ডেস্ক রিপোর্ট :: ভালোবেসে বিয়ের ৫ মাসের মাথায় তাসনুবা আকতার চাঁদনী নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১২ জুন) সন্ধ্যায়।চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলায় স্বামীর বাড়ি থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত পাইন্দং ইউনিয়নের বধূ তালুকদার বাড়ির দফাদার শফিউল আলমের ছেলে সাহাব উদ্দিনের স্ত্রী। এ ঘটনার পর থেকে ট্রাকচালক স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছে। স্বজনরা জানিয়েছে, চাঁদনীর বাপের বাড়ি হাটহাজারী উপজেলার ধলই ইউনিয়নে হলেও মায়ের মৃত্যুর পর সে বড় হয়েছে ফটিকছড়ির সুন্দরপুর ইউনিয়নের নানার বাড়িতে। চাঁদনী স্কুলে যাওয়া আসার পথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে সাহাব উদ্দিনের সঙ্গে। পরে চলতি বছরের জানুয়ারিতে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় তাদের। চাঁদনীর নানা আরিফুর রহমান মিয়া অভিযোগ করে বলেন, বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন বিষয়ে তার নাতনির সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে আসছিল শ্বশুরবাড়ির লোকজন। অকথ্য ভাষায় গালাগালিসহ প্রতিনিয়ত মানসিক নির্যাতন চালাতো তারা। শ্বশুরবাড়ির লোকজনের নির্যাতন ও অত্যাচারে একাধিকবার অসুস্থ পড়েছিল চাঁদনী। এ নিয়ে দুই পরিবারে কয়েক দফা বৈঠকও হয়েছে। তার দাবি, চাঁদনীকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দিয়েছে শ্বশুরবাড়ির লোকজন। ফটিকছড়ি থানার ওসি নুর আহমেদ বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়। শুক্রবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এটি হত্যা না আত্মহত্যা সেটি ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলেই জানা যাবে।