বৈঠকে গৃহীত প্রস্তাবনাগুলো হলো-
১. সংবিধানের মূলনীতিতে ‘মহান আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস’ পুনঃস্থাপন করতে হবে। সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবিত ‘বহুত্ববাদ’ সংবিধানে সংযুক্ত করা যাবে না।
২. সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটারে ১৪ টাকা বৃদ্ধি ও শিল্পখাতে নতুন গ্যাস সংযোগে অতিরিক্ত (৩৩%) মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হবে।
৩. গাজায় ইসরাইলি গণহত্যা বন্ধে জাতিসংঘসহ বিশ্ব সম্প্রদায়কে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
৪. মুসলমানদের সম্পদ লুট ও ধর্মীয় স্থাপনা ধ্বংসের জন্য ভারতে পাশকৃত মুসলিম ওয়াকফ সংশোধনী বিল বাতিল করতে হবে।
৫. প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে ২০২৫ সালের মধ্যে জাতীয় নির্বাচনের ব্যবস্থা করা।
৬. পিলখানায় বিডিআর হত্যা, শাপলা চত্ত্বরে গণহত্যা, জুলাই গণ-অভ্যূত্থানকালে হত্যাকাণ্ডসহ বিগত ১৫ বছরে গুম, খুন, হত্যায় জড়িতদের দ্রুত বিচার করতে হবে।
৭. হেফাজতের নেতা কর্মীসহ আলেম-উলামাদের নামে দায়েরকৃত ও অন্যান্য রাজনৈতিক মামলা দ্রুত প্রত্যাহার করতে হবে।
৮. ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের অপতৎপরতা বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
৯. ফ্যাসিবাদের পুনরুত্থান বা পুনর্বাসনরোধ করতে হবে। ফ্যাসিবাদী দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচার করতে হবে। এ জন্যে জুলাই অভ্যূত্থানকালীন সময়ের মতো জাতীয় ঐক্য অটুট রাখতে হবে।
খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদের সভপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের নায়েবে আমির মাওলানা আবদুর রব ইউসুফী, মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের, নায়েবে আমির মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন, মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, নেজামে ইসলাম পার্টির সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা আবদুল মাজেদ আতহারী, মহাসচিব মাওলানা মুসা বিন ইজহার, খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসাইন, মুহাম্মদ মুনতাসির আলী, অধ্যাপক মো. আবদুল জলিল, নেজামে ইসলাম পার্টির প্রচার সচিব মাওলানা আবদুল্লাহ আল মাসউদ।