আজ, , ৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সংবাদ শিরোনাম :
«» দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ৩০, আহত অর্ধশতাধিক «» জগন্নাথপুরে গরুকে গোসল করাতে গিয়ে যুবক নিখোঁজ «» ছাত্র মজলিস সিলেট জোনের দ্বি-মাসিক জোনাল দায়িত্বশীল সভা অনুষ্ঠিত «» আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ২৫ «» শিক্ষা ব্যবস্থার মধ্যে নৈতিক শিক্ষার খুবই অভাব- ছাত্র মজলিস «» বাস থেকে নামিয়ে ৬৫ ভরি স্বর্ণ ছিনতাই, আসামি যুবদল নেতা «» পুলিশবেশে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে জনতার হাতে আটক ছয় «» দেশের বিরোদ্ধে সকল ষড়যন্ত্র ছাত্র-জনতা প্রতিহত করবে, ইনশাল্লাহ: আল্লামা মামুনুল হক «» ছাতকে প্রবাসীদের অর্থায়নে সড়ক সংস্কার কাজ শুরু করলো গ্রামবাসী «» জগন্নাথপুরে অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার





বিদেশ থেকে স্বদেশে মোবাইল ফোনে বিয়ে

মুফতি ওযায়ের আমীন

 

বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে মোবাইলে বিয়ের প্রয়োজন দেখা দেয়। এদিকে সরাসরি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বিয়ে সম্পন্ন হয় না। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বরকনে উভয়ের কাছে সাক্ষী উপস্থিত থাকলেও মোবাইলে ইজাব-কবুল বলার দ্বারা বিয়ে সম্পন্ন হয় না। অথচ বিভিন্ন কারণে মোবাইলে বিয়ে সম্পন্ন করা জরুরী হয়ে পড়ে।

অনেকে মোবাইলের মাধ্যমে একবার বিয়ে সম্পন্ন করে। পরবর্তীতে বর দেশে আসলে আবার আনুষ্ঠানিক বিয়ের আনুষ্ঠানিক আয়োজন করে। যদি পূর্বের বিয়ে সঠিক থাকে তাহলে নতুন করে আনুষ্ঠানিকতা অনর্থক ও নিষ্প্রয়োজন। আর যদি মোবাইলের বিয়ে সঠিক না হয় তাহলে বিদেশ থেকে তাদের স্বামী-স্ত্রীর মতো সব কথা-বার্তা আমলনামায় গুনাহ হিসেবে লেখা হবে।

এক্ষেত্রে করণীয় কি? এটা অনেকের জিজ্ঞাসা। শরীয়তে আসলে এর বিকল্প ব্যবস্থা আছে।

প্রথম কথা হচ্ছে মোবাইলে ইজাব-কবুল সহীহ হয় না কেন? এর জবাব হচ্ছে ইজাব-কবুলের জন্য মজলিস এক হওয়া জরুরী। মোবাইলের মাধ্যমে দুই দেশে ইজাব-কবুল হলে টেলি কনফারেন্সের মাধ্যমে পরস্পর দেখা গেলেও মজলিস এক না হওয়ার কারণে বিবাহ সহীহ হয় না।

দ্বিতীয় কথা হচ্ছে মোবাইলের মাধ্যমে দূর থেকে যে কেউ অন্য কাউকে যেকোনো কাজের ব্যাপারে ওকিল নিয়োগ দিতে পারে। উকিল নিয়োগ দেওয়ার জন্য মজলিস এক হওয়া জরুরী নয়। সাক্ষীও প্রয়োজন নেই।

মূল কথা: দূর দেশ থেকে বিবাহ সঠিক করার জন্য সহজ নিয়ম হচ্ছে- যেকোনো এক পক্ষ মোবাইলের মাধ্যমে অন্যকে উকিল নিয়োগ করবে। উকিল দুইজন সাক্ষীর সামনে মক্কেলের পক্ষে বিবাহের প্রস্তাব করবে অথবা বিয়ের প্রস্তাব কবুল করবে। এতে বিয়ে সম্পন্ন হয়ে যাবে। তারা দুইজন স্বামী-স্ত্রী হিসেবে সাব্যস্ত হবে। তাদের সাক্ষাতের আগ পর্যন্ত কথাবার্তাসহ স্বামী-স্ত্রী সুলভ সব আচরণ জায়েজ। পরবর্তীতে যখন সাক্ষাৎ হবে আনুষ্ঠানিক কোন বিয়ের প্রয়োজন নেই।

মনে করুন- বর কাউকে উকিল বানিয়ে একথা বলে যে, “আমাকে অমুক মেয়ের সাথে বিবাহ পড়িয়ে দিন” তাহলে উল্লেখিত বর্ণনায় উক্ত ওকীল যদি কনের ওকীলকে বিবাহ করিয়ে দিতে কনেকে প্রস্তাব দিতে বলে তাহলে বিবাহ শুদ্ধ হয়ে যাবে। এর বিপরীতে কনে যদি কাউকে উকিল বানিয়ে দেয় আর কনের উকিল দুজন সাক্ষীর সামনে বরের নিকটে প্রস্তাব বিয়ের প্রস্তাব করে এবং বর প্রস্তাব কবুল করে তাহলে বিয়ে সম্পন্ন হয়ে যাবে। বর-কনে উভয়ের উকিল যদি এক জায়গায় একত্রিত হয় দুইজন সাক্ষীর সামনে নিজেদের মক্কেলের পক্ষে ইজাব-কবুল করে তাহলেও বিয়ে সম্পন্ন হয়ে যাবে।

فى خلاصة الفتاوى- إمراة وكلت رجلا بأن يزوجها من نفسه فقال الوكيل اشهدوا انى قد تزوجت فلانة من نفسى إن لم يعرف الشهود فلانة لا يجوز النكاح مالم يذكر إسمها وإسم ابيها وجدها، وإن عرف الشهود فلانة وعرفوا أنه اراد به تلك المرأة يجوز، (خلاصة الفتاوى-2/15

والله اعلم بالصواب

এখানে ক্লিক করে শেয়ার করুণ