ডেস্ক রিপোর্ট :: ক্ষমতায় আসার পর থেকে লেবার পার্টির সরকার অবৈধ মাইগ্রেশনের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে। এবার হোম সেক্রেটারি ইভেট কুপার জানালেন, যেসব অভিবাসী ডিপোর্টেশন এড়াতে তাদের পাসপোর্ট ফেলে দেয় তাদের ব্যাপারে অন্য যে কোনো সময়ের চাইতে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তিনি জোর দিয়ে জানান, হোম অফিস অ্যাসাইলাম আবেদনগুলোর ব্যাপারে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে একটি ফার্স্ট ট্র্যাক সিস্টেম তৈরি করতে চাইছে। এ ছাড়া সরকার আরও একটি নতুন স্কিমের ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করছে। এর আওতায় ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে যেসব অভিবাসী আসবে তাদের মাইগ্রেশন প্রসেসিং আলবেনিয়ায় সম্পন্ন করা হবে। এই ডিলের অধীনে বছরে প্রায় ৩৬ হাজার মানুষের অ্যাসাইলাম ক্লেইম মোকাবিলা করা সম্ভব হবে। ধারণা করা হয়, ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে আসা বেশির ভাগ অভিবাসী কথিত সেফ কান্ট্রি থেকে আসে। অ্যাসাইলাম প্রসেসিংয়ে সফল হলে এসব অভিবাসীকে ইতালিতে থাকার সুযোগ থাকবে। ব্যর্থ হলে আলবেনিয়া থেকেই নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে। জানা গেছে, আলবেনিয়ার রাজধানী তিরানা থেকে ৪৫ মাইল দূরে শিনজেন পোর্টে অভিবাসীদের রেখে তাদের এই মাইগ্রেশন প্রসেসিং করা হবে। জানা গেছে, মিসর, বাংলাদেশ, আইভরি কোস্ট এবং তিউনিসিয়াসহ আরও কিছু নিরাপদ দেশ থেকে বিপুল পরিমাণ অভিবাসী ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে আসে। নিরাপদ দেশ থেকে আসায় বিপুল পরিমাণ অ্যাসাইলাম আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এদিকে ব্রিটিশ সরকার কঠোর পদক্ষেপ নিলেও ইংলিশ চ্যানেল দিয়ে অভিবাসীদের আসা অব্যাহত রয়েছে। এই বছর এখন পর্যন্ত প্রায় ৩২ হাজার মানুষ ছোট নৌকায় চ্যানেল পার হয়েছেন। নতুন সরকার ক্রসিংয়ের সংখ্যা কমাতে নাটকীয়ভাবে পদক্ষেপ নিতে চাইছে। হোম সেক্রেটারি মিসেস কুপার বিবিসিকে বলেন, ইতালি-আলবেনিয়ায় একটি নতুন সিস্টেম চালু করা হচ্ছে। ফার্স্ট ট্রাক সিস্টেমের মাধ্যমে অ্যাসাইলাম আবেদন দ্রুত নিষ্পন্ন করা হবে। আবেদনে ব্যর্থ হওয়া অভিবাসীদের তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হবে। এই সামারে মামলায় ব্যর্থ হয়ে ডিপোর্টেশনে যাওয়ার হার ২৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। পাসপোর্ট ফেলে দেওয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, মানুষকে শুধু পাসপোর্ট নয় আরও অনেক বিষয় দেখে ন্যাশনালিটি চিহ্নিত করা যায়। আমরাও এসব সিস্টেম ব্যবহার করে অভিবাসীদের শনাক্ত করে নিজ দেশে ফেরত পাঠাব।