নিজস্ব প্রতিবেদক :: সমন্বয়ক দাবিদার আজমলকে গ্রেফতার দাবিতে চব্বিশ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়ে অপরাধ জগতের নতুন মাস্টারমাইন্ড, কথিত সমন্বয়ক দাবিদার সিলেটের গোয়াইঘাট উপজেলার লেঙ্গুড়া গ্রামের আজমল হোসেন ও তার সহযোগীদের চাঁদাবাজি, রাহাজানি, হয়রানি এবং বিভিন্ন অপকর্মের বিরুদ্ধে দ্রুত গ্রেফতার সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে সর্বস্তরের এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে এক গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ২৬ সেপ্টেম্বর দুপুর থেকে গোয়াইনঘাট কেন্দ্রীয় মুক্তমঞ্চে গণস্বাক্ষর কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে স্বাক্ষর করেন বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষজন। গণস্বাক্ষর কর্মসূচি থেকে ভূয়া সমন্বয়ক দাবিদার আজমলকে গ্রেফতার করতে এলাকাবাসী চব্বিশ ঘন্টার আল্টিমেটাম প্রদান করেন। আজমল নৌকা ও বলগেট থেকে চাঁদাবাজি, সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে হয়রানি এবং সড়কের বিভিন্ন যানবাহন থেকে চাঁদাবাজি আদায় সহ তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগের শেষ নেই।
ইতোপূর্বে আজমল কর্তৃক সাংবাদিক লাঞ্চনাসহ শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। তার বিরুদ্ধে গোয়াইনঘাট থানা ও সেনাবাহিনীর কাছে ভুক্তভোগী মহল থেকে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
গণস্বাক্ষর কর্মসূচিতে উপস্থিত ছাত্র-শিক্ষক, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী, শ্রমিক, দিনমজুর কর্তৃক ঘোষিত চব্বিশ ঘন্টার আল্টিমেটাম বাস্তবায়নে প্রশাসনের প্রতি জোড় দাবি জানানো হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক আসাদুল্লাহ গালিব বলেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গোয়াইনঘাটে আমাদের কোন সমন্বয়ক নেই। কেউ নিজেকে সমন্বয়ক দাবি করে ভুয়া পরিচয় দিলে তাকে ধরে আইনের হাতে সর্পোদ করবেন।
সন্ধ্যার পর গণস্বাক্ষরের একটি কপি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বরাবরে প্রদান করা হয়।তিনি গণস্বাক্ষর কর্মসূচির কপির প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করেন।