ডেস্ক রিপোর্ট :: বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এর সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক, সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য কলিম উদ্দিন আহমেদ মিলন বলেছেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত জাতির মুক্তির সনদ, রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা কর্মসূচির লিফলেট এবং ধানের শীষ প্রতীকের দাওয়াত ছাতক ও দোয়ারাবাজারবাসীর ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে চায় বিএনপি। তিনি জানান, এই কার্যক্রম শুরু হয়েছে এবং আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই ছাতক-দোয়ারাবাজারের সকল এলাকায় নেতা-কর্মীদের সাথে নিয়ে লিফলেট বিতরণ করা হবে। তিনি আরও বলেন, এই কার্যক্রমে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে এবং তাদের মধ্যে একটি নির্বাচনী আমেজ তৈরি হয়েছে। তার বিশ্বাস, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ছাতক-দোয়ারাবাজারবাসী ধানের শীষ প্রতীকের বিজয় নিশ্চিত করবেন ইনশাআল্লাহ। শনিবার (২৫ অক্টোবর) বিকেলে সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার ধারণ বাজারে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কর্তৃক রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা কর্মসূচির লিফলেট বিতরণ ও মিছিল শেষে পথ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কলিম উদ্দিন আহমেদ মিলন এসব কথা বলেন। মিলন আরও বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত এ অঞ্চলের মানুষ এখন ধানের শীষ প্রতীকে ভোট দিতে অধীর আগ্রহে আছেন। যারা নির্বাচন পেছানো বা পিআর পদ্ধতির দাবি করেন, তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী ছিলেন না এবং এখনও নন। তারা পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখেন। তিনি সতর্ক করে বলেন, এদেশে আর পেছনের দরজা দিয়ে বা বিনা ভোটে ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখে লাভ নেই। লুটপাট, গুম-খুন, ভোটারবিহীন নির্বাচন, জোর করে ক্ষমতা দখল, দিনের ভোট রাতে দেওয়া – এসব কারণেই ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে হয়েছিল। ১৭ বছর ফ্যাসিস্ট সরকার বিরোধী আন্দোলন ও সর্বশেষ ছাত্র জনতার আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি বলেন, বিএনপি তথা দেশ ও জাতির বিরুদ্ধে যারা ষড়যন্ত্র করছেন তারা সাবধান হয়ে যান, অন্যথায় এ দেশের জনগণ তাদের ক্ষমা করবে না। ‘দাড়িপাল্লায় ভোট দিলে বেহেশত পাওয়া যাবে’ এ ধরণের ইসলাম বিদ্বেষী বক্তব্য দিয়ে যারা মানুষকে বিভ্রান্ত করতে চান, তাদেরকেও তিনি এসব মিথ্যা অপপ্রচার থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান।
উপজেলার উত্তর খুরমা ও দক্ষিণ খুরমা ইউনিয়ন এবং ধারণ অঞ্চল বিএনপি আয়োজিত এই পথ সভায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আব্দুর রহমান, নজরুল ইসলাম, ছাতক পৌর বিএনপির আহ্বায়ক সামসুর রহমান সামছু, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফজলুল করিম বকুল, শাহ সফিকুল আলম মতি, পৌর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জসিম উদ্দিন সুমেন, যুগ্ম আহ্বায়ক সামসুর রহমান বাবুল, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছায়াদুজ্জামান কয়েছ আহমদ, আতাউর রহমান এমরান, ফয়জুর রহমান, দিদার আলম মেম্বার, অ্যাড. আব্দুল কাহার।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন উত্তর খুরমা ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক আজিজুর রহমান আজিজ, দক্ষিণ খুরমা ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক শামীম আলম নোমান, গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাঁও ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুল হক ও আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আমিন উদ্দিন, আব্দুল হাই লিপু, উত্তর খুরমা ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আব্দুল আলিম, নুরুল ইসলাম, সুন্দর আলী, অদুদ মির্জা, চেরাগ আলী, দক্ষিণ খুরমা ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আলী হোসেন মানিক, রাকিব আলী, জাহাঙ্গীর হোসেন, বিএনপি নেতা রুহুল আমিন, জাহেদুল ইসলাম আবাব, আব্দুস সালাম নোমান, নুরুল হক, ফখর উদ্দিন, ক্বারী আছকির আলী, আবুল হোসেন, সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম, তানিমুল ইসলাম, ইলিয়াস আহমদ, দিলোয়ার হোসেন, পৌর যুবদলের আহ্বায়ক খায়ের উদ্দিন, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক লিজন তালুকদার, কৃষকদলের পীর ছায়াদুর রহমান, মনির উদ্দিন মেম্বার, সাজ্জাদুর রহমান, ইব্রাহিম আলী রাসেল, খছরু মিয়া, ছালেক মিয়া তালুকদার, ইব্রাহিম আলী, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক বাকি বিল্লাহ, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আবুল হোসেন, জাসাস’র সদস্য সচিব গোলাম কিবরিয়া, শ্রমিক দল নেতা, যুবদল নেতা অ্যাডভোকেট ফয়জুল আহমদ পাবেল, ফখরুল আলম, আব্দুল মোনেম মামনুন, মুহিবুর রহমান মুহিব, মিনহাজ আহমেদ, রুবেল মির্জা, ছাত্রদলের মাহবুব আহমদ, এমদাদুর রহমান ইমন, আব্দুল বাকি মুহিত, স্বাচ্ছা আবেদীন, মিয়া মোহাম্মদ সাদ, সরিফ উদ্দিন মাহিব, সাহেদ ইয়াসিন, ফয়সল আহমদ, বখতিয়ার মির্জা, রুবেল রানা, ইশতিয়াক আম্বিয়া রায়হান প্রমুখ।










