সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি :: সুনামগঞ্জের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট শাহ আলম মহিউদ্দিন সিলেটের তালতলাস্থ পার্কভিউ প্রাইভেট হাসপাতালে গত এক মাসের অধিক সময় পর্যন্ত চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সোমবার (২৭ অক্টোবর) বিকেলে তাকে দেখতে যান সুনামগঞ্জ প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা সুনামগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি সাংবাদিক আল হেলাল। পার্কভিউ প্রাইভেট হাসপাতালের ১২ তলার সার্জারী ৬২ নং বেডে বিজ্ঞ আইনজীবীর শয্যাপাশে দীর্ঘক্ষণ অবস্থান করে তার চিকিৎসার খবর নেন তিনি। সুনামগঞ্জের ইব্রাহিমপুর নিবাসী মোঃ এনাম উদ্দিন ও বিজ্ঞ আইনজীবীর আপন ভ্রাতুষ্পুত্র সাইফুজ্জামান মোহন এ সময় উপস্থিত ছিলেন। সাংবাদিক আল হেলাল,বিজ্ঞ আইনজীবীর দীর্ঘদিনের সমাজসেবা মূলক কর্মকান্ডে তার সক্রিয় অবদানের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তাঁর চিকিৎসা পরবর্তী শারীরিক সুস্থতা,সাফল্য ও দীর্ঘজীবন কামনা করেন। উল্লেখ্য অ্যাডভোকেট শাহ আলম মহিউদ্দিন ১৯৫৭ইং সনের ১৬ জুন সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার জামালগঞ্জ সদর উত্তর ইউনিয়নের রামপুর গ্রামে এক স¤্রান্ত ধর্মপ্রাণ মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহন করেন। তাঁর পিতা ডাঃ আব্দুস ছাত্তার পীর একজন চিকিৎসক ও নি:স্বার্থ সমাজসেবক ছিলেন। জীবদ্ধশায় আব্দুস ছাত্তার পীর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কমিটির সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন। জামাতের আমীর অধ্যাপক গোলাম আযম সত্তর দশক থেকে মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত নিয়মিত পত্র লিখে দলের নিবেদিত নেতা আব্দুস ছাত্তার পীরের খোঁজখবর রাখতেন। ৪ ভাই ও ২ বোনের মধ্যে তারা ৩ ভাই বর্তমানে জীবিত আছেন। এর মধ্যে কনিষ্ট ভ্রাতা এডভোকেট শাহ কুতুব উদ্দিন ঢাকার জয়েন্ট স্টক কোম্পানীর কনসালটেন্ট হিসেবে কর্মরত আছেন। ১৯৯৯ইং সনের ৭ ডিসেম্বর তাঁদের পিতা আব্দুস ছাত্তার পীর মৃত্যুবরন করেন। সুনামগঞ্জের আরপিননগর নিবাসী বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সমাজসেবক গোলাম কাদির সাহেবের তৃতীয় কন্যা ও অ্যাডভোকেট শাহ আলম মহিউদ্দিনের সুযোগ্য সহধর্মীনি জাহানারা খাতুন ২০২১ইং সনের ১৭ নভেম্বর ইন্তেকাল করেন। এরপর থেকে নি:সন্তান অবস্থায় চরম একাকিত্ব ও অসহায়ত্বের সাথে আরপিননগরে অবস্থান করে নিয়মিত আইন ব্যবসায় সক্রিয় অবদান রাখার পাশাপাশি অতিমাত্রায় ডায়াবেটিসে আক্রান্ত অবস্থায় দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসার একপর্যায়ে তিনি পার্কভিউ হাসপাতালে ভর্তি হন। চিকিৎসকরা তাকে সুস্থ রাখতে গিয়ে তার বাম পায়ের হাটুর নীচে অপারেশনের পর পা কেটে ফেলে তাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন।
অ্যাডভোকেট শাহ আলম মহিউদ্দিন রাষ্ট্রবিজ্ঞানে এম.এস.এস পাশ করার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি পাশ করে আইন পেশায় নিয়োজিত হন। দীর্ঘদিন বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টে প্রাকটিস করেন। ট্যাক্স,ভ্যাট,কোম্পানী ম্যাটার,প্রিন্টিং,প্রিন্টিং টেকনোলজী এন্ড ইমিগ্রেশন অ্যাডভাইজর হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেন রাজধানীতে। এসময় ঢাকার শান্তিনগর থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক দশদিশা পত্রিকা সম্পাদনা করেন নিয়মিত। কর্মব্যস্ততার অবসান ঘটিয়ে বেশ কিছুদিন তিনি সিলেট জেলা জজ আদালতেও আইন পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। ঢাকা ও সিলেটের বিভিন্ন ফোরামে আইনপেশা ও সামাজিক অবদানের স্বীকৃতিস্বরুপ তিনি একাধিকবার আন্তর্জাতিক ও জাতীয় পর্যায়ে স্বর্ণপদকে ভূষিত হন। পরে সুনামগঞ্জে এসে রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির আজীবন সদস্য, বাউল কামাল পাশা সংস্কৃতি সংসদ, সুনামগঞ্জ ও জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার লিগ্যাল অ্যাডভাইজরসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে অত্যন্ত সততা ও সাহসিকতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন। আইন পেশায় ব্যস্ত সময় অতিবাহিত করার একপর্যায়ে তিনি বার্ধক্যজনিত কারণে নানা জটিল ব্যধিতে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা গ্রহনের ধারাবাহিকতায় সর্বশেষ তিনি পার্কভিউ হাসপাতালে ভর্তি হন।


সিলেটে চিকিৎসাধীন সুনামগঞ্জের সিনিয়র আইনজীবী শাহ আলম মহিউদ্দিনের শয্যাপাশে সাংবাদিক আল হেলাল
২৮ অক্টোবর ২০২৫, ১:৩২ পূর্বাহ্ন|
পোস্টটি ১১৫৩ বার পড়া হয়েছে








