খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা জানতে চাইলে তিনি বলেন, কিছুটা সুস্থতাবোধ করছেন। ক্রনিক লিভার ডিজিজ এমন একটা ডিজিজ, সাময়িকভাবে কিছুদিন সুস্থ থাকেন, আবার কয়েকদিন পর অসুস্থ হয়ে যান। এজন্য তার স্থায়ী চিকিৎসার জন্য মালটি ডিসিপ্লিনারি অ্যাডভান্স সেন্টারে নেওয়া প্রয়োজন। এখন বাসায় চিকিৎসা চলবে।
ডা. জাহিদ বলেন, বাইরে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন দেখা দিয়েছে বিমানযাত্রার যে সময়। যখন সুস্থ মানুষও প্লেনে উঠে, উঠা ও নামার সময় যে স্ট্রেস তা উনি সহ্য করতে পারবেন কি পারবেন না সেটা দেখতে হবে। উনার শারীরিক সুস্থতা হচ্ছে এক নম্বর অগ্রাধিকার। এজন্য মেডিকেল বোর্ড যখনই প্রয়োজনবোধ করবে বাইরে পাঠানো যায়, আমরা তখনই নিয়ে যাবো। বিমানযাত্রা করার মতো সুস্থতা লাভ করলেই তাকে বিদেশে নেওয়া হবে।
বিদেশে নেওয়ার প্রস্তুতির বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের মেডিকেল প্রস্তুতি যেটা দরকার তা কমপ্লিট। আমেরিকা ও যুক্তরাজ্যের দুটি হাসপাতালেরই কনসালট্যান্ট থেকে শুরু করে সবকিছু ফাইনাল করে রেখেছি। আমরা কিভাবে নেব তাও ঠিক করে রেখেছি। আইনগত দিক যা আছে সে ব্যাপারে বর্তমান সরকারের সঙ্গেও কথা বলেছি। এখন বিষয়টি উনার শারীরিক সুস্থতার ওপর নির্ভর করছে।