ডেস্ক রিপোর্ট :: সামাজিক যোগাযোগামাধ্যম ফেসবুকে হ্যা-না পোস্টের লড়াইয়ে নেমেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা। গণভোট কবে হবে তা নিয়েই এই লড়াই।বুধবার (২৯ অক্টোবর) মধ্যরাত ১২টার দিকে শুরু হওয়া বেশিরভাগ পোস্টেই এ ধরনের ছবি প্রকাশের কোনো কারণ উল্লেখ করা নেই। স্বাভাবিকভাবে অনেক মানুষ অবাক হচ্ছেন সোশ্যাল মিডিয়ার এই ট্রেন্ডটিতে। প্রকৃতপক্ষে এর পেছনের কারণ কী? কারা হ্যাঁ, কারা না এর পক্ষ নিচ্ছেন অথবা কেনই বা নিচ্ছেন? সবমিলিয়ে যে প্রসঙ্গটি আলোচনায় এসেছে তা হলো গণভোট। মূলত গণভোটের প্রশ্নে একদিকে অংশ নিয়েছে বিএনপি একদিকে জামায়াত ও এনসিপি। আর এই সিদ্ধান্তের বহিঃপ্রকাশটিই হলো হ্যাঁ এবং না ছবি পোস্ট করা। জানা গেছে, নির্বাচনের আগে গণভোট নয় এমন দাবিতে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা ফেসবুক পোস্টে নতুন প্রচারণা শুরু করেছেন। এর বিপরীতে অংশ নিয়েছে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের জন্য প্লাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। তারা গণভোটের পক্ষে প্রচারণা শুরু করেছেন। ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছিরও এ ক্যাম্পেইনে অংশ নিয়েছেন। তিনি নিজের প্রফাইলে না পোস্ট দিয়েছেন। অন্যদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজেও এমন প্রচারণা দেখা গেছে। তারা ‘হ্যাঁ’ লিখে একটি পোস্ট করেছেন। এদিকে জাতীয় নির্বাচনের আগে বা নির্বাচনের দিন গণভোটের সুপারিশ করেছে ঐকমত্য কমিশন। এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে দ্রুত যোগাযোগের তাগিদ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশমালা হস্তান্তর শেষে এ কথা বলেন কমিশনের সহসভাপতি ড. আলী রীয়াজ। এর আগে, এদিন সকালে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় সংক্রান্ত সুপারিশমালা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দেয় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে কমিশনের সদস্য আলী রীয়াজ বলেন, আজই সব রাজনৈতিক দলকে বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ার সুপারিশমালা হস্তান্তর করা হবে। সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক নয়- এমন বিষয়গুলো সরকারি অধ্যাদেশের মাধ্যমে দ্রুত বাস্তবায়নের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।










