আজ, , ৮ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

সংবাদ শিরোনাম :
«» জগন্নাথপুরে হালিমা খাতুন এডুকেশন ট্রাস্টের ১৯তম মেধাবৃত্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ «» খেলাফত মজলিসের ৩৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা «» স্বামীর ছুরিকাঘাতে স্ত্রী খুন «» জামায়াত প্রার্থী শিশির মনিরের বিরুদ্ধে মামলা «» শান্তিগঞ্জে গ্রামীণ সড়কে ১০ কোটি টাকার কাজ: সড়কের কাজে আ’লীগের ইউপি চেয়ারম্যানের থাবা! ১ কোটি টাকা চাঁদা দাবি «» প্রেমের টানে ধর্মান্তর, অতঃপর ইসলামি রীতিতে বিয়ে «» ‘কাজী হতে পারবেন কওমির ডিগ্রিধারীরাও’ «» শান্তিগঞ্জে ইউএনও’কে বিদায় সংবর্ধানা দিয়েছে এলজিইডি «» সিলেটের সমাবেশে ৮ দল আগামীতে দেশের ভাগ্য নির্ধারণ করবে: জামায়াত আমির «» সিলেট-৩ আসনে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের প্রার্থী ঘোষণা





রোজাদারের দোয়া ফিরিয়ে দেওয়া হয় না

ডেস্ক রিপোট :: দোয়া বা প্রার্থনাকে ইবাদতের মগজ বলে হাদিস শরীফে অভিহিত করা হয়েছে। মাহে রমজান হলো মুমিনের ইবাদতের বসন্ত। রাব্বুল আলামিনের তরফ থেকে এক সুবর্ণ সুযোগ মিলে এই পবিত্র মাসটিতে।

ফরজ ইবাদতের পাশাপাশি মুসলিম উম্মাহ বিভিন্ন নফল ইবাদতে মগ্ন হয়ে থাকেন মাহে রমজানে। ফরজ বিধান সিয়াম পালন শেষে সালাতুল মাগরিবের পূর্ব মুহূর্তে আজানের সুমধুর সুরের অপেক্ষায় থাকেন রোজাদাররা। সেই সময়টিতে বান্দার দোয়া কবুল করে নেন আল্লাহ তায়ালা।

 

আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে কারিমে ইরশাদ করেন, ‘হে মুমিন সকল। তোমাদের উপর রমজানের রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেমনিভাবে তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপরও ফরজ করা হয়েছিল।

যাতে তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পারো’।-বাকারা, আ/১৮৩ বিশ্বনবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘যে ব্যক্তি ঈমানের সঙ্গে সওয়াবের আশায় রমজানের রোজা রাখে, (অন্য বর্ণনায়) ঈমানের সঙ্গে সওয়াবের আশায় তারাবির নামাজ পড়ে, তার অতীতের সব গুনাহ মাফ করে দেয়া হয়।’-বুখারি হা/১৯০১

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘তিন ব্যক্তির দোয়া ফিরিয়ে দেয়া হয় না: ন্যায়পরায়ণ শাসক, রোজাদার যখন সে ইফতার করে এবং অত্যাচারিত ব্যক্তির দোয়া।’-সুনানে ইবনে মাজাহ, হা/১৭৫২

ইফতার সামনে নিয়ে যে দোয়াটি বেশি বেশি পড়তে হয়-উচ্চারণ: ‘ইয়া ওয়াসিয়াল মাগফিরাতি, ইগফিরলী’। অর্থ: ‘হে মহান ক্ষমা দানকারী! আমাকে ক্ষমা করুন।’ ইফতার করার জন্যও রয়েছে দোয়া।

যার মাধ্যমে নেকি লাভ করা যায়। দোয়াটি হলো-উচ্চারণ: ‘আল্লাহুম্মা লাকা সুমতু ওয়া তাওয়াক্কালতু আ’লা রিজক্বিকা ওয়া আফতারতু বি রাহমাতিকা ইয়া আর হামার রা-হিমীন। অর্থ: ‘হে আল্লাহ! আমি তোমারই সন্তুষ্টির জন্য রোজা রেখেছি এবং তোমারই দেয়া রিজিক দ্বারা ইফতার করছি।’ ইফতারে এ দোয়াও পড়া যায়।

 

উচ্চারণে: ‘আল্লাহুম্মা লাকা সুমতু ওয়ালা রিজকিকা আফতারতু।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ! আপনার জন্য আমি রোজা রেখেছি, আপনার রিজিক দ্বারা ইফতার করছি।’ -আবু দাউদ, সাওম অধ্যায় ইফতারের আরেকটি দোয়ার কথা হাদিসে এসেছে।

হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সা. ইফতার করার সময় এ দোয়াটি পড়তেন। উচ্চারণ: ‘জাহাবাজ জামাউ; ওয়াবতালাতিল উ’রুকু; ওয়া সাবাতাল আররূ ইনশাআল্লাহ।’ অর্থ: ইফতারের মাধ্যমে পিপাসা দূর হলো, শিরা-উপসিরা সিক্ত হলো এবং যদি আল্লাহ চান সুয়াবও স্থির হলো।’-আবু দাউদ, মিশকাত

এখানে ক্লিক করে শেয়ার করুণ