ইয়াকুব মিয়া :: সুনামগঞ্জে জগন্নাথপুরে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বিএনপির আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জগন্নাথপুর উপজেলা ও পৌর বিএনপি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের ব্যানারে আয়োজিত জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে পৌর পয়েন্টস্থ অস্থায়ী কার্যালয়ে আয়োজিত আলোচনা সভা উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক এম এ কয়েসের পরিচালনায় এবং বিএনপি নেতা হুশিয়ার আলীর কোরআন তেলাওয়াতে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন, জগন্নাথপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, জগন্নাথপুর উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মির্জা আবুল কাশেম স্বপন, উপজেলা বিএনপির সাবেক প্রচার সম্পাদক জামিল হোসেন গেদন, উপজেলা বিএনপির সাবেক যুব বিষয়ক সম্পাদক শাহেদ আহমদ, সুনামগঞ্জ জেলা যুবদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ্ মহসিন মামুর, আশারকান্দি ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মিয়া, পাটলি ইউনিয়ন বিএনপি নেতা নুর মিয়া, খলিল মেম্বার, কমরুদ্দিন ডিডরাইটার, আব্দুল গফুর, কলকলি ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আঙ্গুর মিয়া, যুবদলনেতা এখলাছুর রহমান তালুকদার নিক্সন, বিএনপি নেতা আব্দুল ওয়াহাব, সুনামগঞ্জ জেলা যুবদল নেতা শামীনুর রহমান, জগন্নাথপুর পৌর বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রহিম, জগন্নাথপুর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম-আহবায়ক রুয়েল আহমদ রাজা, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সেলিম আহমদ, সহ-সভাপতি বাবর আহমদ, জগন্নাথপুর উপজেলা যুবদল নেতা লেবু মিয়া, আফরোজ আলী, পাটলি ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহ রুমেল, আশারকান্দি ইউনিয়ন যুবদলের সহ-সভাপতি ইমরান খান, যুবদল নেতা মুহিত কবিরী, পৌর যুবদল নেতা ফাহিম আহমদ, কামাল আহমদ, আজাদ মিয়া প্রমূখ।
সভাপতির বক্তব্যে উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান চৌধুরী বলেন, ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দের ৩ নভেম্বর মেজর জে. খালেদ মোশাররফ পাল্টা সামরিক অভ্যুত্থান ঘটিয়ে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনার ষড়যন্ত্র করেছিলেন। তখন আমাদের দেশপ্রেমিক সিপাহী ও জনতা ঐক্যবদ্ধভাবে ৭ নভেম্বর খালেদ মোশাররফের ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত প্রতিহত করে শহীদ রাষ্ট্রপতি তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল জিয়াউর রহমানকে বন্দিদশা থেকে মুক্ত করে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করে। বাংলাদেশের ইতিহাসে ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং দেশের বিরুদ্ধে সকল ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত মোকাবিলায় ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দের ৭ নভেম্বর সকল মুক্তিকামী সিপাহী জনতা রাজপথে নেমেছিলেন।
জগন্নাথপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মির্জা আবুল কাশেম স্বপন বলেন, আমাদের দেশপ্রেমিক সামরিক বাহিনী বারবার দেশকে বিদেশি আধিপত্যবাদী ষড়যন্ত্র থেকে রক্ষা করেছে। ৫ আগস্ট দেশের ছাত্র-জনতা অনেক তাজা প্রাণ ও রক্তের বিনিময় দেশকে সাড়ে ১৫ বছরের আওয়ামী ফ্যাসিবাদের কবল থেকে মুক্ত করেছে এবং দেশের সামরিক বাহিনী ছাত্র-জনতার পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। সঞ্চালক এম এ কয়েস বলেন, আমরা এমন এক সময় ৭ নভেম্বর পালন করতে যাচ্ছি যখন জাতি নানা সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। জাতিকে আবার ফ্যাসিবাদের হাতে তুলে দেয়ার জন্য নানামুখী চক্রান্ত শুরু হয়েছে। জাতি আবার ফ্যাসিবাদের পদধ্বনি শুনতে পাচ্ছে। ফ্যাসিবাদীরা ফিরে এলে জাতি এক মহাসংকটে পড়বে। এ অবস্থায় জাতিকে রক্ষা করার জন্য দেশপ্রেমিক ছাত্র-জনতা এবং বহুদলীয় গণতন্ত্রে বিশ্বাসী দল-মত-নির্বিশেষে এবং বর্তমান সরকার ও সামরিক বাহিনীকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।