আজ, , ২২শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সংবাদ শিরোনাম :
«» যুক্তরাজ্যে ৬০ হাজার এসাইলাম প্রার্থীর আবেদন মঞ্জুর করা হবে «» পদ ধরে রাখতে প্রধান উপদেষ্টার কাছে বিশ্বনাথের ৮ ইউপি চেয়ারম্যানের স্মারকলিপি «» রাজনৈতিক কোন সুবিধা নিতে আমি যুক্তরাজ্য থেকে আসিনি- এম এ মালেক «» শেখ হাসিনার পদত্যাগ ইস্যু ‘মীমাংসিত’ : বিতর্ক সৃষ্টি না করার আহ্বান রাষ্ট্রপতির «» জগন্নাথপুরে পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার- ২ «» জগন্নাথপুরে জনতার চেয়ারম্যান সৈয়দ তালহা আলম জমিয়তের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন মহলের অভিনন্দন «» জগন্নাথপুরে বিএনপি নেতা কয়ছর আহমদের গণসংবর্ধনা সফলে সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত «» শান্তিগঞ্জে আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেফতার «» সুনামগঞ্জের যে গ্রামে গান-বাজনা নিষিদ্ধ «» দেশে ফিরেছেন যুক্তরাজ্য বিএনপির কয়ছর এম আহমদ, বিমানবন্দরে নেতাকর্মীর ফুলেল শুভেচ্ছা





পরীক্ষায় শতভাগ প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে

মো. মাকছুদ উদ্দিন:

 

প্রবেশপত্র হাতে পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তোমার নাম, পিতা/মাতার নাম, ঠিকানা, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, রোল নম্বর, বিষয় কোড, বিষয়ের নাম ইত্যাদি সঠিক ও সুস্পষ্ট আছে কি-না তাও ভালোভাবে দেখে নেবে। সামান্যতম ভুল পেলেই সঙ্গে সঙ্গে তোমাদের প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষকে তা অবহিত করবে এবং বিধিমতো সংশোধন করিয়ে এনে দিতে বলবে। প্রবেশপত্র ও রেজিস্ট্রেশন কার্ডের দুটি করে ফটোকপি করবে। মূল কপি পরীক্ষা কেন্দ্রে নিয়ে যাবে এবং ফটোকপি বাসায় রাখবে।

যেদিন তোমার পরীক্ষা শুরু হবে তার আগের দিন বিকালে মা-বাবাসহ পরীক্ষাকেন্দ্রে ঘুরে আসতে পার। এতে তোমার পরীক্ষা সংক্রান্ত ভীতি অনেকটা কেটে যাবে। পরীক্ষার আগের রাতে প্রয়োজনীয় স্কেল, কলম, পেন্সিল, ইরেজার, রেজিস্ট্রেশন কার্ড, প্রবেশপত্র এবং পরীক্ষার রুটিন নির্দিষ্ট একটি ফাইলে গুছিয়ে রাখবে। পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে অবশ্যই পরীক্ষার হলে প্রবেশ করতে হবে। পরীক্ষাকেন্দ্রে সময়ের প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে। এজন্য অবশ্যই সঙ্গে করে একটি ঘড়ি নিয়ে যেতে হবে। প্রশ্নের মান অনুযায়ী কোনো প্রশ্নের উত্তর লেখার জন্য কতটুকু সময় নেবে তার একটা ছক তুমি ঘরে বসে পরীক্ষা দেওয়ার মাধ্যমে করে নিতে পার। শুধু পড়লেই চলবে না। লিখতেও হবে বারবার। মনে রেখ, একবার লেখা দশবার পড়ার চেয়ে বেশি ফলপ্রসূ। মুখস্থ না করে নিজের সৃজনশীলতাকে কাজে লাগিয়ে লিখতে শেখ। পরীক্ষায় শতভাগ প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। অর্থাৎ কোনো প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে উত্তরপত্র জমা দেবে না। পরীক্ষাকেন্দ্রে তাড়াহুড়া করা যাবে না।

 

প্রশ্নপত্র পাওয়ার পর মনোযোগ দিয়ে পড়ে ভেবেচিন্তে উত্তর দিতে হবে। পরীক্ষাকেন্দ্রে তোমাদের প্রথম ৩০ মিনিট বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়। এক্ষেত্রে বেশ সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। বিষয়কোড ও সেটকোড সতর্কতার সঙ্গে পূরণ করবে। সেটকোড পূরণ না করলে ওএমআর শিট বাতিল হয়ে যাবে। একাধিক অপশন ভরাট করা যাবে না। অবশ্যই কালো কালির বলপয়েন্ট কলম দিয়ে বৃত্ত ভরাট করতে হবে। পরীক্ষাকেন্দ্রে একটি বিষয় অনেক সময় পরীক্ষার্থীকে ঘাবড়ে দেয়, তা হলো প্রশ্ন কমন না পড়া। মনে রাখতে হবে সৃজনশীল পদ্ধতিতে শতভাগ প্রশ্ন প্রত্যাশামতো নাও হতে পারে। দু-একটি এদিক-সেদিক হতেই পারে। বিকল্প প্রশ্ন থাকায় তেমন কোনো সমস্যা হবে না ইনশাআল্লাহ। যদি কোনো বিষয়ে পরীক্ষা মনের মতো না হয়, তবে সে বিষয়ে না ভেবে পরের পরীক্ষাটি ভালো করার চেষ্টা করতে হবে। প্রতিটি পরীক্ষার পূর্ণাঙ্গ উত্তর লেখার পর হাতে ৫-১০ মিনিট সময় রাখতে হবে। এ সময়টুকু রিভিশন দিয়ে সবকিছু যাচাই করে নিতে হবে। পরীক্ষাশেষে সময় নষ্ট না করে দ্রুত বাসায় চলে আসবে ও পরের পরীক্ষার জন্য রুটিন অনুযায়ী প্রস্তুতি গ্রহণ শুরু করবে।

 

সর্বোপরি শিক্ষার্থীদের প্রতি একটি কথা- তোমার উচ্চশিক্ষা কোন দিকে মোড় নেবে তা নির্ধারিত হবে তোমাদের এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলের ওপর। কাজেই পরীক্ষার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করবে। পরিশেষে আমি তোমাদের সার্বিক মঙ্গল ও সাফল্যের জন্য মহান সৃষ্টিকর্তার দরবারে প্রার্থনা করি।

 

লেখক: অধ্যক্ষ, ন্যাশনাল আইডিয়াল কলেজ, খিলগাঁও, ঢাকা

 

এখানে ক্লিক করে শেয়ার করুণ