নিজস্ব প্রতিবেদক :: সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জে ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষ্যে র্যালী ও সমাবেশ করেছে শান্তিগঞ্জ উপজেলা বিএনপি। আজ শুক্রবার (৮ নভেম্বর) বিকাল সাড়ে ৪ টায় উপজেলার শান্তিগঞ্জ বাজারে কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি ও সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য আনছার উদ্দিনের নেতৃত্বে এই র্যালী অনুষ্ঠিত হয়। শান্তিগঞ্জের ডুংরিয়া রোড থেকে র্যালীটি বের হয়ে সিলেট-সুনামগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়ক প্রদক্ষিণ শেষে শান্তিগঞ্জ বাজার বাসস্ট্যান্ডে এসে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি ও সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য আনছার উদ্দিন। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, ‘স্বাধীন বাংলাদেশে ঐতিহাসিক ৭ই নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের তাৎপর্য স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবসের চেয়ে কোনো অংশে কম নয়। ১৯৭২ সালে বাকশাল কায়েম করে একদলীয় শাসন করেছিল আওয়ামী লীগ। ১৯৭৫ সালের নভেম্বরে এই বাকশালী চক্র মিলে মহান স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমানকে বন্ধি করে রেখেছিল। ফলে ৭ই নভেম্বর সিপাহি-জনতা মিলে বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে বন্ধিদশা থেকে মুক্ত করে এনেছিল। সেই দিনই কার্যত বহুদলীয় গণতন্ত্রের বীজ রুপিত হয়েছিল। আপনারা জানেন শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান মহান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে রনাঙ্গনে যুদ্ধ করে লাল সবুজের পতাকার বিজয় ছিনিয়ে এনেছিলন। কিন্তু স্বৈরাচার শেখ হাসিনা বিগত ১৬ বছর শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও তাঁর পরিবারের ইতিহাস মুছে ফেলতে নানা রকমের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল। কিন্তু ছাত্র-জনতার গণঅভ্যূত্থানে ফ্যাসিস্ট খুনি হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে। বিদেশে গিয়েও সে এবং তার দোসররা দেশকে অস্থিতিশীল করতে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। দেশ নায়ক তারেক রহমানের স্পষ্ট বার্তা খুনি হাসিনার সব ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার আগ পর্যন্ত বিগত দিনের মতো রাজপথে থেকে সব ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে হবে। তিনি আরো বলেন, ‘বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রতিক ধানের শীষ প্রতিক নিয়ে মানুষের ঘরে ঘরে যেতে হবে। তরুণ প্রজন্মকে ধানের শীষ প্রতিকের নায়ক শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ইতিহাস জানাতে হবে।’
এসময় র্যালীতে উপস্থিত ছিলেন, ‘সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটির সদস্য নুর আলী, উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি লুৎফুর রহমান, উপজেলা বিএনপি নেতা হাজি কমর উদ্দিন, মহির উদ্দিন, হারুন রশিদ, শামসু্দ্দিন মিয়া, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আঙ্গুর মিয়া, বিএনপি নেতা আতিকুর রহমান আতিক, আকিল মিয়া, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক ফরমান উদ্দিন, জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হোসাইন আহমদ, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শহিদ নুর, বিশ্বজিৎ দে বিরাজ, মনসুর আলম, শফিক উদ্দিন, ইমরুল কায়েছ, জয়কলস ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি গোলাম রব্বানী, বিএনপি নেতা এমদাদুল হক, জেলা কুষকদলের সদস্য ফারুক মিয়া, উপজেলা কৃষকদল নেতা মাহবুব তালুকদার মেম্বার, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল কাদির জিলানী, দেলোয়ার হোসেন, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মাছুম আহমদ, শহিদুল ইসলাম, উপজেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসনাত, জেলা শ্রমিকদলের প্রচার সম্পাদক বজলুর রহমান, দরগাপাশা ইউপি যুবদলের সভাপতি ছালিক আহমদ, সাধারণ সম্পাদক আখলুছ মিয়া, শিমুলবাঁক ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি মুহিবুর রহমান মানিক, উপজেলা যুবদল নেতা সুহেল মিয়া, সিজিল আহমদ রনি, এখলাছুর রহমান, রাফিক মিয়া, মনসুর আলম, রিপন মিয়া, জুয়েল চৌধুরী, সৈয়দ টিপু আলী, আনোয়ার হোসেন, লিটন মিয়া, জয়কলস ইউপি যুবদল নেতা মোস্তফা মিয়া, রায়হান আহমদ, সুহেল মিয়া, সবুজ মিয়া, মাছুম আহমদ, ছাদিকুর রহমান, রাসেল আহমদ, রুবেল মিয়া, জাবেদ মিয়া, পাথারিয়া ইউনিয়ন বিএনপি নেতা পাশা মিয়া, সামছুন নুর, ছাব্বির আহমদ, শিব্বির মিয়া, জিয়া উদ্দিন, পশ্চিম বীরগাঁও ইউনিয়ন যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক রুবেল মিয়া, শিমুলবাঁক ইউনিয়ন বিএনপি নেতা রেজু মিয়া, যুবদল নেতা হুমায়ুন কবির, ফরিদ মিয়া, কিবরিয়া, ফয়জুল ইসলাম, উপজেলা ছাত্রদল নেতা ইমরান হোসেন, আবু তাহের ইমন, জামিউল হোসেন জনি, জাবেদ আহমদ, জায়েদ মিয়া, মোয়াজ আহমদ সোহান, সাইদুল ইসলাম প্রমুখ।