তবেওপেনার নাঈম বিদায়ের পরই বিপত্তির শুরু। ৭ রান করে ফেরেন তিনি। এরপর নাজমুল হোসেন শান্তও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ১৬ বলে ৩ রান করে বোল্ড হয়েছেন বিলাল সামির বলে। শান্তের এই সিরিজে রান মাত্র ১২, যা তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারের কোনো সিরিজে সর্বনিম্ন।
তৃতীয় উইকেটে কিছুটা প্রতিরোধ গড়েছিলেন সাইফ হাসান ও তাওহিদ হৃদয়। তবে রশিদ খান বল হাতে এসেই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন। ইনিংসের ১৭তম ওভারে গুগলিতে বোল্ড হয়ে ফেরেন হৃদয়, করেন ১২ বলে ৭ রান। এরপর নিজের দ্বিতীয় ওভারেই সাইফ হাসানকে বোল্ড করেন রশিদ। ৫৪ বলে ৪৩ রান করা ওপেনারই ছিলেন দলের শেষ আশার প্রদীপ।
সাইফের বিদায়ের পর দ্রুতই ভেঙে পড়ে বাংলাদেশ। একই স্কোরে পরপর দুই বলে ফেরেন অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ ও শামীম হোসেন। মিরাজ উইকেটকিপারের হাতে ক্যাচ দেন বিলাল সামির বলে, আর শামীম রানআউট হন মাত্র ১ রানে। ৪ বলে ৩ উইকেট হারিয়ে ৭০ রানে মহাবিপদে পড়ে বাংলাদেশ।
এরপরও রশিদের আক্রমণ থামেনি। নুরুল হাসানকে এলবিডব্লু করে সিরিজে নিজের ১১তম উইকেট নিয়েছেন তিনি। এই উইকেট আফগানিস্তানের হয়ে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে সর্বোচ্চ। আগের রেকর্ডটিও ছিল রশিদের দখলে, ২০১৭ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১০ উইকেট।
শেষদিকে কিছুটা প্রতিরোধের চেষ্টা করেছিলেন তানভীর ইসলাম, কিন্তু তিনিও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। বিলাল সামির বলে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ৫ রান করে। তখন বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডে মাত্র ৮১ রান, হাতে বাকি ২ উইকেট। বিলাল শেষমেশ ৫ উইকেট নিয়েছেন। আর বাংলাদেশ অলআউট হয়েছে ৯৩ রানে, লক্ষ্য থেকে ২০০ রান দূরে থাকতেই!
এর আগে প্রথমে ব্যাট করে আফগানিস্তান তোলে ৯ উইকেটে ২৯৩ রান। ওপেনার ইব্রাহিম জাদরান সেঞ্চুরির কাছে গিয়েও আবার থামেন ৯৫ রানে। মোহাম্মদ নবীর ঝোড়ো ৩৭ বলে ৬২ রানের ইনিংস আফগানিস্তানকে বড় সংগ্রহ এনে দেয়। বাংলাদেশের হয়ে সাইফ হাসান ৪ ওভারে মাত্র ৬ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন, যদিও তাকে দিয়ে কোটা পূরণের পথে হাঁটেননি অধিনায়ক মিরাজ।










