ডেস্ক রিপোর্ট :: যে বয়সে স্কুলে যাওয়ার কিংবা পড়ালেখা নিয়ে ব্যস্ত থাকার কথা, বন্ধুদের সাথে হৈ-হুল্লোড় আর খেলাধুলা করার কথা, সে বয়সেই অভাবের তাড়নায় পথের ফেরিওয়ালা শিশু মামুন। পিঠে বইয়ের ব্যাগের পরিবর্তে তার গলায় ঝুলছে পানের বাক্স। সিলেটের সীমান্তবর্তী গোয়াইনঘাট উপজেলার পর্যটনকেন্দ্র জাফলংয়ে ঘুরতে আসা পর্যটকদের কাছে হেঁটে হেঁটে সকাল থেকে সন্ধ্যা পান বিক্রি করে চলছে শিশুটি। জাফলং মোহাম্মদপুর এলাকার বাসিন্দা হতভাগা মামুন তিন ভাইবোনের মধ্যে সে সবার বড়। বয়স আনুমানিক ১০ বছর হবে। কথা হয় মামুনের সাথে, সে একাত্তরের কথা-কে জানায়, পান বিক্রি করে প্রতিদিনের আয় ১০০-১৫০ টাকা। মামুনের বাবা রুহুল আমীন পাথর মেইলে পাথর ভাঙার কাজ করতেন আর মা হেলেনা বেগম গৃহিণী। কিন্তু দীর্ঘদিন থেকে পাথর কোয়ারী বন্ধ থাকায় বাবার আয় রোজগার নেই। বাবা মায়ের অভাবের সংসারে সহযোগিতা করতে সে কষ্ট তাকে সইতে হয়।
মামুন জানায়, গলায় ভারী পানের বাক্স ঝুলিয়ে সারাদিন ফেরি করে চলতে তার ভীষণ কষ্ট হয়। লেখাপড়া করতে চায় মামুন, চায় তিনবেলা দু-মুঠো ভাতের জোগান।
শিশু মামুনের কাঁধে সংসারের বোঝা
৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৪৪ পূর্বাহ্ন |
পোস্টটি ৭৮ বার পড়া হয়েছে