আজ, , ২২শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সংবাদ শিরোনাম :
«» জগন্নাথপুরে দুই শতাধিক পরিবারে প্রবাসী শায়েস্তা মিয়ার শীতবস্ত্র বিতরণ «» জগন্নাথপুরে বিয়ের ৪ মাস পর গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার «» ভিসা কেন্দ্র বন্ধ হওয়ায় দিল্লীর বিকল্প সুবিধা বাড়ছে ঢাকায় «» নির্বাচনের পর নিজের কাজে ফিরে যাবো: প্রধান উপদেষ্টা «» রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় নিজ এলাকায় দাফন করা হবে হারিছ চৌধুরীর লাশ «» মসজিদের টাকা নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে নারীসহ আহত ৫০ «» দুর্নীতির মহামারী থেকে দেশকে রক্ষার জন্য নৈতিক মূল্যবোধ সম্পন্ন নেতৃত্ব তৈরি করতে হবে- ছাত্র মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি «» ইংলিশ টিচার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ ইউকে শাখার আহবায়ক সুনামগঞ্জের নয়ন «» শান্তিগঞ্জের জয়কলসে বিএনপির কর্মীসভা «» খেলাফত প্রতিষ্ঠার কাজ করে জীবনের শেষ সময়টুকু অতিবাহিত করতে চাই- এড. মাও. শাহীনুর পাশা চৌধুরী





জাতীয় নাগরিক কমিটির আত্মপ্রকাশ

ডেস্ক রিপোর্ট :: ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের পতনের পর ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ এবং নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের চলমান লড়াই সফল করার লক্ষ্যে জাতীয় নাগরিক কমিটির আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। মুহাম্মাদ নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীকে আহ্বায়ক এবং আখতার হোসেনকে এ কমিটির সদস্য সচিব করা হয়েছে। আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী কিছুদিন আগ পর্যন্ত এবি পার্টির সহকারী তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ছিলেন। এর আগে তিনি বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতৃত্ব দিয়েছেন।

 

আর সদস্য সচিব আখতার হোসেন গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির আহ্বায়ক। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক। ৫৫ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা ধারণ করে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে রাষ্ট্রের সংস্কার ও পুনর্গঠনের লক্ষ্যে কাজ করবে। গতকাল বিকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এক সমাবেশের মাধ্যমে এ কমিটির আত্মপ্রকাশ ঘটে। কমিটির মুখপাত্র করা হয়েছে সামান্তা শারমিনকে। বাকি ৫২ জন কমিটিতে সদস্য হিসেবে কাজ করবেন। সংহতি, প্রতিরোধ, পুনর্গঠন মূলনীতিকে সামনে রেখে গঠিত নাগরিক কমিটির ৮টি লক্ষ্য তুলে ধরেন মুখপাত্র সামান্তা শারমিন।

 

সেগুলো হলো- ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্যদিয়ে প্রতিফলিত হওয়া সামষ্টিক অভিপ্রায় ও গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষাকে সমুন্নত রাখা; ছাত্র-জনতার ওপর সংঘটিত নির্মম হত্যাযজ্ঞে জড়িতদের বিচারের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় কর্মসূচি গ্রহণ করা; রাষ্ট্রের জরুরি সংস্কার ও পুনর্গঠন করার লক্ষ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা ও জবাবদিহিতার পরিসর তৈরি করা; বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক উদ্যোগের সঙ্গে আলোচনা, মতবিনিময় ও গণমুখী কর্মসূচির মাধ্যমে সর্বস্তরের জনতাকে সংহত করার লক্ষ্যে কাজ করা; দেশের সর্বস্তরের সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় নেতৃত্বকে সংহত করে গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা সমুন্নত করে রাখার লক্ষ্যে ফ্যাসিবাদী কাঠামো ও শক্তির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ অব্যাহত রাখা; জনস্বার্থের পক্ষে নীতি নির্ধারণের লক্ষ্যে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ এবং প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে বিষয়ভিত্তিক সংলাপের আয়োজন করা; রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানসমূহ পুনর্গঠনের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় নীতি নির্ধারণী প্রস্তাবনা তৈরি ও সেটা বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় রাজনৈতিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা; গণপরিষদ গঠন করে গণভোটের মাধ্যমে নতুন গণতান্ত্রিক সংবিধান তৈরির জন্য গণআলোচনার আয়োজন করা। কমিটি ঘোষণা করে আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, আমরা চাই এই রাষ্ট্রকে পুনর্গঠন করতে। আমরা চাই জনস্বার্থের পক্ষে নীতিনির্ধারণ করতে। কমিটির মুখপাত্র হিসেবে রয়েছেন সামান্তা শারমিন।

 

আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে তিনি কমিটি গঠনের উদ্দেশ্য তুলে ধরেন। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, একটি পক্ষ রাষ্ট্রের পুনর্গঠনকে বাধাগ্রস্ত করছে। ফলে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্যে রাজপথে নেমে আসা জনতাকে সংগঠিত করা, ৮ই আগস্ট গঠিত সরকারকে যুগপৎ সহযোগিতা করা ও জবাবদিহিতার আওতায় আনা, তদুপরি জনস্বার্থের পক্ষে নীতিনির্ধারণে ভূমিকা রাখার লক্ষ্যে আমরা নাগরিক দায়িত্ব পালনের অঙ্গীকার করছি। আমরা মনে করি, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান ও প্রতিরোধের চেতনা বাংলাদেশকে নতুনভাবে গড়ে তোলার শক্তি। এই নতুন রাজনৈতিক জনগোষ্ঠীকে স্থিতিশীল ও শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক বন্দোবস্তের মধ্যে দিয়ে পূর্ণ বিজয় অর্জন করতে হবে। তিনি বলেন, অচিরেই সকল মহানগর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের অংশগ্রহণকারী সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় নেতৃত্ব এবং বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে আমরা আলোচনা করবো। তৃণমূল পর্যন্ত এ কমিটির বিস্তৃতি ঘটানোর মাধ্যমে আমরা ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের শক্তিকে সংহত করে বাংলাদেশ রাষ্ট্রকে পুনর্গঠনের লক্ষ্যে কাজ করে যাবো। কমিটির ৫২ সদস্য হলেন- আরিফুল ইসলাম আদীব, সাইফ মোস্তাফিজ, মনিরা শারমিন, নাহিদা সারোয়ার চৌধুরী, সারোয়ার তুষার, মুতাসিম বিল্লাহ, আশরাফ উদ্দিন মাহদি, আলাউদ্দিন মোহাম্মদ, অনিক রায়, জাবেদ রাসিন, মো. নিজাম উদ্দিন, সাবহানাজ রশীদ দিয়া, প্রাঞ্জল কস্তা, মঈনুল ইসলাম তুহিন, আব্দুল্লাহ আল আমিন, হুযাইফা ইবনে ওমর, শ্রবণা শফিক দীপ্তি, সায়ক চাকমা, সানজিদা রহমান তুলি, আবু রায়হান খান, মাহমুদা আলম মিতু, অলিক মৃ, সাগুফতা বুশরা মিশমা, সৈয়দ হাসান ইমতিয়াজ, তাসনিম জারা, মোহাম্মদ মিরাজ মিয়া, মো. আজহার উদ্দিন অনিক, মো. মেসবাহ কামাল, আতাউল্লাহ, এস. এম. শাহরিয়ার, মানজুর-আল-মতিন, প্রীতম দাশ, তাজনূভা জাবীন, অর্পিতা শ্যামা দেব, মাজহারুল ইসলাম ফকির, সালেহ উদ্দিন সিফাত, মুশফিক উস সালেহীন, তাহসীন রিয়াজ, হাসান আলী খান, মো. আব্দুল আহাদ, ফয়সাল মাহমুদ শান্ত, মশিউর রহমান, আতিক মুজাহিদ, তানজিল মাহমুদ, আবদুল্ল্যাহ আল মামুন ফয়সাল, মো. ফারহাদ আলম ভূঁইয়া, এস.এম. সুজা, মো. আরিফুর রাহমান, কানেতা ইয়া লাম লাম, সৈয়দা আক্তার, স্বর্ণা আক্তার, সালমান মুহাম্মাদ মুক্তাদির, আকরাম হুসেইন।

 

কমিটি ঘোষণা করার পর এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাতীয় নাগরিক কমিটি একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠনের মাধ্যমে কাজ শুরু করছে। অচিরেই সব মহানগর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের অংশগ্রহণকারী সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় নেতৃত্ব এবং বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে তারা আলোচনা করবেন। তৃণমূল পর্যন্ত এ কমিটির বিস্তৃতি ঘটানোর মাধ্যমে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের শক্তিকে সংহত করে বাংলাদেশ রাষ্ট্রকে পুনর্গঠনের লক্ষ্যে কাজ করে যাবে।

এখানে ক্লিক করে শেয়ার করুণ