আজ, , ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সংবাদ শিরোনাম :
«» স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণ করে ভিডিও ধারণ, আটক ৩ «» ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডে জড়িতদের খুঁজতে সহযোগিতা করুন: প্রধানমন্ত্রী «» ৭টি চোরাই সিএনজি অটোরিকশা উদ্ধার, আটক ৭ «» যুক্তরাজ্যে সিলেটি বংশোদ্ভূত আপসানা বেগমসহ ৭ ব্রিটিশ এমপি বহিষ্কার! «» স্থগিত হওয়া এইচএসসি পরীক্ষা ১১ আগস্টের পর «» জগন্নাথপুরে ছাত্রলীগ থেকে যারা পদত্যাগ করলেন «» শান্তিগঞ্জে কোটা সংস্কার আন্দোলনে উত্তাল রাজপথ, ঘন্টাব্যাপী সড়ক যোগাযোগ বন্ধ «» ইউপি চেয়ারম্যান আমির হোসেন রেজার প্রতি অনাস্থা জ্ঞাপন করলেন পরিষদের ১১ মেম্বার «» সুনামগঞ্জে কোটা সংস্কারের সমর্থনে বিক্ষোভ, গ্রেফতার ১ «» সিলেটে এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত





মোবাইল ও ইন্টারনেট ব্যবহারে গুনতে হবে বাড়তি টাকা!

ডেস্ক রিপোর্ট :: মোবাইল ব্যবহারে খরচের বোঝা চাপছে গ্রাহকের কাঁধে। আসছে বাজেটে হ্যান্ডসেট উৎপাদনে ৫ শতাংশ ভ্যাট বাড়াতে চায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এতে প্রতিটি হ্যান্ডসেটে দাম বাড়তে পারে এক হাজার টাকা। সম্পূরক শুল্ক ২০ শতাংশ করার প্রস্তাবে টকটাইম ও ইন্টারনেট ব্যবহারে ১০০ টাকায় বাড়তি গুনতে হবে প্রায় ৬ টাকা।

ফেসবুক ব্রাউজিং থেকে পড়াশোনা, কেনাকাটা, দাফতরিক কার্জকম- সব ক্ষেত্রেই বেড়েছে ইন্টারনেট ব্যবহার। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) বলছে, ১৯ কোটি ২২ লাখ সিমকার্ডধারীর মধ্যে ইন্টারনেট ব্যবহার করেন ১২ কোটির বেশি গ্রাহক।

বর্তমানে মোবাইলে কথা বলায় ১০০ টাকার রিচার্জে ৩৩ টাকার বেশি কর দেন গ্রাহকরা। একই পরিমাণ কর দিতে হয় ইন্টারনেটেও। এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, আসছে বাজেটে উভয় ক্ষেত্রে সম্পূরক শুল্ক ৫ শতাংশ বাড়িয়ে ২০ শতাংশ করার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। এতে অতিরিক্ত ৫ দশমিক ৭৫ টাকা কর বাড়বে। ফলে ১০০ টাকার মোবাইল সেবায় সর্বমোট কর দিতে হবে ৩৯ টাকা, যা হবে দক্ষিণ এশিয়ায় সবোর্চ্চ।

 

মোবাইল অপারেটররা বলছে, সম্পূরক শুল্ক পাঁচ শতাংশ বাড়িয়ে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা রাজস্ব মিলবে। করের পরিবর্তে ডাটা ব্যবহার বাড়িয়ে এই রাজস্ব আদায় সম্ভব। দেশে একজন গ্রাহক মাসে গড়ে সাড়ে ৬ জিবি ডাটা ব্যবহার করেন; ভারতে যার পরিমাণ সাড়ে ১৭ জিবি।

 

স্বস্তির খবর নেই মোবাইল ফোনেও। বর্তমানে হ্যান্ডসেট উৎপাদনে তিন থেকে সাড়ে সাত শতাংশ পর্যন্ত ভ্যাট দিতে হয় ১৭টি প্রতিষ্ঠানকে। বিক্রয় পর্যায়ে রয়েছে ৫ শতাংশ ভ্যাট। আসছে বাজেটে এখাতে ভ্যাট বাড়তে পারে আরও ৫ শতাংশ। এতে ৫০০ কোটি টাকা রাজস্ব পাবে সরকার। তবে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে আনা ফোন বিক্রি বন্ধ হলে এখাত থেকে বছরে রাজস্ব মিলবে প্রায় এক হাজার ২০০ কোটি টাকা।

মোবাইল ফোন ইন্ডাস্ট্রি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সহসভাপতি রেজোয়ানুল হক বলেন, ‘৫০০ থেকে এক হাজার টাকা পর্যন্ত প্রতিটি পণ্যের দাম বেড়ে যেতে পারে বলে ধারণা করছি।’

 

যদিও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলছেন, মোবাইল সেবায় এবং হ্যান্ডসেট সংযোজনে কর ভার কমাতে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রস্তাব দিয়েছেন। পলক বলেন, ‘ইন্টারনেটের দাম এবং ভ্যাট কমানোর ব্যাপারে অর্থমন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী এবং এনবিআরের চেয়ারম্যানের কাছে জমা দিয়েছি।’ বর্তমানে ব্রডব্যান্ড সেবায় পাঁচ শতাংশ করে তিন স্তরে ১৫ শতাংশ ভ্যাটের বোঝা বহন করতে হচ্ছে এক কোটি ৩৪ লাখ গ্রাহককে।

এখানে ক্লিক করে শেয়ার করুণ