আজ, , ১৮ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সংবাদ শিরোনাম :





আওয়ামী লীগ নেতার লাশ উদ্ধার

ডেস্ক রিপোর্ট :: এক আওয়ামী লীগের নেতার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের শরীরে ধারাল অস্ত্রের আঘাত থাকায় এটি হত্যাকাণ্ড বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত করেছে পুলিশ। শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন থানার ওসি।

 

লাশ উদ্ধার করা হয় বরিশালের হিজলায় সয়াবিন খেত থেকে। নিহত জামাল মাঝি বরিশাল-৪ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য পংকজ দেবনাথের অনুসারী। তিনি উপজেলার ধুলখোলা ইউনিয়নের সাত নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বলে এমপি পংকজ জানিয়েছেন।  শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন হিজলা থানার ওসি জুবাইর।

 

নিহতের স্ত্রী আঁখি বেগম জানান, রাতে বাড়ি না ফেরায় ২টার দিকে স্বামী জামাল মাঝির মোবাইল ফোনে কল দেওয়া হয়। তখন তিনি জানান- ভালো আছেন ও নিরাপদে আছেন। সকাল ৯টার দিকে তিনি জানতে পারেন তার স্বামীর লাশ খেতে পড়ে আছে।

 

আঁখির অভিযোগ ধুলখোলা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন ঢালীর নেতৃত্বে সন্ত্রাসী বাহিনী তার স্বামীকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করেছে।

 

এমপি পংকজ দেবনাথ জানান, গত ২ মার্চ হিজলার ধুলখোলা ইউনিয়নের সাত নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জামাল মাঝির বাড়িতে হামলা করে সংরক্ষিত সংসদ সদস্য ড. শাম্মী আহমেদ গ্রুপের ইউপি চেয়ারম্যান জামাল ঢালীর নেতৃত্বে ৪০-৫০ জন সন্ত্রাসী।

 

তারা জামালসহ পরিবারের সাত সদস্যকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে। পরে জামালের ঘর আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। এ ঘটনায় জড়িত এমপি শাম্মীর এক অনুসারী সাইফুল ইসলামকে শুক্রবার মারধর করা হয়। পরে হিজলা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) দীপংকর রায় তার (এমপি পংকজ) অনুসারীদের এলাকা ছাড়া করেন। এমনকি কয়েকজনকে গ্রেফতারও করা হয়।

 

এমপির অভিযোগ, পুলিশ তার অনুসারীদের সেহরিও খেতে দেয়নি। পুলিশের কারণে সবাই এলাকা ছাড়া তাই জামাল মাঝি একা ছিলেন। সকালে তাকে পেয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে শাম্মীর অনুসারীরা বলে অভিযোগ করেন এমপি পংকজ

 

অভিযোগ অস্বীকার করে পরিদর্শক (তদন্ত) দীপংকর রায় বলেন, গত ১৫ দিন ধরে ধুলখোলা ইউনিয়নে দুই গ্রুপের মধ্যে হামলা-পালটা হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। গত ১৫ দিনে থানা ও আদালতে পাঁচটি মামলা করেছে একপক্ষ অপরপক্ষের বিরুদ্ধে। শুক্রবার একজনকে মারধরের খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে দেখি দুইপক্ষ সশস্ত্র অবস্থায় রয়েছে। তখন দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দুই পক্ষকে নিবৃত্ত করা হয়েছে। কোনো পক্ষের হয়ে তিনি কাজ করেননি।

 

ওসি জুবাইর বলেন, ‘পরিত্যক্ত অবস্থায় লাশ পেয়েছি। কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। কে বা কারা করেছে তা জানি না। তদন্ত করে বলতে পারব কারা জড়িত।’

এখানে ক্লিক করে শেয়ার করুণ