ডেস্ক রিপোর্ট :: সিলেটে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে আগে ব্যাটিং করে ৮ উইকেটে ৩৩৮ রান করেছে বাংলাদেশ। ওয়ানডেতে এটাই এখন বাংলাদেশের সর্বোচ্চ স্কোর। এর আগে ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পরে ব্যাটিং করে ৩৩৩ রান করেছিল তারা।
আজ বড় স্কোরের ম্যাচে আক্ষেপ থেকে গেল সাকিব আল হাসান ও তৌহিদ হৃদয়ের। দুজনে ড্রেসিংরুমে ফিরেছেন ৯০-এর ঘরে। সাকিব আউট হয়েছেন ৯৩ রানে, আর অভিষিক্ত হৃদয় আউট হলেন ৯২ রান করে।
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পায় বাংলাদেশ। ১৬.৩ ওভারে ৮১ রান তুলতেই ৩ উইকেট হারায় তারা। চার ও পাঁচ নম্বরে নেমে সাকিব-হৃদয় ১২৫ বলে ১৩৫ রানের জুটি গড়ে দলকে বড় স্কোরের ভিত গড়ে দেন। ৮৯ বলে ৯৩ রানে ফেরেন সাকিব। তাঁর ইনিংসে ছিল ৯টি চার।
পঞ্চম উইকেটে মুশফিকুর রহিম ও হৃদয় ৪৯ বলে ৮০ রানের আরেকটি জুটি গড়েন। দলের ২৯৬ রানে আউট হন মুশফিক। ২৬ বলে ৪৪ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেছেন তিনি। এক রানের ব্যবধানে আউট হন হৃদয়ও। ৮৫ বলে তাঁর ব্যাট থেকে আসে ৯২ রান। ৮টি চার ও ২টি ছক্কা ছিল তাঁর ইনিংসে।
অভিষেক ওয়ানডেতেই বাংলাদেশের তৃতীয় ক্রিকেটার হিসেবে ফিফটির কীর্তি গড়েন হৃদয়। এর আগে ২০১১ সালে হারারেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে নাসির হোসেন অভিষেক ম্যাচে করেছিলেন ৬৩ রান। ২০০৬ সালে হারারেতে অভিষেক ওয়ানডেতে প্রথম ফিফটি করেছিলেন ফরহাদ রেজা। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৫০ রান করেছিলেন রেজা। হৃদয়ের ৯২ রানই এখন অভিষেক ম্যাচে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের সর্বোচ্চ ইনিংস।
এর আগে এই ম্যাচে ওয়ানডেতে নিজের ৭০০০ রান পূর্ণ করেছেন সাকিব। । ৫০ ওভারের ফরম্যাটে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক এখন এ অলরাউন্ডার। এ পর্যন্ত তাঁর চেয়ে বেশি—২৩৩ ইনিংসে ৮১৪৬ রান তামিম ইকবালের। ২৪৩ ইনিংসে মুশফিকুর রহিমের ৬৯০১ রান।
শেষ দিকে ইয়াসির আলী ১০ বলে করেছেন ১৭ রান, তাসকিনের ব্যাট থেকে আসে ১১ রান। আয়ারল্যান্ডের হয়ে গ্রাহাম হিউম ১০ ওভারে ৬০ রান দিয়ে শিকার করেছেন ৪ উইকেট।
ওয়ানডেতে বাংলাদেশের পাঁচ সর্বোচ্চ স্কোর:
প্রতিপক্ষ রান ভেন্যু সাল
আয়ারল্যান্ড ৩৩৮ /৮ সিলেট ২০২৩
অস্ট্রেলিয়া ৩৩৩ /৮ নটিংহ্যাম ২০১৯
দক্ষিণ আফ্রিকা ৩৩০ /৬ দ্য ওভাল ২০১৯
পাকিস্তান ৩২৯ /৬ মিরপুর ২০১৫
পাকিস্তান ৩২৬ /৩ মিরপুর ২০১৪