নিজস্ব প্রতিবেদক :: গ্রামের এক কিশোরী (১৬) বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পেয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দীনের হস্তক্ষেপে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এই কিশোরীর বাল্যবিয়েটি বন্ধ হয়েছে। সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলা প্রশাসন ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সদর ইউনিয়নের একটি গ্রামের ওই কিশোরীর (১৬) সঙ্গে নেত্রকোণার বারহাট্টা উপজেলার এক যুবকের (২৫) বিবাহের আনুষ্ঠানিকতা বৃহঃপতিবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল। মঙ্গলবার বেলা ১টার দিকে বেসরকারি সংস্থা কর্তৃক পরিচালিত উপজেলা শিশু ফোরাম নামের একটি সংগঠনের একজন সদস্য বাল্যবিয়ের আয়োজনের খবরটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দীনকে মোবাইলে জানান। ইউএনও তাৎক্ষণিকভাবে খোঁজ নিয়ে এই বাল্যবিয়েটি বন্ধ করতে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অলিদুজ্জামানকে নির্দেশ দেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যা পৌনে ছয়টার দিকে সহকারী কমিশনার (ভূমি) সরেজমিনে কনের বাড়িতে যান। তিনি সেখানে গিয়ে বাল্যবিয়ের আয়োজনের সত্যতা পান। এ সময় ওই কিশোরীর বাবা ও মা বাড়িতে ছিলেন না। সহকারী কমিশনার (ভূমি) ওই কিশোরীর প্রতিবেশী ও আত্মীয় স্বজনদেরকে ডেকে এনে বাল্যবিয়ের কুফল ও রাষ্ট্রীয় আইনে এ ধরনের বিবাহের স্বীকৃতি নেই, এমনটি বুঝিয়ে বলার পর কিশোরীর চাচা ১৮ বছরের আগে তার ভাতিজিকে বিয়ে দেবেন না বলে লিখিতভাবে অঙ্গীকার করেন। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অলিদুজ্জামান বলেন, আমি সরেজমিনে গিয়ে এই বাল্যবিয়ের আয়োজনের সত্যতা পেয়ে বাল্যবিয়েটি বন্ধ করেছি। বাল্যবিয়েরোধে উপজেলা প্রশাসন সবসময় তৎপর রয়েছে।
ইউএনও’র হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পেল কিশোরী
২৭ নভেম্বর ২০২৪, ৫:২২ অপরাহ্ন |
পোস্টটি ১০৩ বার পড়া হয়েছে