নিজস্ব প্রতিবেদক :: বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের আদেশে স্বপদে বহাল রয়েছেন সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার ১ নং বাংলাবাজার ইউনিয়ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবুল হোসেন। সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, বোরহানউদ্দিন ও আবু জাফর সিদ্দিকী এ আদেশ দেন।
আদেশে বলা হয়, স্বীয় পদ ফিরে পেতে আদালতে রিট পিটিশন দাখিল করেন মোহাম্মদ আবুল হোসেন। এরই প্রেক্ষিতে গত ১২ জুন তাকে স্বপদে বহাল রাখতে জেলা প্রশাসক সুনামগঞ্জকে আদেশ দেন মহামান্য আদালত।
উল্লেখ্য, ১নং বাংলাবাজার ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন বিধিমালা ২০১৮, ধারা- ২১ অনুযায়ী জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন ফি বাবদ ৫০ টাকার স্থলে ৪শ’ ৫০ টাকা করে আদায়, ইউনিয়ন পরিষদ (হিসাব রক্ষণ এবং নিরীক্ষা) বিধিমালা ২০১২ অনুযায়ী পরিষদের সকল রশিদবই ইউপি সচিবের জিম্মায় থাকার বিধান থাকলেও চেয়ারম্যান নিজ জিম্মায় রেখে রশিদবই বিধি বহির্ভূতভাবে আদায়কারীকে বিতরণ, কর, রেইট ফি ইত্যাদি বাবদ আদায়কৃত অর্থ পাক্ষিকভাবে ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট হিসাবে জমা করার বিধান থাকলেও নম্বর প্লেট, ও হোল্ডিং ট্যাক্স বাবদ আদায়কৃত অর্থ নির্ধারিত সময়ের পর ব্যাংকে জমা করা, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের ১৪/০৭/২০২২ তারিখের এক স্মারকে ৫ মে. টন জিআর চাল মাস্টাররোলের মাধ্যমে ১.০৫ মে.টন চাল বিতরণ করে অবশিষ্ট ৩.৯৫ মে.টন চাল বিতরণ না করার অভিযোগে ওই ইউনিয়ন পরিষদের ১০জন ইউপি সদস্য কর্তৃক অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপিত হয়ে যা সরেজমিন তদন্তে অভিযোগ সমূহ প্রমাণিত হয়েছে। সেহেতু স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯-এর ৩৯ (১৩) ধারার বিধান অনুযায়ী সরকার কর্তৃক জনস্বার্থে অনাস্থা প্রস্তাবটি অনুমোদিত হওয়ায় তার (আবুল হোসেনের) পদটি ৩৫ (১) (চ) ধারা অনুযায়ী শূন্য ঘোষণা করা হয়।
জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হোসেন বলেন, কিছু দুষ্ট প্রকৃতির লোক হীন উদ্দেশ্যে আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে বিভিন্ন অভিযোগ করেছিল। শেষমেশ আমি মহামান্য বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে ন্যায় বিচার পেয়েছি।