্টোবর দুপুরের পর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে পৌঁছাবেন। এরপর ঢাকায় চারদিন অবস্থান করে বিএনপির সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। ১৭ অক্টোবর তিনি নিজের জন্মস্থান সিলেটে যাবেন। সেখানে দুই সপ্তাহ থাকবেন।

 

সর্বশেষ ২০০৫ সালে দেশে এসেছিলেন সিলেটের দক্ষিণ সুরমার বাসিন্দা বিএনপি নেতা এমএ মালিক। এরপর আওয়ামী লীগ সরকারের রোষানলে পড়ে দেশে ফিরতে পারেননি তিনি। ওয়ান-ইলেভেনের পর থেকেই যুক্তরাজ্যে ধারাবাহিকভাবে আওয়ামী লীগ সরকারবিরোধী নানা কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দিয়ে আলোচনায় ছিলেন সাবেক কেন্দ্রীয় এই যুবদল নেতা।

 

২০২৩ সালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘে সফরকালে ওয়াশিংটনে প্রতিবাদ কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন তিনি। সেসময় কর্মসূচি প্রত্যাহার করার জন্য এমএ মালিককে আলোচনায় বসতে চায়ের দাওয়াত দেন শেখ হাসিনা। তা প্রত্যাখ্যান করে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে বিদেশে চিকিৎসার অনুমতির পাশাপাশি বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেয়ার প্রস্তাব দেন তিনি।

এখানে ক্লিক করে শেয়ার করুণ