নিজস্ব প্রতিবেদক :: সুনামগঞ্জ “জেলা প্রাথমিক মেধা যাচাই পরীক্ষা-২০২৫” শান্তিগঞ্জে টানা ২য় বার শ্রেষ্ঠ বিদ্যালয়ের স্বীকৃতি পেয়েছে উপজেলার জয়কলস ইউনিয়নের তেঘরিয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। জানা যায়, শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুকান্ত সাহার উদ্ভাবনে, প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়নে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হয়েছিল ৪র্থ ও ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের অংশ গ্রহণে প্রাথমিক মেধা যাচাই পরীক্ষা- ২০২৫। উক্ত পরীক্ষায় শান্তিগঞ্জ উপজেলার ৯৭টি বিদ্যালয়ের সাড়ে ৫ হাজার শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছিল। উপজেলার মধ্যে শ্রেষ্ঠ বিদ্যালয় নির্বাচিত হয়েছিল উপজেলার জয়কলস ইউনিয়নের তেঘরিয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এই পরীক্ষাটি সুনামগঞ্জ জেলা সহ সারা দেশব্যাপী প্রাথমিক শিক্ষা নিয়ে এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে শুরু হয় বিশ্লেষণ ও আলোচনা। এরই ধারাবাহিকতায় সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াছ মিয়া সুনামগঞ্জ জেলার প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়নের লক্ষে জেলা প্রাথমিক মেধা যাচাই পরীক্ষা নেয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনায় অনুষ্ঠিত হয় জেলা প্রাথমিক মেধা যাচাই পরীক্ষা-২০২৫। জেলার প্রায় ৭৬ হাজার শিক্ষার্থী এই পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে। এ পরীক্ষায়ও কৃতিত্বের সাথে উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ বিদ্যালয় হিসাবে স্বীকৃতি পায় তেঘরিয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
আরো জানা যায়, বিষয় ভিত্তিক শ্রেষ্ঠ শিক্ষক হিসাবে নির্বাচিত হন, (প্রাথমিক বিজ্ঞান ও বাংলাদেশ বিশ্ব পরিচয় ৫ম শ্রেণী) তেঘরিয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষাক সুধা রঞ্জন মজুমদার, প্রাথমিক গণিত বিষয়ে উপজেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষক নির্বাচিত হন, তেঘরিয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক ইলা রানী রায়, বাংলা বিষয়ে শ্রেষ্ঠ শিক্ষক হিসাবে নির্বাচিত হন, তেঘরিয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক খালেদা আক্তার, ইংরেজি বিষয়ে শ্রেষ্ঠ শিক্ষক হিসাবে নির্বাচিত হন, তেঘরিয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মেহের নিজার জেসমিন। বিদ্যালয়ের বৃত্তি প্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা হলো ৫ম শ্রেণিতে রুপন্তি তালুকদার, দৃষ্টি দাস ঐশি, এবং ৪র্থ শ্রেণিতে বৃত্তি প্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা হলো, তানজিমুল সরদার, জিনাত শর্মিলা ও ফারিহা জান্নাত স্নেহা তালুকদার।
এ ব্যাপারে তেঘরিয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষাক সুধা রঞ্জন মজুমদার জানান, দুটি পরীক্ষায় আমরা ভালো করার জন্য শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা অক্লান্ত পরিশ্রম করেছি। সবার ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনায় এ পরীক্ষা গুলো অনুষ্ঠিত হয়েছিল। আমরা আশা করি এ রকম প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষা যেন প্রতি বছর অনুষ্ঠিত হয়। বিশেষ কৃতজ্ঞতা আমাদের উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা স্যার ও জেলা প্রশাসক স্যারের প্রতি। সেই সাথে অভিভাবক ও শুভাকাঙ্খিদের প্রতিও অশেষ কৃতজ্ঞতা।










