আল হেলাল, সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি :: সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার গৌরারং ইউনিয়নের নিয়ামতপুর গ্রামের মৃত আমান উল্লাহ’র পুত্র ও সিআর মামলার আসামী আওয়ামী লীগ কর্মী আব্দুল মতিন (৪০) ও তার ভাই রুবেল আহমদ (৩৫) এর বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন মামলার বাদী আব্দুল কদ্দুস ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে গুজব ও অপপ্রচারের মাধ্যমে কুৎসা রটানোর অভিযোগ উঠেছে। পূর্ব বিরোধের জের ধরে জেলা পুলিশ সুপারসহ বিভিন্ন মহলে কাউন্টার অভিযোগ দায়ের ছাড়াও মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে চাচাতো ভাই জাতীয় পার্টির নেতা আব্দুল কদ্দুসকে অন্যায়ভাবে হয়রানি করে যাচ্ছে প্রতিপক্ষ ঐ দুই চাচাতো ভাই। অভিযোগে প্রকাশ,গত ২৪/০৫/২০০০ইং সনে নিয়ামতপুর গ্রামের মৃত আব্দুল হামিদের পুত্র আব্দুল কদ্দুস ও তার স্ত্রী আপ্তাবুন নেছার নামে গ্রামের সরকারী খাস খতিয়ানের ৯৮ শতক জমি বন্দোবস্ত হয়। বন্দোবস্ত লাভের পর থেকে এই জমির হালনাগাদ মাঠপর্সা গ্রহনসহ বৈধভাবে ভোগদখলে রয়েছেন আব্দুল কদ্দুস। ইদানিং ঐ জমির জন্য লোভী হয়ে জোরপূর্বক দখলে নেয়ার জন্য অপতৎপরতা চালান আব্দুল কদ্দুসের চাচাতো ভাই যথাক্রমে আব্দুল মতিন ও তার সহোদর রুবেল আহমদ। এ ঘটনায় আব্দুল কদ্দুস আমল গ্রহনকারী জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত সদর জোনে সিআর মামলা নং ৮৫৬/২০২৩ দায়ের করেন। বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে মামলাটির তদন্ত করতে গিয়ে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার এসআই মোঃ মহিন উদ্দিন গত ২৬ আগস্ট বিজ্ঞ আদালতে রুবেল আহমদ গংদের বিরুদ্ধে একখানা তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। বিজ্ঞ আদালতে দায়েরকৃত মামলাটির বৈধভাবে মোকাবেলা না করে জালিয়াতি প্রতারনার আশ্রয়ে রুবেল “জাপা নেতা আব্দুল কদ্দুসের বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলায় নিরীহ মানুষদের হয়রানীর অভিযোগ” শিরোনামে মিথ্যা ও গুজব রটিয়ে অনলাইন ও ফেইসবুক সংবাদের আশ্রয় নেন। কথিত সংবাদে বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন মামলার বাদী আব্দুল কুদ্দুস ও তার স্ত্রী অবসরপ্রাপ্ত সরকারী কর্মচারী আপ্তাবুন নেছার বিরুদ্ধে একতরফাভাবে কুৎসা রটানো হয়েছে। এ বিষয়ে মামলার বাদী আব্দুল কুদ্দুস বলেন,আমার চাচাতো ভাই পূর্ব বিরোধের জেরে বিভিন্নভাবে আমাকে হেনস্থা করে আসছে। আমার বন্দোবস্তীয় জমি তারা বর্গাচাষ করে ঐ জমির ধান আমাকে না দেয়ায় আমি তাদের উপর মামলা করেছি। পুলিশ তদন্ত করে বাদীপক্ষে তদন্ত প্রতিবেদন দিয়েছে। তারপরও আমার জমির ফসল না দিয়ে রুবেল ও মতিন ভ্রাতারা মিলে আমি ও আমার স্ত্রীর বিরুদ্ধে ফেইসবুকে অপপ্রচার চালিয়ে সমাজে আমাদেরকে হেয় প্রতিপন্ন করতে উঠেপড়ে লেগেছে। ইতিমধ্যে নিয়ামতপুর মৌজার এসএ ২৭ নং খতিয়ানের ৩৮৮ নং দাগের ৯৮ শতক ভূমির মধ্যে ৪০ শতক এবং ২৭২ নং দাগের ৩৫ শতক ও ২৯১ দাগের ৩০ শতক মালিকানাধীন জায়গা গত ২ বছর ধরে বর্গাচাষ করার পরও আমার জমির ধান প্রদান করা থেকে বিরত রয়েছে। যা পুলিশ প্রশাসন সরজমিন তদন্তে সত্যতা পেয়েছে। এরপরও ধান দেয়া থেকে বিরত থেকে আমার জমি গ্রাস করার ক্যুমতলবে একের পর এক চক্রান্ত অব্যাহত রেখেছে তারা। স্থানীয় এক গরু চোর ও ডাকাত সন্ত্রাসীদের দিয়ে তারা আমাকে খুন করার নেশায়ও মেতে উঠেছে।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবরে আমি অভিযোগ দায়ের করেছি। অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে আব্দুল মতিন বলেন,আব্দুল কদ্দুছ একজন কোটিপতি ব্যক্তি। অথচ ভূয়া ভুমিহীন সেজে তিনি সরকারী খাস খতিয়ানের জায়গা বন্দোবস্ত নিয়েছেন। আমরা তার বন্দোবস্ত বাতিলের জন্য আবেদন করেছি। নিয়ামতপুর গ্রামবাসী বলেন,২০ বছর আগে আব্দুল কদ্দুস ভূমিহীন হিসেবে জমি বন্দোবস্ত পান। এখন তিনি প্রবাসী আত্মীয় স্বজনের সহায়তায় অবস্থার উন্নতি করেছেন। একারনে প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে প্রতিপক্ষরা তার বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লেগেছে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ কর্মী আব্দুল মতিন ও তার ভাই রুবেলের হুমকি থেকে আত্মসম্মান বাঁচাতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন আব্দুল কদ্দুস ও তার স্ত্রী।