ডেস্ক রিপোর্ট :: ব্রিটেনে কর্মরত বিদেশি অবধৈ কর্মীদের ব্যাপারে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করতে যাচ্ছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমার। অবৈধ অভিবাসী ও অবধৈ ভাবে কর্মরতদের আটকের জন্য সম্প্রতি ব্রিটেনের রেস্টুরেন্ট, পাব, দোকান, কার ওয়াশসহ বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে ইমিগ্রেশন পুলিশের অভিযান জোরদার করা হয়েছে। প্রায় প্রতিদিনই বিভিন্ন স্থান থেকে অবধৈ কর্মীদের আটক করে নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। গত ২৭ সেপ্টেম্বর লেবার পার্টির এক সম্মেলনে বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমার জানান, কেয়ার ভিসাসহ বিভিন্ন ওয়ার্ক পারমিটে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে বিপুল পরিমানের অর্থ খরচ করে ব্রিটেনে আসার পর অনেক কর্মীরা কাজ পান না। অনেক কেয়ার সেন্টার ও কর্মক্ষেত্র বন্ধ হয়ে যায় বলেও তিনি জানান। যার ফলে, ব্রিটেনে আগত কর্মীরা বাধ্য হয়ে এসাইলমের আবেদন করেন। এতে করে ব্রিটেনের অর্থনীতির ওপর চাপ ব্রদ্ধি হয়।
তিনি বলেন, যারা ব্রিটেনে কর্মী এনে তাঁদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বা কেয়ার সেন্টার বন্ধ করে দেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি আরও জানান, অবধৈ ভাবে ব্রিটেনে বসবাসরত কাউকে কর্মী হিসেবে নিয়োগ দিলে সে সব প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করার পাশাপাশি তাঁদের কর্মী নিয়োগের লাইসেন্সও কেড়ে নেয়া হবে। বেশ কয়েক বছর যাবত ব্রিটেনের জীবন যাত্রার ব্যয় মাত্রাতিরিক্ত বৃদ্ধি পয়েছে। ফলে, ব্রিটেনের নাগরিকগণ জীবন যাত্রার ব্যয় মেটাতে হিমশিম খাচ্ছেন। স্যার কিয়ার স্টারমার বলেন, দেশের অর্থনীতিকে স্থিতিশীল রাখতে এবং মূল্যস্ফিতি কমাতে আগামি বছর থেকে ট্যাক্স বৃদ্ধির পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। পাশাপাশি, বিদেশি কর্মীদের ওপর নির্ভরতা কমাতে স্থানীয় তরুণ ও যুবকদের প্রশিক্ষণেরও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।