আজ, , ১৮ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সংবাদ শিরোনাম :





ছাতকে খাদ্যবান্ধবের ১৩ বস্তা চাল অ’বৈ’ধ’ ভাবে বিক্রির সময় আটক

নিজস্ব প্রতিবেদক :: সুনামগঞ্জের ছাতকে ডিলার কর্তৃক অবৈধ ভাবে খাদ্য বান্ধবের সরকারী চাল বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। এমন অভিযোগে জনতা ১৩ বস্তা চাল আটকের পর জব্দ করেছে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার বিকেলে উপজেলার ছৈলা-আফজলাবাদ ইউনিয়নের রাধানগর গ্রামে ডিলারের চালের গুদামে। জানা যায়, সরকার কর্তৃক ৩০ কেজি ওজনের প্রতি বস্তা চাল সাড়ে ৪শ টাকা দরে ডিলারের কাছ থেকে কার্ডধারিরা ক্রয় করার নিয়ম রয়েছে। এ হিসেবে উপজেলার ছৈলা-আফজলাবাদ ইউনিয়নের ১, ২, ৩ ও ৪নং-ওয়ার্ডের খাদ্য বান্ধব তালিকায় কার্ডধারি রয়েছে প্রায় ৫৮২জন ব্যক্তি। গেল মঙ্গলবার থেকে এইসব খাদ্য বান্ধব কার্ডধারিদের মাঝে চাল বিক্রি শুরু করেন ডিলার। দ্বিতীয় দিন বুধবার সকাল থেকে চাল বিক্রি শুরু হলে অনেকেই ওই গুদাম এলাকায় বিক্রি করে চলে যান। ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, আওয়ামীলীগ নেতা গয়াছ আহমদের ছেলে চাল ডিলার শামীম আহমদ নির্ধারিত কার্ড ছাড়া অবৈধভাবে অনেকের কাছে সরকারী চালের বস্তা বিক্রির অভিযোগ উঠে। ডিলার কর্তৃক গুদামের পাশে টেলাগাড়িতে ৭বস্তা, বারান্দায় বিক্রির জন্য আরও ১৩ বস্তা চাল রাখলে স্থানীয় জনতা এগুলো আটক করে। খবর পেয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য দিদার আলমসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিরা সেখানে জড়ো হন। এই সুযোগে পালিয়ে যান চাল ডিলার শামীম। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক ও খাদ্য নিয়ন্ত্রক পদের দুইজন কর্মকর্তা। তারা ১৩ বস্তা চাল জব্দ করেন। টেলা গাড়ির ৭ বস্তার মধ্যে কার্ড দেখিয়ে ৫বস্তা ক্রয়কৃত মালিককে বুঝিয়ে দেন এবং ২ বস্তা স্থানীয় দোকানির জিম্মায় দেন।

 

স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, ডিলার কর্তৃক সরকারী চাল বিক্রির নামে সিন্ডিকেট তৈরি করে নিজেই ক্রয় করে দ্বিগুন লাভ পেয়ে বাজারের ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করেন। তার এ সিন্ডিকেটে রয়েছে লাকেশ্বর পশ্চিম পাড়া গ্রামের মৃত আছদ্দর আলীর ছেলে সিদ্দেক আলীসহ আরও অনেকেই। উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক পিনাক পাণি ভট্রাচার্য বলেন, ১৩ বস্তা চাল জব্দ করা হয়েছে। এ বিষয়ে ওইদিন রাতে ছাতক থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি তিনি করেছেন।

এখানে ক্লিক করে শেয়ার করুণ