আজ, , ৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সংবাদ শিরোনাম :
«» দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ৩০, আহত অর্ধশতাধিক «» জগন্নাথপুরে গরুকে গোসল করাতে গিয়ে যুবক নিখোঁজ «» ছাত্র মজলিস সিলেট জোনের দ্বি-মাসিক জোনাল দায়িত্বশীল সভা অনুষ্ঠিত «» আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ২৫ «» শিক্ষা ব্যবস্থার মধ্যে নৈতিক শিক্ষার খুবই অভাব- ছাত্র মজলিস «» বাস থেকে নামিয়ে ৬৫ ভরি স্বর্ণ ছিনতাই, আসামি যুবদল নেতা «» পুলিশবেশে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে জনতার হাতে আটক ছয় «» দেশের বিরোদ্ধে সকল ষড়যন্ত্র ছাত্র-জনতা প্রতিহত করবে, ইনশাল্লাহ: আল্লামা মামুনুল হক «» ছাতকে প্রবাসীদের অর্থায়নে সড়ক সংস্কার কাজ শুরু করলো গ্রামবাসী «» জগন্নাথপুরে অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার





বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেবে ইউরোপের চার দেশ : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ডেস্ক রিপোর্ট :: ইউরোপীয় ইউনিয়নের চারটি দেশ ইতালি, জার্মানি, গ্রিস ও রোমানিয়া বাংলাদেশ থেকে তিন হাজার বাংলাদেশি কর্মী নেবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। রোববার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলির বিদায়ী সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের এ কথা তিনি জানান। ড. হাছান জানান, এ তিন হাজার কর্মীর দক্ষতার ওপর নির্ভর করে ভবিষ্যতে আরও কর্মী নেওয়ার সম্ভাবনার কথাও জানিয়েছেন ইইউ রাষ্ট্রদূত। পাশাপাশি বাংলাদেশ ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার পরও ২০৩২ সাল পর্যন্ত যাতে আমাদের পণ্যের জন্য ইইউ থেকে জিএসপি বা শুল্কহ্রাস সুবিধাসহ এখন যে অন্যান্য সুবিধা পাই, সেগুলো যেন অব্যাহত থাকে, সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

 

এ সময় ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে ১১-১২ জুলাই অনুষ্ঠিত বিমসটেক দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের দ্বিতীয় রিট্রিট সম্মেলনের বিষয়ে সাংবাদিকদেরকে মন্ত্রী জানান, জলবায়ু পরিবর্তন, চিকিৎসা, জ্বালানি নিরাপত্তা খাতে সহায়তা এবং নেপাল ও ভুটানে জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের মাধ্যমে সবুজ শক্তি ব্যবহার বৃদ্ধি নিয়ে রিট্রিটে কথা হয়েছে। হাছান মাহমুদ জানান, আগামী সেপ্টেম্বর মাসের চার তারিখে থাইল্যান্ডে বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলন। সেখানে বিমসটেকের পরবর্তী চেয়ার হিসেবে দায়িত্ব নেবে বাংলাদেশ।

 

রিট্রিটের সাইডলাইনে ভারত ও মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় বাংলাদেশের জন্য পচনশীল পণ্য আমদানিতে কোটা নির্ধারণের বিষয়টি আবারও এসেছে। তিস্তা বিষয়ে কারিগরী দল প্রেরণ, ব্রিকসে অন্তর্ভুক্তি ও জয়েন্ট কনসালটেটিভ কমিটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। পাশাপাশি মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, তারা রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করতে চায়। কিন্তু সেটি রাখাইনের বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবার পর।

 

সাংবাদিকরা এ সময় সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনী সমাবেশে গুলিবর্ষণের বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘আমাদের অবস্থান অত্যন্ত পরিষ্কার। রাজনীতিতে আমরা কোনো সংঘাত চাই না। আমাদের দেশে যেমন মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করা হয়, মানুষের সম্পত্তি পোড়ানো হয় সেটি কখনো কাম্য নয়। এটি অনভিপ্রেত, আইনবিরোধী।’ শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভ্যানিয়ায় স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায় ট্রাম্পের ওপর এ হামলার বিষয়ে তিনি আরও বলেন, ‘অতীতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে কখনো সহিংসতা ছিল না। কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্পের এ হামলায় আমরা উদ্বিগ্ন ও নিন্দা জানাই। রাজনীতিতে সহিংসতা থাকা উচিত নয়, সেটি আমরা মনে করি।’

 

চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘কোটার বিষয়টি আদালতের মাধ্যমে এসেছে। সরকার শিক্ষার্থীদের ওপর সহানুভূতিশীল হয়ে পুরো কোটাই বাতিল করে দিয়েছিল। হাইকোর্ট সেটি পুণর্বহাল করেছিল, সুপ্রিম কোর্ট স্থগিত করেছে। কোটা আদালতের একটি বিচারাধীন বিষয়। সে কারণে এর ওপর সরকার কোনো সিদ্ধান্ত দিতে পারে না। তাহলে আদালত অবমাননা হবে। আদালতের মাধ্যমেই এর সমাধান হতে হবে।’

 

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এখন যে আন্দোলন হচ্ছে সেটির কোনো যৌক্তিকতা আছে বলে মনে করি না। এটি আসলে আদালতের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলিও বটে। সরকার সবসময় ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতি সহানুভূতিশীল ছিল। সে কারণে কোটা পদ্ধতি বাতিল করেছিল। তবে বাতিল করার পরিপ্রেক্ষিতে অনেক সমস্যাও দেখা দিয়েছে। যেমন অনেক জেলা থেকে অনেক ক্যাডারে কেউ সুযোগ পাচ্ছে না, মেয়েদের অংশগ্রহণ কমে গেছে—এসব সমস্যা দেখা দিয়েছে।’

 

কোটা আন্দোলন থেকে বিএনপি সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করছে কি না— এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপি তো সবসময় চায় দেশকে অস্থিতিশীল করতে। নিজেদের তো কিছু করার ক্ষমতা নেই, তারা অপরের ঘাড়ে চেপে বসে। কোনো সময় কোটার ওপর ভর করে, কোনো সময় তেল-গ্যাসের ওপর ভর করে, কোনো সময় আবার অন্য কিছুর ওপর ভর করে। বিএনপি কোটা আন্দোলন থেকেও সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করছে। সুপ্রিম কোর্টের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তের পর সুপ্রিম কোর্ট স্থিতাবস্থা বজায় রাখার জন্য আদেশ দিয়েছে। অর্থাৎ সরকার যে কোটা বাতিল করেছিল, সেটিই বহাল রেখেছে সুপ্রিম কোর্ট। এরপরও যখন আন্দোলন হয়, বুঝতে হবে এটির সঙ্গে রাজনীতি যুক্ত হয়েছে।

এখানে ক্লিক করে শেয়ার করুণ