আজ, , ১৮ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সংবাদ শিরোনাম :





সালিশ বৈঠকে ভায়রার ছুরিকাঘাতে ভয়রা খুন

ডেস্ক রিপোর্ট :: এক শালিস বৈঠকে যাত্রী বহন করে নিয়ে আসায় ভায়রার ছুরিকাঘাতে খুন হলেন রিক্সাচালক ভায়রা মনাই মিয়া (৩৫)। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টার দিকে সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার ফেঞ্চুগঞ্জ ইউনিয়নের বাঘমারা গ্রামে এই নারকীয় হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত মনাই মিয়াকে রাত ১০টা ১০ মিনিটে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

 

হাসপাতালে উপস্থিত শালিস বৈঠকে থাকা স্থানীয়রা জানান, মনাই মিয়া একজন রিক্সা চালক। উপজেলার পূর্ব যুধিষ্ঠিপুর গ্রামের মৃত বোরকান আলীর পুত্র মনাই। মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে পূর্ব যুধিষ্ঠিপুর থেকে আব্দুল সামাদকে বাঘমারা গ্রামে রিস্কা চালিয়ে নিয়ে আসেন মনাই মিয়া। সেখানে আব্দুল সামাদ ও তার সহোদর সাইদুল হকের এক শালিস বৈঠক ছিল। ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাঘমারা গ্রামের মকবুল মিয়া, তার পুত্র কালাম মিয়া ও বেলাই মিয়া। কালাম মিয়া হলেন নিহত রিস্কাচালক মনাই মিয়ার ভায়রা। মনাই মিয়ার ছোট শালি বিয়ে করেছিলেন কালাম মিয়া। বিয়ের এক বছর পর কোন এক ঘটনায় তাদের মধ্যে বিরোধ দেখা দিলে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। স্থানীয়দের ধারনা এই ঘটনা থেকেই মনাই মিয়ার উপর ক্ষোভ জন্মে ভায়রা কালাম মিয়ার।

 

 

মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টায় ওই বৈঠকের বাহিরে মনাই মিয়াকে একা পেয়ে, কালাম, বেলাই ও তাদের পিতা মকবুল গংসহ হামলা চালায় মনাই মিয়ার উপর। একপর্যায়ে তলপেটে ছুরিকাঘাতে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন মনাই মিয়া। মৃত্যু যন্ত্রণায় কাতর মনাই মিয়া এই হত্যাকান্ডের সাথে কালাম, বেলাই ও মকবুলদের নাম বলে গেছেন বলে জানান স্থানীয়রা। পরে গুরুতর আহত মনাই মিয়াকে রাত ১০টা ১০ মিনিটে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

 

 

৩ পুত্র ও ৩ কন্যা সন্তানের জনক ছিলেন রিস্কাচালক মনাই মিয়া। হাসপাতালে শিশু সন্তানদের কান্নায় নিস্তব্ধ হয়ে যায় হাসপাতাল প্রাঙ্গণ।

 

এ ব্যাপারে ফেঞ্চুগঞ্জ থানার ওসি তদন্ত আরিফ হোসেন জানান, সুরতহাল প্রতিবেদনে তলপেটে একটি ছুরিকাঘাত রয়েছে, বেরিয়ে গেছে ভুঁড়ি। মনাই মিয়ার শালি ছাড়াছাড়ি নিয়ে বিরোধ চলছিল তাদের। উভয় পক্ষের মধ্যে আদালতে মামলা চলছে। তদন্তে বেরিয়ে আসবে হত্যার রহস্য। হত্যাকান্ডে জড়িতদের আটকে তৎপর রয়েছে পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ পাঠানো হয়েছে সিলেট ওসমানী হাসপাতাল মর্গে।

এখানে ক্লিক করে শেয়ার করুণ