আজ, , ২২শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সংবাদ শিরোনাম :
«» যুক্তরাজ্যে ৬০ হাজার এসাইলাম প্রার্থীর আবেদন মঞ্জুর করা হবে «» পদ ধরে রাখতে প্রধান উপদেষ্টার কাছে বিশ্বনাথের ৮ ইউপি চেয়ারম্যানের স্মারকলিপি «» রাজনৈতিক কোন সুবিধা নিতে আমি যুক্তরাজ্য থেকে আসিনি- এম এ মালেক «» শেখ হাসিনার পদত্যাগ ইস্যু ‘মীমাংসিত’ : বিতর্ক সৃষ্টি না করার আহ্বান রাষ্ট্রপতির «» জগন্নাথপুরে পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার- ২ «» জগন্নাথপুরে জনতার চেয়ারম্যান সৈয়দ তালহা আলম জমিয়তের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন মহলের অভিনন্দন «» জগন্নাথপুরে বিএনপি নেতা কয়ছর আহমদের গণসংবর্ধনা সফলে সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত «» শান্তিগঞ্জে আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেফতার «» সুনামগঞ্জের যে গ্রামে গান-বাজনা নিষিদ্ধ «» দেশে ফিরেছেন যুক্তরাজ্য বিএনপির কয়ছর এম আহমদ, বিমানবন্দরে নেতাকর্মীর ফুলেল শুভেচ্ছা





জাকাতের নিয়তে বকেয়া টাকা মাফ করে দিলে আদায় হবে?

দৈনিক জগন্নাথপুর পত্রিকা ডেস্ক :: প্রশ্ন: এক ব্যক্তির মুদিখানার দোকান আছে। তার এই ব্যবসার জাকাত এসেছে ১০ হাজার টাকা। সে এক গরীব লোকের কাছে ৫ হাজার টাকা পাবে। এখন যদি ঋণগ্রহিতাকে ওই টাকাগুলো মাফ করে দেয় তাহলে ওই ব্যক্তির জাকাত আদায় হবে কি?

 

উত্তর: না। এভাবে পাওনা টাকা মাফ করে দিলে জাকাত আদায় হবে না। এক্ষেত্রে করণীয় হল, ঋণী ব্যক্তি যদি জাকাত গ্রহণের যোগ্য হয় তাহলে তাকে প্রথমে জাকাতের টাকা দিয়ে দিতে হবে। এরপর তার থেকে নিজের ঋণ উসূল করে নিবে। এ পন্থায় নিজের জাকাতও আদায় হয়ে যায় আবার ঋণও উসূল হয়ে যায়।

জাকাত আরবি শব্দ। এর আবিধানিক অর্থ বৃদ্ধি, পবিত্রতা, পরিচ্ছন্নতা ইত্যাদি।

 

ইসলামি পরিভাষায় ধনী ব্যক্তিদের নিসাব (নির্ধারিত) পরিমাণ সম্পদ থাকলে নির্দিষ্ট অংশ গরিব অভাবী লোকদের মধ্যে বিতরণ করে দেওয়াকে জাকাত বলে।

 

জাকাত অসহায় ও দরিদ্রের অধিকার। ধনীদের শরিয়তের বিধান অনুসারে জাকাত আদায় করা একান্ত আবশ্যক।

 

জাকাত প্রদান করা দরিদ্রের প্রতি ধনী লোকদের কোনো দয়া বা অনুগ্রহ নয়, বরং জাকাত হল দরিদ্র লোকের প্রাপ্য বা অধিকার। মহান আল্লাহ বলেন, ‘তাদের (ধনীদের) ধন-সম্পদে অবশ্যই দরিদ্র ও বঞ্চিতদের অধিকার রয়েছে।’

 

তাদের অধিকার অবশ্যই দিতে হবে। অন্যথায় সমুদয় সম্পদ তার জন্য অপবিত্র হয়ে যাবে। পরিণামে তাদের পরকালে কঠিন শাস্তি ভোগ করতে হবে।

 

শরিয়তের পরিভাষায় জাকাত ফরজ হওয়ার জন্য সম্পদের নির্ধারিত পরিমাণকে নিসাব বলে। সারা বছর জীবনযাত্রার প্রয়োজনীয় ব্যয় নির্বাহের পর বছর শেষে যার হাতে নিসাব পরিমাণ সম্পদ উদ্বৃত্ত থাকে তাকে বলে সাহিবে নিসাব বা নিসাবে মালিক।

এখানে ক্লিক করে শেয়ার করুণ