ইয়াকুব মিয়া (জগন্নাথপুর) সুনামগঞ্জ :: সুনামগঞ্জ-৩ আসনে রাজনীতিতে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছেন তরুণ সমাজসেবক ও জনপ্রিয় মুখ সৈয়দ তালহা আলম। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি জনতার প্রার্থী হিসেবে অংশ নিতে পারেন এ খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকায় উৎসাহ ও উদ্দীপনা ছড়িয়ে পড়েছে। বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) বিকেলে উপজেলার সৈয়দপুর-শাহারপাড়া ইউনিয়নের সৈয়দ তালহা আলমের নিজ গ্রাম পীরেরগাঁও বাজারে সর্বস্তরের মানুষের সাথে নির্বাচনী বৈঠক করেন। পীরেরগাঁও বাজার পরিচালনা কমিটির সভাপতি এবং গ্রামের বিশিষ্ট মুরুব্বি সৈয়দ দিদার আলমের সভাপতিত্বে ও ছাত্রনেতা লায়েক আহমদের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ- ৩ (জগন্নাথপুর- শান্তিগঞ্জ) আসনে সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী জননেতা সৈয়দ তালহা আলম। সৈয়দ তালহা আলমের সমর্থনে নির্বাচনী বৈঠকে বক্তব্য রাখেন গ্রামের বিশিষ্ট মুরুব্ব মোঃ ছুরেজ্জামাল, ফজর উদ্দিন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী তছর উদ্দিন, ছায়েদ আলী, পীরেরগাঁও বাজার পরিচালনা কমিটির সাধারন সম্পাদক ইকবাল হোসেন লিলু, ইউপি সদস্য খুরশেদ আলী, সবুজ মিয়া, তছর উদ্দিন। এ সময় গ্রামের প্রবীণ, তরুণ ও নারী ভোটাররাও তাকে ঘিরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন এবং সংসদ নির্বাচনে দলমতের উর্ধে উঠে তালহা আলমকে সমর্থন জানান। পীরেরগাঁও গ্রামে মোট ২ হাজার ৭শ ৯৬ ভোটার রয়েছেন, যার প্রায় সবাই প্রকাশ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন- “এবারও আমরা গ্রামের প্রার্থী সৈয়দ তালহা আলমকে বিজয়ী করব।”

পীরেরগাঁও গ্রামবাসী জানান, তালহা আলম শুধু রাজনীতিবিদ নন, তিনি গ্রামের উন্নয়ন, শিক্ষা ও মানবিক কর্মকাণ্ডে এক নিবেদিত মানুষ। দীর্ঘদিন ধরে তিনি এলাকার রাস্তাঘাট, স্কুল, মসজিদ ও দরিদ্র পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন নিরবে। সেই অবদানের স্বীকৃতি হিসেবেই গ্রামের মানুষ এবার তাকে একক প্রার্থী হিসেবে দেখতে চান। একজন গ্রামবাসী বলেন, “আমরা অতীতে উপজেলা নির্বাচনে সৈয়দ তালহা আলম ভাইকে হাজারের বেশি ভোট দিয়েছি। এবার জাতীয় নির্বাচনে তাকে সংসদে দেখতে চাই। তিনি আমাদের গ্রামের গর্ব।” রাজনীতির অভ্যন্তরীণ সমীকরণে তালহা আলম যদি প্রার্থী হন, তবে সুনামগঞ্জ-৩ আসনে তিনি হবেন অন্যতম শক্তিশালী কেন্দ্র। স্থানীয় পর্যবেক্ষকদের মতে, তার গ্রহণযোগ্যতা ও তৃণমূলের সংযোগ অন্য প্রার্থীদের তুলনায় অনেক বেশি। তরুণ ভোটারদের মধ্যে তার জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে।
সৈয়দ তালহা আলম বলেন, “আমি রাজনীতি করি মানুষের ভালোবাসার জন্য। পীরেরগাঁও সহ ও সুনামগঞ্জ- ৩ আসনের মানুষ যদি আমাকে তাদের প্রতিনিধি হিসেবে চান, তবে দলমতের ঊর্ধ্বে উঠে আমি তাদের কণ্ঠস্বর হতে চাই।” তরুণ প্রজন্মের কাছে তালহা আলম এখন পরিবর্তনের প্রতীক। দেশে-বিদেশে শিক্ষিত এই নেতা ইতিমধ্যেই তরুণদের চাকরি, উদ্যোক্তা উন্নয়ন এবং শিক্ষার সুযোগ বাড়াতে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছেন। জগন্নাথপুর ও শান্তিগঞ্জের উন্নয়নে তিনি ঘোষণা দিয়েছেন- শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কর্মসংস্থান হবে তার প্রধান অঙ্গীকার।
পীরেরগাঁও থেকে শুরু করে জগন্নাথপুর ও শান্তিগঞ্জের বিভিন্ন ইউনিয়নে ইতোমধ্যেই তালহা আলমের সমর্থকরা সক্রিয়। তারা প্রতিদিন বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। ব্যানার, পোস্টার ছাড়াই মানুষের মুখে মুখে এখন একটি নাম-
“দল নয়, প্রার্থী চাই- আমাদের তালহা আলম ভাই!” সুনামগঞ্জ-৩ আসনের রাজনীতিতে নতুন আশার আলো জ্বেলে দিয়েছেন সৈয়দ তালহা আলম। তাঁর সৎ ভাবমূর্তি, শিক্ষিত নেতৃত্ব, গ্রামীণ শিকড় ও তৃণমূলের ভালোবাসা-সব মিলিয়ে তিনি এখন এলাকার মানুষের হৃদয়ের প্রার্থী। যদি তিনি স্বতন্ত্রভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন, তবে এটি নিঃসন্দেহে হবে সুনামগঞ্জে রাজনীতির ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়।










