আজ, , ৭ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

সংবাদ শিরোনাম :





এক জ্ঞানী মুরুব্বীর গল্প : কাজী মোহাম্মদ জমিরুল ইসলাম মমতাজ

কেহ কষ্ট নিবেন না, কাল্পনিক গল্প তবে বর্তমান সময়ে বাস্তবতার নিরিখে অধিকাংশ ক্ষেত্রে মিলে যায়।

 

গল্প শুনেছিলাম এক গ্রামে এক জ্ঞানী মুরুব্বী বাস করতেন, তিনি নিজের ফায়দা হাসিলে ব্যস্ত সময় পার করতেন, তিনি গ্রামের সবাইকে ভয় ও আতংকের মাঝে রাখতেন। গ্রামের কেহ যদি জ্ঞানী মুরুব্বীর কথা না শুনত, তাকে বা তাদেরকে গ্রাম্য জামেলায় বা মামলায় জড়িয়ে জিম্মি করে রাখতেন, যাতে জ্ঞানী মুরুব্বীকে মেনে চলে। মানুষ ভয়ে তাকে হাজিরা দিত, তাঁর কথা মত চলত।

 

একদিন জ্ঞানী মুরুব্বী গ্রামের সকল শ্রেণীর মানুষকে এক জায়গায় জড়ো করে কান্নাজনিত কন্ঠে বল্লেন প্রিয় গ্রামবাসী শুনেন, দেখেন আমি আপনাদেরকে অনেক কষ্ট দিয়েছি যন্ত্রণা দিয়েছি, সে কষ্ট দেয়ার সাজা হিসাবে একটা ওসিয়ত করে যেতে চাই। ওসিয়তটি হল আমি হয়ত বেশী দিন বাঁচবনা, যেদিন মারা যাব, আমাকে শাস্তি স্বরূপ, আপনারা আমাকে আমাদের গ্রামের তিন রাস্তার মোড়ে বড় একটা বাঁশ খাড়া করে, বাঁশের উপরে আমাকে রেখে শাস্তি দিবেন, কেননা আপনাদের কষ্ট দেয়ার জন্য আমি মরেও একটু শান্তি পাব।

 

গ্রামের সহজ সরল মানুষজন ওসিয়ত অনুযায়ী তিন রাস্তার মোড়ে জ্ঞানী মুরুব্বীকে বাঁশের আগায় লটকাইয়া রেখে দিল। পরে কি হল জানেন? এ ঘটনা শুনে থানা পুলিশ হাজির হল, আর গ্রামের সহজ সরল মানুষজন হয়রানিতে পড়ল।

 

আমাদের সমাজে এমনও মানুষ বাস করেন, মানুষে মানুষে বিবাদ লাগিয়ে নিজে ফায়দা লুটেন, আর নিজে খুবই ক্ষমতাবান ভাবেন। যিনি জীবিত থাকতে মানুষদের কষ্ট, যন্ত্রণা দিয়েছেন, জ্ঞানী মুরুব্বী মরেও গ্রামের সহজ সরল মানুষদের বিপদে রেখেগেছেন।

 

মোট কথা আমি এটাই বলতে চাই, কিছু সংখ্যক গ্রাম্য জ্ঞানপাপী মানুষ থেকে দূরে থাকি নিরাপদ থাকি শান্তি থাকি।

 

প্রিয় শুভাকাঙ্খীরা বর্তমান সময়ে এমন জ্ঞানপাপীদের সংখ্যা বেশী, তাই বাস্তবতার আলোকে লিখার চেষ্টা করেছি, ভূল ত্রুটি হলে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি ।

লেখক: কাজী ও সাংবাদিক।

এখানে ক্লিক করে শেয়ার করুণ