আজ, , ১২ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সংবাদ শিরোনাম :





প্রেমিকাকে হত্যার ঘটনায় প্রেমিক গ্রেফতার

ডেস্ক রিপোর্ট :: মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার প্রেমিকাকে হত্যার ঘটনায় রনজিত সাঁওতাল (২১) নামে প্রেমিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সে উপজেলার রাজঘাট ইউনিয়নের উদনাছড়া চা বাগানের ৮নং বস্তির শংকর সাওতালের ছেলে এবং একই চা বাগানে ইলেকট্রিশিয়ান মিস্ত্রি। হত্যার শিকার বিশ্বমনি দাস (২৫) উপজেলার রাজঘাট ইউনিয়নের উদনাছড়া চা বাগানের ৮নং বস্তির মৃত লক্ষীন্দর দাসের মেয়ে। সে নিরালা পান পুঞ্জিতে শ্রমিকের কাজ করতো। এব্যাপারে শ্রীমঙ্গল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে নিহতের ভাই সুকমার দাস (২২)। মঙ্গলবার রাতে প্রেমিককে নিজ এলাকার একটি বিয়ে বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। বুধবার দুপুরে আদালতে প্রেরণ করা হয়ে। শ্রীমঙ্গল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মোবারক হোসেন খাঁন মঙ্গলবার ভোররাতে রনজিত সাঁওতালকে তার নিজ এলাকার একটি বিয়ে বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার আগে গত ৭ ডিসেম্বর বিশ্বমনি দাসের মৃতদেহ উদনাছড়া চা বাগানের ১১ নং সেকশন থেকে উদ্ধার করা হয়। তিনি জানান, হত্যার শিকার বিশ্বমনি দাশের সাথে রনজিত সাওতালের দীর্ঘ দিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। প্রেম থেকে শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে যায় তারা। এক পর্যায়ে বিশ্বমনি গর্ভবর্তী হয়ে পড়ে। পরে বিয়ের জন্য মেয়ের পরিবার চাপ দেয়। রনজিত পেটের বাচ্ছা গর্ভপাত ঘটাতে বিশ্বমনিকে ওষুধ কিনে দেয়। তাতে কাজ না হওয়ায় আবারও বিয়ে প্রস্তাব দেয় এবং বিয়ে না করলে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার হুমকি দেয় বিশ্বমনি। হত্যাকান্ডের দিন গত ৫ ডিসেম্বর সকালে সহকর্মীদের সাথে বিশ্বমনি দাস কাজের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিরালা পান পুঞ্জিতে যায়। ওই দিন বিকেলে বাড়ী ফেরার সময় উদনাছড়া চা বাগানের ১১নং সেকশনের ভাঙ্গা ব্রীজ এলাকায় পৌঁছলে সহকর্মীদের বাথরুমে যাওয়ার কথা বলে তাদেরকে চলে যেতে বলে বিশ্বমনি। সহকর্মীরা চলে যাওয়ার পর সে প্রেমিক রনজিত সাঁওতালের সাথে দেখা করে এবং আবারো বিয়ের করার প্রস্তাব দেয়। রনজিত বিয়ে করতে অপারগতা প্রকাশ করলে সাথে থাকা বিষ পান করে বিশ্বমনি। বিষপানের পর বিশ্বমনির মুখে ফেনা আসে এবং জোরে জোরে শব্দ করতে থাকে। এসময় রনজিত তাকে গলায় ওড়না পেঁছিয়ে বাগানের ভেতরে টেনে নিয়ে যায়। এবং একটি গাছের সাথে বেঁধে রাখে।

ঘটনার পর বিশ্বমনিকে খুঁজে না পেয়ে চা বাগানের বিভিন্ন সেকশনে খোঁজ করতে থাকে পরিবার। এক পর্যায়ে গত ৭ ডিসেম্বর শনিবার তার লাশ উদনাছড়া চা বাগানের ১১নং সেকশনের ভিতরে একটি গাছের নীচে ওড়না দিয়ে গলায় বাঁধা অবস্থায় দেখতে পান। বিষয়টি থানা পুলিশকে জানালে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে এবং ময়না তদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে। তিনি আরো জানান, রনজিত সাঁওতালকে গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে সে পুরো বিষয়টি স্বীকার করে এবং বিশ্বমনির মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।

এখানে ক্লিক করে শেয়ার করুণ