আজ, , ২২শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সংবাদ শিরোনাম :
«» যুক্তরাজ্যে ৬০ হাজার এসাইলাম প্রার্থীর আবেদন মঞ্জুর করা হবে «» পদ ধরে রাখতে প্রধান উপদেষ্টার কাছে বিশ্বনাথের ৮ ইউপি চেয়ারম্যানের স্মারকলিপি «» রাজনৈতিক কোন সুবিধা নিতে আমি যুক্তরাজ্য থেকে আসিনি- এম এ মালেক «» শেখ হাসিনার পদত্যাগ ইস্যু ‘মীমাংসিত’ : বিতর্ক সৃষ্টি না করার আহ্বান রাষ্ট্রপতির «» জগন্নাথপুরে পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার- ২ «» জগন্নাথপুরে জনতার চেয়ারম্যান সৈয়দ তালহা আলম জমিয়তের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন মহলের অভিনন্দন «» জগন্নাথপুরে বিএনপি নেতা কয়ছর আহমদের গণসংবর্ধনা সফলে সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত «» শান্তিগঞ্জে আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেফতার «» সুনামগঞ্জের যে গ্রামে গান-বাজনা নিষিদ্ধ «» দেশে ফিরেছেন যুক্তরাজ্য বিএনপির কয়ছর এম আহমদ, বিমানবন্দরে নেতাকর্মীর ফুলেল শুভেচ্ছা





নদীটির নাম বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিস- মাওঃ রুহুল আমীন সাদী

সাইমুম সাদী

 

নব্বুই ও পরবর্তী দশকের কাছাকাছি সময়ে যারা তারুণ্য অতিক্রম করেছেন তাদের নিকট ইসলামী ছাত্র মজলিস একটি পরিচিত নাম।

আমরা যারা এই সংগঠনে সক্রিয় ছিলাম তাদের কাছে তা ছিল জীবনের গতিপথ পরিবর্তনকারী একটি পদ্ধতি। সমাজ বিপ্লবের এক আপোষহীন কাফেলা।

ছাত্র মজলিসের সদস্য সম্মেলনে প্রবেশ করার সময় একজন জিজ্ঞেস করলেন, ছাত্র মজলিস বিগত দুই যুগে কী উপহার দিয়েছে জাতিকে?

বললাম, জাতিকে কি দিয়েছে জানিনা,তবে আমাদের জন্য অনেক বড় একটা কাজ করেছে। আর তা হল, আমাদের যৌবনকে নষ্ট ভ্রষ্ট হতে দেয়নি। পাহারা দিয়ে অক্ষত রেখেছে।

যখন বন্ধুরা প্রেমিকা নিয়ে রেস্টুরেন্টে বসে ডেটিং কর‍ত, আমরা তখন সময় ব্যয় করতাম সংগঠনে। যখন অস্ত্র এবং মাদকে ডুবে থেকে অন্যরা স্মার্টনেস প্রকাশ করত, আমরা তখন দ্বীনের চর্চায় নিজেদের সচেতনতা খুজে নিতাম।

কিয়ামতের দিন, যদি জিজ্ঞাসিত হই, তোমার যৌবনকে কোথায় ব্যয় করেছ, বলব মাবুদ, তোমার দ্বীনের পথে ব্যয় করার চেষ্টা করেছি। এর থেকে প্রশান্তিদায়ক আর কি হতে পারে?

অনেকেই বলেন, ছাত্র সংগঠনের কাজ আগের মত নেই।

আমি বলি, এই স্মার্টফোন, ইন্টারনেট, পর্ণোগ্রাফি, মাদক ও অস্ত্রের চর্চার এই যুগে, ভোগবাদী কালচারের এই সময়ে কিছু তরুণ ইসলামী সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করছে এরচেয়ে বড় কাজ আর কি হতে পারে? যারা এত প্রতিকূলতার মধ্যে দ্বীনের রঙে জীবন সাজাতে চায় তাদের চেয়ে বড় বুজুর্গ আর কে হতে পারে? দ্বীনি কাজে যেখানে জীবনের নিরাপত্তাই নেই সেখানে তাদের সারাক্ষণ দোষ খুজে লাভ কি?

ফেলে আসা তারুণ্যের ঘ্রাণ পেলে তাই জেগে উঠি নতুনভাবে। কেউ যখন জিজ্ঞেস করে আপনার পরিচয় কি?

চোখ বন্ধ করে আমি জবাব দেই, আমার পরিচয় একটাই। তা হলো বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিস।

আমার একটি নদী আছে। খুব ক্লান্ত হলে চোখ বন্ধ করে সেই নদীর তীরে পা ডুবিয়ে বসে থাকি চুপচাপ।

বলাবাহুল্য নদীটির নাম বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিস।

এখানে ক্লিক করে শেয়ার করুণ