আজ, , ২২শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সংবাদ শিরোনাম :
«» যুক্তরাজ্যে ৬০ হাজার এসাইলাম প্রার্থীর আবেদন মঞ্জুর করা হবে «» পদ ধরে রাখতে প্রধান উপদেষ্টার কাছে বিশ্বনাথের ৮ ইউপি চেয়ারম্যানের স্মারকলিপি «» রাজনৈতিক কোন সুবিধা নিতে আমি যুক্তরাজ্য থেকে আসিনি- এম এ মালেক «» শেখ হাসিনার পদত্যাগ ইস্যু ‘মীমাংসিত’ : বিতর্ক সৃষ্টি না করার আহ্বান রাষ্ট্রপতির «» জগন্নাথপুরে পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার- ২ «» জগন্নাথপুরে জনতার চেয়ারম্যান সৈয়দ তালহা আলম জমিয়তের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন মহলের অভিনন্দন «» জগন্নাথপুরে বিএনপি নেতা কয়ছর আহমদের গণসংবর্ধনা সফলে সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত «» শান্তিগঞ্জে আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেফতার «» সুনামগঞ্জের যে গ্রামে গান-বাজনা নিষিদ্ধ «» দেশে ফিরেছেন যুক্তরাজ্য বিএনপির কয়ছর এম আহমদ, বিমানবন্দরে নেতাকর্মীর ফুলেল শুভেচ্ছা





এবার অনিয়মিত অভিবাসীদের যে সুযোগ দিচ্ছে ফ্রান্স

ডেস্ক রিপোর্ট :: এবার এবার অনিয়মিত অভিবাসীদের সুখবর দিয়েছে ইউরোপের দেশ ফান্স। দেশটি জানিয়েছে যেসব আইনি সেবায় রাষ্ট্রীয় আর্থিক সহায়তা পাওয়া যায় সেগুলোতে অনথিভুক্ত অভিবাসীদের সুযোগ করে দিল ফ্রান্সের সাংবিধানিক কাউন্সিল৷ এর আগে শুধু ফরাসি নাগরিক এবং নিয়মিত অভিবাসীরাই এই সুবিধা পেয়ে আসছিলেন৷

জানা গেছে, ফ্রান্সে বসবাসরত নিয়মিত অভিবাসীরা এবং ফরাসি নাগরিকেরা শ্রম এবং দেওয়ানি আদালত সম্পর্কিত আইনি বিষয়ে নিজেদের আর্থিক সক্ষমতার উপর নির্ভর করে আইনজীবীর ফি পরিশোধ করতে রাষ্ট্রীয় অর্থ সহায়তা পেয়ে থাকেন৷

 

সম্প্রতি সাংবিধানিক কাউন্সিলের নয় জন বিচারক অনিয়মিত অভিবাসীদের আইনি সহায়তার পাওয়ার সুযোগ করে দেয়ার এই রায় দিয়েছেন৷ সাংবিধানিক এই প্রতিষ্ঠানটি মূলত ফ্রান্সে পাস হওয়া আইনগুলো সংবিধানের প্রবিধানের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ কিনা তা যাচাই করে থাকে৷

সাংবিধানিক কাউন্সিলের রায়ে বলা হয়েছে, যে বিধানটি সাংবিধানিক কাউন্সিলের নজরে আনা হয়েছে, তার কারণে সংশ্লিষ্ট বিদেশিরা ফ্রান্সে তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় একজন আইনজীবীর অধিকার বঞ্চিত হয়ে আসছিল৷

আদালত বলছে, স্পষ্টতই এমন বিধান ফরাসি সংবিধান বিরোধী৷ ফরাসি বিচার ব্যবস্থায় অভিবাসী ও অনিয়মিত অভিবাসীরা সমান৷

আইনি সহায়তা কি?

ফ্রান্সে আইনি সহায়তা বা ‘এইদ জুরিডিকশিওনেল’ এমন লোকদের জন্য প্রযোজ্য যারা আদালতে একজন আইনজীবী নিয়োগ করতে চান কিন্তু প্রয়োজনীয় আর্থিক সক্ষমতার কারণে পেরে উঠেন না৷

ফরাসি রাষ্ট্র সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির পরিস্থিতি বিবেচনায় এই খরচগুলো সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে বহন করে৷ আবেদনকারীরা অবশ্য সরাসরি কোন অর্থ পান না৷ রাষ্ট্র সরাসরি তাদের আইনজীবী অথবা বিশেষজ্ঞকে এই ফি দিয়ে থাকে৷

এটি পেতে একজন ব্যক্তিকে অনলাইনে আবেদন করতে হয়৷ আবেদনকারীর অবশ্যই ‘আম্পু’ বা নিয়মিত আয়কর দেয়ার প্রমাণ থাকতে হবে, যাতে করে তার আয় দেখে আইনি সহায়তার অর্থ পরিমাপ করা যায়৷

এছাড়াও আবেদনকারীকে নিয়মিত ফ্রান্সে থাকার প্রমাণ এবং আয়সীমা নির্ধারিত স্তরের নীচে থাকার বিষয়টিও নিশ্চিত করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে৷

 

১৯৯১ সাল থেকে ফ্রান্সে অবস্থানরত অভিবাসীরা ফৌজদারি ব্যাপারে আইনি সহায়তার সুবিধা পাচ্ছেন৷ আগে এটি শুধু ফরাসি নাগরিকদের জন্য সীমাবদ্ধ ছিল৷ এছাড়া ফ্রান্সে আসা আশ্রয়প্রার্থীরা শরণার্থী ও রাষ্ট্রহীন ব্যক্তিদের জন্য নির্ধারিত ফরাসি দপ্তর অফপ্রা থেকে প্রত্যাখাত হওয়ার পর জাতীয় আশ্রয় আদালতে (সিএনডিএ) আবেদনের ক্ষেত্রে আইজীবীর নিয়োগে অর্থ সহায়তা পেয়ে থাকেন৷

 

তবে প্রত্যাখাত আশ্রয়প্রার্থীরা পরবর্তীতে অনিয়মিত হয়ে পড়লে আর কোনো আইনি সহায়তার সুযোগ পেতেন না৷ ক্ষেত্র বিশেষে কিছু অনিয়মিত অভিবাসী সেটি পেলেও তা সবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য ছিল না৷ সাংবিধানিক কাউন্সিলের রায়ের পর এখন থেকে অনথিভুক্তরাও নিয়মিতদের মতো বিভিন্ন আইনি জটিলতায় আইনজীবীর ফি দিতে রাষ্ট্রের কাছে আবেদন করতে পারবেন৷

 

ফরাসি গণমাধ্যম মিডিয়াপার্ট জানায়, সাংবিধানিক কাউন্সিলে আইনজীবী জাভিয়ের কোর্তেই প্রথম দিকে পাঁচজন আবেদনকারীর হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেন৷ কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাদের মধ্যে তিন জন আবেদনকারীর হয়ে তিনি আদালতে লড়েছিলেন৷ একজন আবেদনকারী মাঝপথে সরে দাঁড়ান এবং অন্যজন ব্যতিক্রমীভাবে আইনি সহায়তা পাওয়ায় তাকে আর আবেদনকারীদের তালিকায় রাখা হয়নি৷

 

জাভিয়ের কোর্তেই মিডিয়াপার্টকে বলেন, ‘‘অনিয়মিত পরিস্থিতিতে থাকা একজন বিদেশি ক্ষেত্রে বিশেষে ব্যতিক্রমী উপায়ে আইনি সহায়তা পেতেন৷ আমাদের আওতায় থাকা চার জনের মধ্যে মাত্র একজন ব্যক্তি অর্থ সহায়তা পেয়েছিলেন৷ যার মাধ্যমে স্পষ্টভাবে পূর্বের আইনের স্বেচ্ছাচারী প্রকৃতির চিত্র উঠে আসে।

এখানে ক্লিক করে শেয়ার করুণ