আজ, , ২২শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সংবাদ শিরোনাম :
«» যুক্তরাজ্যে ৬০ হাজার এসাইলাম প্রার্থীর আবেদন মঞ্জুর করা হবে «» পদ ধরে রাখতে প্রধান উপদেষ্টার কাছে বিশ্বনাথের ৮ ইউপি চেয়ারম্যানের স্মারকলিপি «» রাজনৈতিক কোন সুবিধা নিতে আমি যুক্তরাজ্য থেকে আসিনি- এম এ মালেক «» শেখ হাসিনার পদত্যাগ ইস্যু ‘মীমাংসিত’ : বিতর্ক সৃষ্টি না করার আহ্বান রাষ্ট্রপতির «» জগন্নাথপুরে পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার- ২ «» জগন্নাথপুরে জনতার চেয়ারম্যান সৈয়দ তালহা আলম জমিয়তের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন মহলের অভিনন্দন «» জগন্নাথপুরে বিএনপি নেতা কয়ছর আহমদের গণসংবর্ধনা সফলে সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত «» শান্তিগঞ্জে আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেফতার «» সুনামগঞ্জের যে গ্রামে গান-বাজনা নিষিদ্ধ «» দেশে ফিরেছেন যুক্তরাজ্য বিএনপির কয়ছর এম আহমদ, বিমানবন্দরে নেতাকর্মীর ফুলেল শুভেচ্ছা





চাচা- চাচতো ভাইকে জুস খাইয়ে অজ্ঞান টাকা-মালামাল নিয়ে ভাতিজার চম্পট

ছাতক প্রতিনিধি :: ছাতকে টাকা-পয়সা লুঠে নিতে চাচা ও চাচতো ভাইকে জুসের বোতলে বিষাক্ত কিছু মিশিয়ে তাদেরকে জুস খাইয়ে দিয়ে অজ্ঞান করে বসতঘর থেকে টাকা-পয়সা ও মূল্যবান মালামাল নিয়ে উধাও হয়ে গেছে উত্তর কুপিয়া গ্রামের আব্দুস সোবহানের পুত্র আব্দুল কাইয়ুম। গত রবিবার সন্ধ্যায় নোয়ারাই ইউনিয়নের উত্তর কুপিয়া গ্রামের মির্জা আব্দুল কুদ্দুসের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটেছে।
আব্দুল কাইয়ুম গ্রামের মির্জাআব্দুল কুদ্দুসের ভাতিজা।

স্থানীয় সুত্রে জানাগেছে, মির্জা কুদ্দুসের ভাতিজা আব্দুল কাইয়ুম রবিবার সন্ধ্যায় কয়েকটি জুসের বোতল নিয়ে চাচা মির্জা আব্দুল কুদ্দুসের বসতঘরে গিয়ে বলে বাজার থেকে কয়েকটি জুস এনেছি তোমাদের জন্য।
এ সময় ব্যাগ থেকে বের করে একটি জুস নিজে খায় এবং একটি করে জুসের বোতল হাতে তুলে দেয় চাচা মির্জা আব্দুল কুদ্দুস ও চাচতো ভাই মির্জা আদনান হোসেন আরিফকে। তারা দু’জন সরল বিশ্বাসে জুস খেয়ে ফেলেন। এর কিছুক্ষনের মধ্যেই তারা অজ্ঞান
হয়ে পড়লে সে চুরির কাজটি সেরে ফেলে।

মির্জা আদনান হোসেনের মা হালিমা বেগম জানান, ছেলে থাকে প্রবাসে স্বামী বৃদ্ধ, ছোট ছেলেও রোগী
তাদের সাথে আব্দুল কাইয়ুম আলাপ-আলোচনা করছে দেখে তিনি ওই সময় রান্না-বান্নার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। এরই মধ্যে সে তার মতলব সেরে ফেলেছে।তিনি অন্য রুম থেকে এসে দেখেন স্বামী ও ছেলে অজ্ঞান হয়ে পড়ে রয়েছে। এ সময় আব্দুল কাইয়ুম কিছু সহমর্মিতার ভাব করে সটকে পড়ে।

হালিমা বেগমের শোর- চিৎকারে গ্রামের লোক এসে তাদের উদ্ধার করে ছাতক হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ উন্নত চিকিৎসার জন্য মির্জা আব্দুল কুদ্দুস ও মির্জা আদনান হোসেন আরিফকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। ৩ দিন ধরে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আই সি ইউতে চিকিৎসাধীন আছেন মির্জা আব্দুল কুদ্দুস এবং ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছে মির্জা আদনান হোসেন আরিফ।

মির্জা আনোয়ার হোসেন থাকেন প্রবাসে সৌদী আরব থেকে তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করে জানান,তার পিতা মির্জা আব্দুল কুদ্দুস ও ভাই আরিফকে হত্যার জন্য চাচতো ভাই আব্দুল কাইয়ুম এ কাজ করেছে। বাড়িতে লোকজন কম থাকায় সে বার-বার বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করছে। তাদের ৪ টি গরুও আব্দুল কাইয়ুম চুরি করে নিয়েছিলো পরে ওই বিষয়টি বিচার সালিশে নিষ্পত্তি হয়েছে।

মির্জা আনোয়ার আরো জানায়,তার পিতা-ভাইকে হত্যার ষড়যন্ত্রের বিষয়টি থানা পুলিশকে সে অবহিত করেছে এবং প্রবাস থেকে থানায় একটি জিডি পাঠিয়ে দিয়েছে। তার পিতা- ভাই সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেই এ বিষয়ে একটি মামলা দায়ের করবেন।
সে জানিয়েছে আব্দুল কাইয়ুম সহ ওই পরিবারের লোকজন মামলার ভয়ে পলাতক। তাদের সকলের যড়যন্ত্রেই আব্দুল কাইয়ুম এ ন্যাক্কার জনক ঘটনা ঘটিয়েছে।

এখানে ক্লিক করে শেয়ার করুণ