আজ, , ২০শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

সংবাদ শিরোনাম :
«» ‘আলেম-ওলামাদের সম্মিলিত সিদ্ধান্তের কাছে রাষ্ট্রের সিদ্ধান্ত বদলে যেতে বাধ্য’ «» জাতীয় সংসদে ৬০০ আসন করার সুপারিশ «» জগন্নাথপুরে পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার ৭ «» জায়গা নিয়ে বিরোধে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা «» সুনামগঞ্জ মেডিকেল কলেজে ওয়ার্ড সংকট, প্র্যাকটিক্যাল শিক্ষায় বিপর্যয়, শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন «» বিশ্বনাথে মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে শিক্ষক গ্রেফতার «» যুক্তরাষ্ট্রে বাতিল হচ্ছে বাংলাদেশিদের ভিসা! «» ছাত্র মজলিস সিলেট জোনের দ্বি-মাসিক জোনাল দায়িত্বশীল সভা অনুষ্ঠিত «» জগন্নাথপুরে পলাতক আসামী গ্রেফতার- ২ «» সরকারের সংস্কার কাজে সমর্থন জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র





ছাতকে লাশ দাফনে বাধা, এলাকাবাসীর প্রতিবাদ সভা

নিজস্ব প্রতিবেদক :: সুনামগঞ্জের ছাতকে জানাযার নামাজ শেষে দোয়া করতে না দেয়ায় লাশ দাফনে বাধার ঘটনায় এলাকাবাসীর বিশাল প্রতিবাদ সভা অনুষ্টিত হয়েছে। সোমবার দুপুরে উপজেলার জাউয়াবাজার ইউনিয়নের গনিপুর গ্রামের নজরুল ইসলামের বাড়ীতে এসভা হয়। মাওলানা মুফতি আবু সাঈদ আহমদের সভাপতিত্বে ও জাউয়াবাজার দারুল হাদিস মাদরাসার শিক্ষক মাওলানা মনজুর আহমদের পরিচালনায় অনুষ্টিত প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন, মাওলানা খালিদ আহমদ, কাজি নজরুল ইসলাম, সাবেক মেম্বার ফয়সল আহমদ, জোবায়ের আহমদ খান, সুরুক মিয়া, আমির আলী, নুরুজ আলী, ধন মিয়া, মখদ্দুস আলী খান, আব্দুস ছমির, আব্দুল জাহির, রমিজ উদ্দিন, আব্দুল্লাহ, জামাল খা, আব্দুর রউফ, নুরুল আমিন, নুর মিয়া, জহুর উদ্দিন, আতাউর রহমান, মোক্তাদির আহমদ প্রমুখ। বক্তারা বলেন, গত ১৩ মার্চ উপজেলার জাউয়াবাজার ইউনিয়নের গণিপুর গ্রামের কাজি নজরুল ইসলাম দুলু ও মাওলানা কাজি খালেদ আহমদের মায়ের জানাযার নামাজ শেষে দোয়া করতে না দেয়ায় লাশ বহনের খাট ধরে টানাটানি, ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে একদল মুসল্লী। তারা বলে জানাযার নামাজ শেষে দোয়া করতে দেয়া না হলে লাশ দাফন করতে দেয়া যাবেনা। লাশ বহনকারী খাটিয়া কবর স্থানের দিকে নিয়ে রওয়ানা হলে একাংশ মুসল্লী বাধা প্রদান করে এবং খাটিয়া আটকানোর চেষ্টা করে তারা। এসময় বিভিন্ন এলাকার মুসল্লিগনের সহযোগিতায় লাশ দাফন সম্পন্ন করা হয়।পরে মরহুমের আত্মীয় স্বজনকে এলাকার লোকজনের সহযোগিতায় তাদের বাড়িতে পৌঁছে দেয়া হয়। পরের দিন শুক্রবার মরহুমের ছেলে খুর্শেদ জুম্মার নামাজে মসজিদে গেলে গ্রামের মনির মিয়া মুর্শেদ মিয়াকে ডেকে বলেন তোমরা এই মসজিদে আর আসবে না, তোমাদেরকে পঞ্চায়েত থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। গ্রাম পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে তোমাদেরকে এক ঘরে করে রাখা হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে কাজী খুর্শিদ মিয়ার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছেন বলে আমরা মনে করছি। এমন বর্বরতা আইয়ামে জাহিলিয়াতকে হার মানায়। এঘটনার তিব্র নিন্দা জানান এলাকাবাসী। এসময় সাদারাই, গনিপুর, পাগনারপাড়, ছাতারপই ও পিটাপই গ্রামের গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। স্থানীয় ইউপি সদস্য রুমেল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোখলেছুর রহমান আকন্দ বলেন, ঘটনার কথা শুনেছি। কোন ব্যক্তিকে এক ঘরে করে রাখার নিয়ম নেই। এ ঘটনায় কোন অভিযোগ পাইনী।

এখানে ক্লিক করে শেয়ার করুণ