আল হেলাল, সুনামগঞ্জ :: সন্ত্রাস, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, চাঁদাবাজ ও সিন্ডিকেটমুক্ত নিরাপদ সুনামগঞ্জ প্রতিষ্ঠায় সুনামগঞ্জ সদর-৪ নং আসনে ধানের শীষের মনোনয়ন প্রদানের জন্য বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের প্রতি উদাত্ত আহবান জানিয়েছেন জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য ও মরমী কবি হাসন রাজার প্রৌপুত্র দেওয়ান জয়নুল জাকেরীন। তিনি বলেন,বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কর্তৃক ঘোষিত রাষ্ট্রকাঠামো সংস্কারের ৩১ দফা বাস্তবায়ন ও ধানের শীষের পক্ষ্যে দেশব্যাপী জনমত গঠনের অংশ হিসেবে আমরা সকলে মিলে সুনামগঞ্জ জেলাকে জাতীয়তাবাদী রাজনীতির দূর্গ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে নির্বাচিত সরকারের হাতে দেশের শাসনভার পরিচালনার পূর্ব পর্যন্ত আমরা রাজপথে থেকে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শ বাস্তবায়নে প্রতিশ্রæতিবদ্ধ। আপোসহীন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া যেভাবে দেশকে পরিচালনার পাশাপাশি দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন আমরাও তেমনি সকলে মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে দলকে সুসংগঠিত করতে চাই। ব্যক্তিবাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশী জাতিয়তাবাদের আদর্শে সকল দেশপ্রেমিক মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করার মধ্যে দিয়ে বৈষম্যমুক্ত নতুন বাংলাদেশ গড়তে সকলকে বিএনপির পাশে চাই। সোমবার (২৪ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টায় সুনামগঞ্জ ৪ নির্বাচনী এলাকার দিরাই মদনপুর রাস্তায় বিশাল মোটর সাইকেল শোভাযাত্রা শেষে এক সংক্ষিপ্ত পথসভায় প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে উৎসব মুখর পরিবেশে হাজার হাজার নেতাকর্মী সমর্থকদের সক্রিয় অংশগ্রহনে সুনামগঞ্জ সদর আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী,সদর উপজেলা পরিষদের একাধারে চারবারের নির্বাচিত জনপ্রিয় চেয়ারম্যান দেওয়ান জয়নুল জাকেরীনের সমর্থনে উক্ত বিশাল মোটর সাইকেল শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। সোমবার সকাল ১১টায় শহরের তেঘরিয়া লক্ষনশ্রীর বাসভবন থেকে শোভাযাত্রাটি শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে দিরাই মদনপুর রাস্তায় গিয়ে শেষ হয়।
এ সময় জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আ.স.ম খালিদ,জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি সেলিম উদ্দিন আহমদ,বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক রাজু আহমদ,সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি মইনুল হক,সুনামগঞ্জ পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর মোশাররফ হোসেন,বিএনপি নেতা সৈয়দ শফিকুল ইসলাম শফিক,আব্দুল করিম পাঠান,সুরমা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ফিরোজ মিয়া,মৎস্যজীবী লীগ নেতা আবুল হায়াত ও জাকিরুল ইসলাম তপুসহ সুনামগঞ্জ পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ড,সদর ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড কমিটির বিএনপি নেতৃবৃন্দরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য সুনামগঞ্জ সদর ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা নিয়ে গঠিত সুনামগঞ্জ ৪ আসনে সাড়ে ৩ লক্ষাধিক ভোটার কেন্দ্রীয় সিদ্বান্তের দিকে তাকিয়ে প্রতীক্ষার প্রহর গুনছেন। এই আসনটিতে কে হচ্ছেন বিএনপি জোট ও দলীয় চুড়ান্ত প্রার্থী এই ঘোষণার অপেক্ষায় ও নিশ্চিত মনোনয়ন ঘিরে উত্তাপ এখন চরমে। একের পর এক বিক্ষোভ,পথসভা ও পাল্টাপাল্টি শোডাউনে পুরো আসনজুড়ে রাজনীতির মাঠ এখন সরগরম। ভোটারদের দাবী, ১৯৯৬ সালে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুস সামাদ আজাদের সাথে সুনামগঞ্জ ৩ আসনে ধানের শীষ প্রতীকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে তীব্র প্রতিদ্ব›দ্বীতা করেন দেওয়ান জয়নুল জাকেরীন। ৪ বারের জনপ্রিয় নির্বাচিত উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছাড়াও সুনামগঞ্জ পৌরসভার নির্বাচিত চেয়ারম্যানও ছিলেন তিনি। তাই দুই উপজেলার কাঙ্কিত উন্নয়ন ও জনগনের অধিকার আদায়ে জয়নুল জাকেরীনই সবচেয়ে উপযুক্ত প্রার্থী। এছাড়া জনপ্রিয়তায় তিনি সকলের উর্ধে।
মাঠ পর্যায়ের অনুসন্ধান ও দায়িত্বশীল নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে জনপ্রিয়তা,ত্যাগ,গ্রহনযোগ্যতা ও পরিচ্ছন্ন পরীক্ষিত রাজনীতিবিদ হিসেবে তার কোন বিকল্প নেই। তৃণমূলের নেতাকর্মী সমর্থকদের কাছে তিনি সর্বাধিক গ্রহনযোগ্য নেতা ও জনগনের অন্যতম ভরসাস্থল ও আস্থার প্রতীক। সুনামগঞ্জ সদর ও বিশ্বম্ভপুর উপজেলার বিভিন্ন ওয়ার্ডে গণসংযোগ, লিফলেট বিতরণ ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পাশে দাঁড়িয়ে তিনি জনগণের আস্থা অর্জন করেছেন। তার নেতৃত্বে বিএনপির ওয়ার্ড ও ইউনিট পর্যায়ের পুনর্গঠন কার্যক্রমও জোরদার হয়েছে। সুনামগঞ্জ সদর বিশ্বম্ভপুর আসনের যুবক বৃদ্ধ কৃষক শ্রমিক ছাত্র সকল শ্রেণীর মানুষের কাছে প্রিয় নাম দেওয়ান জয়নুল জাকেরীন। বিএনপির তৃণমূল পর্যায়ের নেতা কর্মীরা বলেন আমাদের একমাত্র ভরসা তিনিই।










