আজ, , ৭ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

সংবাদ শিরোনাম :





গণভোটের ব্যালটে থাকছে যেসব প্রশ্ন

ডেস্ক রিপোর্ট :: আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনেই দেশে একটি গুরুত্বপূর্ণ গণভোট অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এই গণভোটে ব্যালট পেপারে কী ধরনের প্রশ্ন থাকবে, সে বিষয়ে একটি খসড়া প্রস্তাব তৈরি করে তা জনসমক্ষে প্রকাশ করেছে সরকার। মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে প্রধান উপদেষ্টার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে দেওয়া এক পোস্টে এই খসড়া প্রস্তাবটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হয়। প্রকাশিত খসড়া অনুযায়ী, গণভোটের ব্যালটে ভোটারদের কাছে একটিমাত্র সমন্বিত প্রশ্ন রাখা হবে। সেই প্রশ্নটি হলো: “আপনি কি জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫ এবং জুলাই জাতীয় সনদে লিপিবদ্ধ সংবিধান সংস্কার সম্পর্কিত নিম্নলিখিত প্রস্তাবগুলোর প্রতি আপনার সম্মতি জ্ঞাপন করছেন?

এই মূল প্রশ্নের অধীনে চারটি প্রধান বিষয়কে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যেগুলোর ওপর ভিত্তি করে ভোটারদের সিদ্ধান্ত জানাতে হবে।প্রস্তাবগুলোর মধ্যে প্রথমটি হলো নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার এবং নির্বাচন কমিশনসহ অন্যান্য সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো জুলাই সনদে বর্ণিত সুনির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার আলোকে গঠন করা হবে। দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাবটি হলো, আগামী সংসদ হবে দুই কক্ষবিশিষ্ট। এই প্রস্তাবে বলা হয়েছে, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রাপ্ত ভোটের আনুপাতিক হারে ১০০ জন সদস্য নিয়ে একটি উচ্চকক্ষ গঠন করা হবে। সংবিধানের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কোনো সংশোধন বা পরিবর্তন আনতে হলে অবশ্যই এই উচ্চকক্ষের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের অনুমোদন প্রয়োজন হবে। তৃতীয় প্রস্তাবে জুলাই জাতীয় সনদের আওতায় রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে ৩০টি বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে, সেগুলো বাস্তবায়নের কথা বলা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সংসদে নারীর প্রতিনিধিত্ব বৃদ্ধি করা, বিরোধী দল থেকে ডেপুটি স্পিকার ও সংসদীয় কমিটির সভাপতি নির্বাচন নিশ্চিত করা, প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ সীমিতকরণ, রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বৃদ্ধি, নাগরিকের মৌলিক অধিকার সম্প্রসারণ এবং বিচার বিভাগের পূর্ণ স্বাধীনতা নিশ্চিত করা। গণভোটের মাধ্যমে এই প্রস্তাবগুলো পাস হলে আগামী নির্বাচনে বিজয়ী দলগুলো এগুলো বাস্তবায়নে আইনত বাধ্য থাকবে। চতুর্থ প্রস্তাবে জুলাই সনদে বর্ণিত অন্যান্য সংস্কারগুলো রাজনৈতিক দলগুলোর দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুসারে বাস্তবায়ন করার অঙ্গীকার করা হয়েছে। গণভোটের দিন দেশের আপামর জনসাধারণকে এই চারটি বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে তৈরি একটিমাত্র প্রশ্নের জবাবে ‘হ্যাঁ’ অথবা ‘না’ ভোট দিয়ে সংবিধান সংস্কারের বিষয়ে তাদের সুস্পষ্ট মতামত জানাতে হবে।

 

 

এখানে ক্লিক করে শেয়ার করুণ