নিজস্ব প্রতিবেদক :: সুনামগঞ্জের ছাতকে যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে গৃহ পুড়ানো, হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিটের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত ১০ নভেম্বর উপজেলার ছৈলা-আফজলাবাদ ইউনিয়নের সরিষপুর গ্রামের মৃত ব্রজেন্দ্র দাসের ছেলে, পঙ্কজ মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি ও বরবরা নামক জলমহালের লীজ গ্রহিতা রণজিত দাস থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। ছাতক উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক, উত্তর খুরমা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, স্থানীয় আমেরতল গ্রামের মৃত খাইরুল ইসলামের ছেলে বিল্লাল আহমদকে প্রধান আসামী করে ৭জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ১৫ জনের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
জানা যায়, উপজেলার উত্তর খুরমা ইউনিয়নের নয়া মৈশাপুর গ্রাম সংলগ্ন বরবরা নামক জলমহালটি ৬ বছরের জন্য বৈধ ভাবে লীজ গ্রহণ করেন মামলার বাদি রণজিত দাস। ওই লীজকৃত জলমহালে তিনি মৎস্য চাষসহ আহরণ করে আসলেও আসামিরা লোভের বশিভূত হয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে এবং পাহারাদারদের মারপিট করে জলমহালের বিভিন্ন প্রজাতির মাছ আহরণ করে নিতে থাকে। গত ২০ সেপ্টেম্বর এ জলমহালের পাহারাদারদের মারপিট করে ১লাখ ২০হাজার টাকার আর্থিক ক্ষতি করে। এ বিষয়ে থানায় তাদের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। গত ৮ নভেম্বর ভোর পৌনে ৬টার দিকে দেশীয় ও প্রাণ নাশক অস্ত্র নিয়ে জলমহালের পাহারাদারদের গৃহে আসেন ইউপি চেয়ারম্যান বিল্লালসহ অন্যান্য আসামিরা। প্রধান আসামি বিল্লালের হুকুমে জলমহালের পাহারাদারদের মৈশাপুর গ্রামের শুকুর আলীর ছেলে আলী হোসেন ও লাল খানের ছেলে রাসেল খানকে মারধর করে আহত করা হয়। পরে ওই চেয়ারম্যানসহ আসামিরা তাদেরকে পানিতে ফেলে দিলে তারা সাতার কেটে বরবরাবিল নামক জলমহালের নৌকায় উঠে প্রাণে রক্ষা পায়। এদিকে জলমহালের পাহারাদারদের গৃহটি অগ্নি সংযোগ করে পুড়িয়ে দেয় বিল্লালসহ তার সহযোগিরা। এতে ওই গৃহে থাকা মাছ ধরার দুটি জ্বাল, খাবারের চাল, আসবাবপত্রসহ পুড়ে দিয়ে অর্থিক ব্যাপক ক্ষতি সাধিত করে। এছাড়া ৭ বস্তা মাছের খাবার, একটি গ্যাস সিলিন্ডার তারা চুরি করে নিয়ে যায়। এতে ৮৯ হাজার ৭৫০টাকার আর্থিক ক্ষতি সাধন করা হয়েছে বলে জানাযায়। এছাড়া ওই জলমহাল নিয়ে বিল্লাল চেয়ারম্যানসহ তার সহযোগিদের বিরুদ্ধে সিআর ৪৭৬/২৪ইং মোকদ্দমা আদালতে চলমান রয়েছে। মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করেন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম কিবরিয়া হাসান।