ডেস্ক রিপোর্ট :: আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ‘অগ্নিপরীক্ষার নির্বাচন’ বলে আখ্যায়িত করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক। নির্বাচনের আগে দলীয় নেতা-কর্মীদের সতর্ক অবস্থায় থাকায় নির্দেশনা দিয়েছেন আওয়ামী লীগের এই নেতা। মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। গত ১৪ অক্টোবর ভয়াবহ এক আগুনে মার্কেটটি পুড়ে যায়। ৬০ দিন পর মার্কেটটি পুনঃ নির্মানের কাজ শুরু হলো। অনুষ্ঠানে বক্তিতাকালে জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘আপনাদেরকে চোখ-কান খোলা রাখতে হবে। আপনাদের মনে রাখতে হবে, আগামী নির্বাচন একটি অগ্নিপরীক্ষার নির্বাচন। সেই নির্বাচনে যদি শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখতে পারেন, তাহনে এমনি ভাবে উন্নয়নের সর্বোশিখরে পৌঁছবে বাংলাদেশ।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের উন্নয়ন, আমাদের গণতন্ত্র আজ হুমকির মুখে। আপনাদেরকে মনে রাখতে হবে, কিসের জন্য ২৮ অক্টোবর প্রধান বিচারপতির বাসায় হামলা হলো? কিসের জন্য জাস্টিস কোয়াটারে হামলা হলো, কিসের জন্য পুলিশ কন্সটেলেশনকে হত্যা করা হলো? তার মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য ব্যানা দিয়ে মাথা দুই ভাগ করা হলো।’ নানক বলেন, ‘কারা তাকে (নিহত পুলিশ সদস্যের সন্তানকে) পিতৃহারা করা হলো? শতশত পুলিশকে নির্মমভাবে আহত করা হলো? কিসের স্বার্থে? অবরোধ করেছেন? কিসের অবরোধ? এই অবরোধ জনগনের বিরুদ্ধে অবরোধ। ‘আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর এই সদস্য বলেন, ‘তারেক রহমান সাব ল-নের প্রাসাদে থাকেন। উনি ওখান থেকে লাদেনের মতো বক্তিতা দেন। তারেক রহমানের লক্ষ্য হলো- আমি যে দেশে থাকতে পারি নাই, সেই দেশের মানুষকে শান্তিতে থাকতে দেবো না। তারেক রহমানের লক্ষ্য হলো, যে দেশে আমি থাকতে পারি না, সেই দেশকে আমি স্থিতিশীল থাকতে দেবো না। তারেক রহমানের লক্ষ্য হলো, আমি যে দেশে শিক্ষা নিতে পারি নাই, ম্যাট্রিক পাশ করতে পারি নাই, সেই দেশে আমি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালাতে দেবো না।’ ২০০৯ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ঢাকা-১৩ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন জাহাঙ্গীর কবির নানক। এ সময় তিনি ঢাকা-১৩ আসনের অন্তর্গত মোহাম্মদপুর, আদাবর, বসিলা, শেরে বাংলা নগর এলাকার সড়ক-অবকাঠামো, পানির সরবরাহ, করবস্থান তৈরি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরেন আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর এই সদস্য।
সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘আমরা আমাদের পুতপবিত্র দায়িত্ব জানি। আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা মানুষের কষ্ট লাঘব করতে নিরন্তর পরিশ্রম করেন। তাহাজ্জুত নামাজ পড়ে, ফজরের নামাজ আদায় করে এদেশের মানুষের জন্য নিরলস পরিশ্রম করেন। সেই মানুষের কর্মী হিসেবে আমরা আমাদের দায়িত্ব পালনে ভুল করি নাই। ভুল করি নাই বলেই মাত্র ৬০ দিনের মাথায় এই মার্কেটের কাজ আমরা শুরু করবো ইনশাআল্লাহ।’ নানক জানান, গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রী নিজেই মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটের খোঁজ নিয়েছেন। আমরা যা বলি, আমার নেত্রী যা বলেন, তা করেন। আমরা যা বলি করি।’ অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজা, আ লিক নির্বাহী কর্মকর্তা মোতাকাব্বির আহমেদ ও স্থানীয় কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও স্থানীয় আওয়ামী লীগ এবং ভাতৃপ্রতীম ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।