আজ, , ৮ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

সংবাদ শিরোনাম :
«» খেলাফত মজলিসের ৩৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা «» স্বামীর ছুরিকাঘাতে স্ত্রী খুন «» জামায়াত প্রার্থী শিশির মনিরের বিরুদ্ধে মামলা «» শান্তিগঞ্জে গ্রামীণ সড়কে ১০ কোটি টাকার কাজ: সড়কের কাজে আ’লীগের ইউপি চেয়ারম্যানের থাবা! ১ কোটি টাকা চাঁদা দাবি «» প্রেমের টানে ধর্মান্তর, অতঃপর ইসলামি রীতিতে বিয়ে «» ‘কাজী হতে পারবেন কওমির ডিগ্রিধারীরাও’ «» শান্তিগঞ্জে ইউএনও’কে বিদায় সংবর্ধানা দিয়েছে এলজিইডি «» সিলেটের সমাবেশে ৮ দল আগামীতে দেশের ভাগ্য নির্ধারণ করবে: জামায়াত আমির «» সিলেট-৩ আসনে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের প্রার্থী ঘোষণা «» সুনামগঞ্জে গানে গানে বাউল কামালের ১২৪ তম জন্মবার্ষিকী পালিত





সিলেটের সমাবেশে ৮ দল আগামীতে দেশের ভাগ্য নির্ধারণ করবে: জামায়াত আমির

ডেস্ক রিপোর্ট :: যারা এতদিন নির্বাচন-নির্বাচন করে জনগণকে বেহুঁশ করে ফেলেছিল তারাই এখন নির্বাচন ভণ্ডুল করার পায়তাঁরা করছে বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ড. শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, যারা নানা বাঁকা পথে ক্ষমতায় যাবার প্রচেষ্টায় আছে তাদেরকে বলবো, বন্ধু জনগণ তোমাদের লাল কার্ড দেখিয়ে দিয়েছে।’ ‘ফ্যাসিস্ট পালালেও ফ্যাসিবাদের কালো ছায়া দেশ থেকে হারিয়ে যায়নি বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, একদল ১৭ বছর এদেশে ফ্যাসিবাদ কায়েম রেখেছিল, এখন নতুন করে আরেকদল সেই ফ্যাসিবাদ ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু করেছে।’

শনিবার বিকেলে ঐতিহাসিক সিলেট সরকারি আলীয়া মাদরাসা মাঠে ‘জাতীয় নির্বাচনের পূর্বেই গণভোট আয়োজন এবং ৫ দফা দাবিতে’ জামায়াতসহ ৮ দলের আয়োজনে সিলেট বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি। এর আগে গতকাল শনিবার দুপুর ১২টায় নগরীর সরকারি আলিয়া মাদরাসা মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে এই সমাবেশ শুরু হয়। সমাবেশ শুরুর আগেই সকাল থেকে সিলেট বিভাগের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে দলে দলে নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে মাঠে এসে জড়ো হন। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশের ওপর গণভোট, নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতকরণসহ পাঁচ দফা দাবিতে এই মহাসমাবেশের আয়োজন করা হয়।

খেলাফত মজলিসের আমীর মাওলানা আব্দুল বাসিত আজাদের সভাপতিত্বে ইসলামী ও সমমনা ৮ দল সিলেট জেলা ও মহানগর নেতৃবৃন্দের যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন-ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর, চরমোনাইর পীর সৈয়দ মোঃ রেজাউল করীম , বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমীর শায়খ মাওলানা মামুনুল হক, খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের, জামায়াতের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল মাওলানা এটিএম মাছুম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ প্রফেসর মাওলানা মুহাম্মদ ইউনুছ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সিনিয়র নায়েবে আমীর মাওলানা রেজাউল করিম জালালী, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমীর মাওলানা হাবীবুল্লাহ মিয়াজী, নেজামে ইসলাম পার্টির সিনিয়র নায়েবে আমীর মাওলানা আব্দুল মজিদ আতাহারি, বাংলাদেশ ডেভলাপমেন্ট পার্টি-বিডিপির সভাপতি এডভোকেট এ.কে.এম আনোয়ারুল হক চান, জামায়াতের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের ও জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট-জাগপার সহ-সভাপতি ও মুখপাত্র ইঞ্জিনিয়ার রাশেদ প্রধান।

ইসলামপন্থীদের ইস্পাত কঠিন ঐক্য গড়ে তোলা হয়েছে উল্লেখ করে জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা: শফিকুর রহমান আরো বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে জনগণ ইসলামী শক্তিকে নির্বাচিত করবে।’ বিএনপিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘একটি দল এখনো পুরোনো জায়গায়, ধ্যান-ধারণায় পড়ে আছে। তারা সংস্কারে রাজি না। তারা জুলাই সনদ বাস্তবায়নে রাজি না। যারা এতদিন জাতিকে নির্বাচন নির্বাচন করে বেহুঁশ করে ফেলেছিল, তারা কেউ কেউ এখন আবোলতাবোল কথা বলতে শুরু করেছেন। তারা বুঝতে পেরেছেন, জনগণ তাদেরকে লাল কার্ড দেখানোর জন্য প্রস্তুত।’

আগামী নির্বাচনে চাঁদাবাজ ও লুটেরাদের হাত থেকে দেশকে উদ্ধার করে জনগণ দেশপ্রেমিক শক্তির কাছে তুলে দেবে মন্তব্য করে জামায়াত আমির বলেন, ‘সমমনা ইসলামী ৮টি দল ঐক্যবদ্ধ, ইসলামপন্থীদের ইস্পাতকঠিন ঐক্য গড়ে তোলা হয়েছে।’

আট দলের বাইরে থাকা দু’তিনটি ইসলামী দলকে নিজ আঙ্গিনায় ফিরে আসার আহ্বান জানিয়ে ডা: শফিকুর রহমান আরো বলেন, ‘আরো দুয়েকটি ইসলামী দল ৮ দলের বাইরে রয়েছেন, তারা চাঁদাবাজদের আঙ্গিনায় ঘুরাফেরা করছেন, আমরা বলবো, আপনাদের আঙ্গিনা সেটা নয়, ওই দলের শীর্ষ নেতা বলেন, শরিয়াহ আইন তারা বিশ্বাস করে না। তারা মুসলমানদের জঙ্গি বলে, তাদের সাথে আপনাদের মানায় না। সেখানে আপনারা বড় বেমানান হয়ে গেছেন। ঘরের ছেলে আপনারা ঘরে চলে আসুন। আমরা আপনাদেরকে বুকে জড়িয়ে কবুল করবো ইনশাআল্লাহ।’ ‘আমরা আপনাদের সম্মান দেবো, ভালোবাসবো। আপনাদের সেখানে থাকার কোনো প্রয়োজন নেই।’

তিনি আরো বলেন, ‘আপনারা কেন চাঁদাবাজদের অংশীদার হবেন, কেন দখলদারিত্বের সমর্থক হবেন, আপনারা নিজ আঙ্গিনায় ফিরে আসুন, আপনারা আমাদের ভাই। কোরআনের ঠিকানায় মানবতার ঠিকানায় ফিরে আসুন। ইসলামপন্থীদের ইস্পাতকঠিন ঐক্য গড়ে তোলা হয়েছে। আগামী নির্বাচনে জনগণ ইসলামিক শক্তিকে নির্বাচিত করবে।’

বিএনপিকে ইঙ্গিত করে জামায়াত আমির বলেন, ‘ফ্যাসিস্টদের সাথে হাত মিলিয়ে তারা অমুক দেশ তমুক দেশের ভয় দেখান। আমরা একমাত্র আল্লাহকে ভয় করি। আমরা আর কাউকে পাত্তা দেই না। তারা কেউ রক্তচক্ষুর ভয় করে না। যারা দাদাদের তাঁবেদারি করেছে, তাদের কাছ থেকে শিখুন। তারা এই অখাদ্য ফেলতেও পারছে না, গিলতেও পারছে না। জনতার কাছে আসুন, না হয় জনগণ আপনাদের ছাড়বে না। আগামী নির্বাচনে লাল কার্ড দেখাবে।’

সিলেটবাসীর উদ্দেশ্যে জামায়াত আমির বলেন, ‘আপনারা অতীতেও জালিমদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নামকরণ বিরোধী আন্দোলনে বিজয় ছিনিয়ে নিয়ে এসেছেন। সিলেটবাসী কারো রক্তচক্ষুকে ভয় করে না। আগামী নির্বাচনে ইসলামের পক্ষে বিজয় ছিনিয়ে আনবে।’

জামায়াত আমির বলেন, ‘বাংলাদেশ বিপুল সম্পদে ভরপুর। তবুও ৫৪ বছরেও এ জাতি মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারেনি। বর্গিরা পালিয়ে গিয়েও সম্পদ পাচার করেছে। কিন্তু চাঁদাবাজ একদল পালিয়ে চলে গেছে, আরেক দল চাঁদাবাজির দায়িত্ব নিয়েছে, নিজেরা নিজেরা মারামারি করছে। নিজেরা নিজেদের কাছে নিরাপদ নয়, তাদের কাছে দেশ কিভাবে নিরাপদ হবে।’

মুফতি সৈয়দ মো: রেজাউল করিম :

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মো: রেজাউল করিম বলেন, ‘৫৪ বছর যারা আমাদেরকে জিম্মি করে রেখেছিল, আজ তারা নিজেরা নিজেদের কাছে নিরাপদ নয়। তারা নিজেরা হানাহানিতে লিপ্ত।’

তিনি বলেন, ‘আমরা হতবাক, আজকে সংস্কারে বাধা, নির্বাচনে বাধা, এই চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে গর্জে উঠতে হবে। আজ তারা নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে, যতই শয়তানি করুন, কোনো কাজ হবে না। জনগণ আপনাদের প্রত্যাখান করেছে।’
সৈয়দ রেজাউল করিম আরো বলেন, ‘আসুন গণভোটে এই চাঁদাবাজদের পরাজিত করি। হ্যাঁ-ভোট দিয়ে খুনি ও চাঁদাবাজদের গণভোটের মাধ্যমে নিপাত যাবে।’

মাওলানা মামুনুল হক:

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক বলেন, ‘বিগত ১৭ বছর রাষ্ট্রযন্ত্রের শিকার হয়েছিলেন এদেশের ইসলামপন্থীরা। জীবন দিয়েছে, নির্যাতিত হয়েছে; তবুও নতিস্বীকার করেননি। জীবন দিয়ে বাংলার মাটি থেকে ফ্যাসিবাদ উৎখাত করেছে, নতুন করে কোনো ফ্যাসিবাদের উথান হতে দেবে না এদেশের জনগণ।’

তিনি বলেন, ‘জুলাই সনদ নিয়ে বাংলাদেশ আজ দুই শিবিরে বিভক্ত। একটি দল সংস্কার ও জুলাই সনদের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে, যারা জুলাই সনদের বিপক্ষে প্রচারণা চালাবে, বাংলাদেশের জনগণ তাদেরকে প্রত্যাখান করবে। সমমনা ইসলামী ৮ দল ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশের মানুষের যে ভালোবাসা পেয়েছে, দেশ বিরোধী শক্তির মাথা নষ্ট হয়ে গেছে। ফ্যাসিবাদ আর মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে দেওয়া হবে না।’

মামুনুল হক আরো বলেন, ‘যে আকাঙ্খা নিয়ে এদেশের জনগণ রক্ত দিয়েছে, সেই আকঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে ৮ দলকে ভোট দিতে হবে। একটি দল পরাজিত ফ্যাসিস্ট শক্তির সাথে হাত মিলিয়ে নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করছে। এতদিন নির্বাচনের জন্য মুখে ফেনা তুললেও এখন নির্বাচন পেছানোর ষড়যন্ত্র করছে, তাদের পায়ের তলায় মাটি নেই। জনগণ তাদেরকে প্রত্যাখান করেছে।’

ড. আহমদ আবদুল কাদের:

খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের বলেন, ‘সেক্যুলারপন্থী ও দেশবিরোধী শক্তিকে পরাজিত করে দেশে ইসলামপন্থীদের বিজয়ী করতে হবে। ইসলামের পথে শান্তির পথে দেশকে পরিচালিত করতে হবে। এ দেশে শরিয়াহবিরোধী শক্তিকে নির্মূল করতে হবে। আগামী নির্বাচনে ৮ দলকে ভোট দিয়ে আধিপত্যবাদী ও দেশ বিরোধীদের পরাজিত করতে হবে। গণভোটে হ্যাঁ ভোটকে বিজয়ী করতে হবে। জনগণ জেগে উঠেছে, আগামী নির্বাচনে ইসলামপন্থীদের বিজয়ী করবে। দালাল ও আধিপত্যবাদী শক্তিকে জনগণ আর গ্রহণ করতে চায় না। ২৪-এর বিপ্লবকে বৃথা যেতে দেয়া হবে না।’

মাওলানা হাবীবুল্লাহ মিয়াজী:

বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমীর মাওলানা হাবীবুল্লাহ মিয়াজী বলেন, একটি দল ইসলামী দলের সাথে সব সময় প্রতারণা করে আসছে। তারা শরিয়া আইনে বিশ্বাস করে না। এদের সাথে ইসলামী দলের কোন সম্পর্ক থাকতে পারবে না। আগামীতে ইসলামী ও সমমনা ৮ দলের প্রার্থীদের বিজয়ী করে তাদের শিক্ষা দিতে হবে।

আনোয়ারুল ইসলাম চান:

বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির সভাপতি অ্যাডভোকেট আনোয়ারুল ইসলাম চান বলেন, ‘জুলাই বিপ্লব যে গণআকাঙক্ষা নিয়ে হয়েছে, প্রশাসনকে সেই পালস বুঝতে। প্রশাসনকে জনগণের কল্যাণে কাজ করতে হবে। জুলাই বিপ্লবের দাবি, জুলাই চেতনা ধারণ করে মানবিক বাংলাদেশ গঠন।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম গণভোট হয়েছে এই সিলেটে। এই সিলেটই ’৪৭ সালের গণভোটে বিজয়ী হয়েছে, সুতরাং এই সিলেটবাসী এবারো গণভোটে হ্যাঁ ভোট দেবে। আর এর মাধ্যমে ন্যায় ও সাম্যের বাংলাদেশ গঠন হবে।’

রাশেদ প্রধান:

জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির সহ-সভাপতি ও মুখপাত্র রাশেদ প্রধান বলেন, ‘আজকে সিলেটের সমাবেশের মধ্য দিয়ে, ৮ দলের সমাবেশ সমাপ্ত হয়েছে। জালিমরা যদি মনে করে, ৮ দলের সমাবেশ শেষ, তাহলে ভুল করবে। ৮ দল দেশের স্বার্থে জেগে উঠবে।’

মাওলানা আব্দুল মজিদ আতাহারি:

নেজামে ইসলাম পার্টির সিনিয়র নায়েবে আমীর মাওলানা আব্দুল মজিদ আতাহারি বলেন, নারায়ে তাকবির হচ্ছে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চেতনা। এই চেতনাকে ভুলুণ্ঠিত হতে দেয়া হবে না। প্রতীকের ভোটে ৮ দলের প্রার্থীকে এবং গণভোটে জুলাই সনদকে বিজয়ী করতে হবে।

মহানগর জামায়াতের নায়েবে আমীর ড. নুরুল ইসলাম বাবুল ও সেক্রেটারী মোহাম্মদ শাহজাহান আলী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সিলেট মহানগর সভাপতি ডা: রিয়াজুল ইসলাম, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস সিলেট মহানগর সভাপতি আলহাজ্ব মাওলানা এমরান আলম, খেলাফত মজলিস সিলেট মহানগর সভাপতি মাওলানা তাজুল ইসলাম হাসান, নেজামে ইসলাম পার্টির সিলেট মহানগর সভাপতি মাওলানা মোজাম্মেল হক, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন সিলেট জেলা সভাপতি মাওলানা নাসির উদ্দিন, জাগপা সিলেট মহানগর সভাপতি শাহজাহান আহমদ লিটন ও বাংলাদেশ ডেভেলাপমেন্ট পার্টি-বিডিপির সিলেট মহানগর সভাপতি কবির আহমদের যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মুহাম্মদ মুনতাসির আলী, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ মাদানী, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মাহমুদুল হাসান, খেলাফত আন্দোলনের কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক মাওলানা মোহাম্মদ তৌহিদুজ্জামান, আতিকুর রহমান নান্নু মুন্সি, কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মাসুদ খান, জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও সিলেট জেলা আমীর মাওলানা হাবিবুর রহমান, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব আব্দুল আজিজ, খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় উলামা বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা আলী হাসান উসামা, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় উলামা বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা রেজাউল করিম আবরার, নেজামে ইসলাম পার্টির কেন্দ্রীয় ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা এহতেশামুল হক সাকি, সিলেট অঞ্চল জামায়াতের টিম সদস্য হাফিজ আব্দুল হাই হারুন, জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর হাফিজ আনওয়ার হোসাইন খান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিলেট জেলা সভাপতি মাওলানা সাঈদ আহমদ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস সিলেট জেলার সভাপতি মাওলানা মোঃ ইকবাল হোসাইন ও খেলাফত মজলিসের সিলেট জেলা সভাপতি মাওলানা নেহাল আহমদ প্রমুখ।

সভাপতির বক্তব্যে খেলাফত মজলিসের আমীর মাওলানা আব্দুল বাসিত আজাদ বলেন, ভোট দিলেই দায়িত্ব শেষ হবে না। ভোট রক্ষা করতে হবে। আমাদের বিশ্বাস দেশের সকল ইসলামী এবং দেশপ্রেমিক দলও আমাদের সাথে যোগ দিবে। আমরা অনেক দল ও জোট দেখেছি। এবার ইসলামকে ক্ষমতায় নিতে জোট করেছি। জুলাই শহীদের আশা আকাঙ্ক্ষা পূরণে ৮ দলের যুগপৎ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।

এখানে ক্লিক করে শেয়ার করুণ