ডেস্ক রিপোর্ট :: গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর সিলেটে গ্রেফতার হওয়া বেশ কয়েকজন নেতা জামিনে কারামুক্ত হয়েছেন। মুক্ত হওয়া নেতাদরে মধ্যে সাবেক মন্ত্রী, এমপি ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রয়েছেন। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার বিকালে সুনামগঞ্জ কারাগার থেকে জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ও সাবেক এমপি মুহিবুর রহমান মানিক কারামুক্ত হন। অসুস্থ ও বয়স্ক বিবেচনায় আদালত তাঁর জামিন মঞ্জুর করেছেন বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। গেল ৭ অক্টোবর রাজধানী থেকে র্যাব মানিককে গ্রেফতার করে। সরকার পতনের পর থেকেই সিলেটে আওয়ামী লীগ, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা আত্মগোপনে রয়েছেন। দেশ ছেড়ে পালান সিলেটের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ। কেউ আশ্রয় নেন ভারতে। কেউ কেউ ভারত হয়ে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে পাড়ি জমান। ইতোমধ্যেই দেশে-বিদেশে অবস্থানরত এসব নেতাকে আসামি করে কয়েকশ মামলা করা হয়েছে। থানা ও আদালতে করা হচ্ছে একের পর এক মামলা। আসামি হচ্ছেন সাবেক মন্ত্রী-এমপি-চেয়ারম্যান থেকে নিয়ে দলটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। আর এসব মামলায় সিলেট বিভাগে গ্রেফতার হয়েছেন অন্তত অর্ধশত আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সারির নেতা। তাদের মধ্যে আওয়ামী লীগ ও দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সাবেক মন্ত্রী, এমপি, উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রয়েছেন।
গ্রেফতার হওয়া এসব নেতাদের মধ্যে জামিনে জেল থেকে মুক্তি পেয়েছেন বেশ কয়েকজন। এরমধ্যে রয়েছেন সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী ও সুনামগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এম এ মান্নান, সাবেক বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী ও হবিগঞ্জর সাবেক এমপি মো. মাহবুব আলী, সুনামগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ শামীম আহমদ, গোয়াইনঘাট উপজেলার ডৌবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম নিজাম উদ্দিন, জগন্নাথপুর পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়র সাফরোজ ইসলাম মুন্না।