ডেস্ক রিপোর্ট :: ভোগান্তি ও চাপ কমাতে বাংলাদেশিদের জন্য দুই বছর মেয়াদি ভারতীয় ভিসা চালুর বিষয়ে পদক্ষেপ নেবে দেশটি। মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানকের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এসে এ কথা জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী বলেন, আজ ভারতের হাইকমিশনারের সঙ্গে অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ভারতের ভিসা পেতে মানুষের যে ভোগান্তি হচ্ছে, ভিসা ব্যবস্থা আরও সহজ করার জন্য অনুরোধ করেছি, যাতে মানুষ অল্প সময়ের মধ্যে ভিসা পেতে পারে। ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করা নিয়ে হাইকমিশনারের সঙ্গে কী কথা হলো জানতে চাইলে নানক বলেন, আমরা যেসব সমস্যার কথা বলেছি, সেসব বিষয়ে হাইকমিশনার একমত হয়েছেন। হাইকমিশনার বলছেন, ‘যেসব সমস্যা রয়েছে, সেগুলো সহজ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। বেশি লোড (চাপ) হয়, যা কখনো কখনো ওভারলোড হয়ে যায়। তা সামাল দেওয়ার জন্য যা প্রয়োজন, তা করতে হবে। নানক আরও বলেন, আমি গত বছর রাজনৈতিক সফরে ভারতে গিয়েছিলাম। সে সময় ভারতের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনাকালেও বিষয়টি বলেছি। চাপ কমাতে ভারতে অন অ্যারাইভাল ভিসার কোনো উদ্যোগ নেওয়া হবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে নানক বলেন, এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। উদাহরণ হিসেবে বলেছি, সৌদি আরবও ভিসা অনেক সহজ করেছে। আপনাদের আগের জায়গায় থাকলে চলবে না। আপনারা বলছেন, ওভারলোড হচ্ছে। দুই বছর মেয়াদি ভিসা দিলে লোড কম হতো। লোড কমাতে ভিসা দীর্ঘমেয়াদি করতে হবে। এ বিষয়ে হাইকমিশনার একমত হয়েছেন।
তিনি বলেছেন, ‘তারা চেষ্টা করছেন। নির্বাচনের পরে এ বিষয়েপ্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাটের অ্যান্টি ডা¤িপং নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না, জানতে চাইলে পাটমন্ত্রী বলেন, ভারতে এখন নির্বাচন চলছে। নির্বাচনের পরে দুই সরকারের মধ্যে আলোচনা হবে। আমরা আশা করছি ফলপ্রসূ আলোচনা হবে। আমাদের লক্ষ্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির স¤পর্ক আরও দৃঢ় করা। আমরা আমাদের পাটকলগুলোতে আরও বেশি বিনিয়োগ করার জন্য বলেছি। ইতোমধ্যে ভারতের তিনটি কো¤পানি আমাদের তিনটি জুটমিলে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে এবং কারো কারো সঙ্গে আমাদের চুক্তিও হয়েছে।
পাটমন্ত্রী বলেন, আমরা ৭০ থেকে ৭৫ ভাগ পাটবীজ ভারত থেকে আমদানি করি। এ জন্য আমরা বলেছি আমাদের মানস¤পন্ন পাটবীজ দিতে হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই পাটবীজ দিতে হবে। কোনোক্রমেই যে বিলম্ব না হয়, সে বিষয়ে নজর রাখার জন্য ভারতকে অনুরোধ করেছি। এ বিষয়ে তাদের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা চেয়েছি। তিনি আরও বলেন, ভারত সিল্কে অনেক বেশি এগিয়ে গেছে। সিল্ক উৎপাদনে ভারত পৃথিবীর শীর্ষে। এ জন্য দেশে মানসম্মত সিল্ক উৎপাদনে আমাদের কারিগরি সহায়তা ও প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছি। টেক্সটাইল খাতে আমরা দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করছি। এটি আরও জোরদার করতে একমত হয়েছেন। আমাদের মাঝারি ও ক্ষুদ্র শিল্পে আরও বেশি বিনিয়োগ করার জন্য অনুরোধ করেছি। কারণ আমাদের অনেকগুলো জুটমিল বন্ধ হয়ে আছে। সেগুলোকে আবার কর্মযজ্ঞে ফেরাতে চাই। এ বিষয়ে সৌহার্দ্যপূর্ণ আলোচনা করেছি।