আজ, , ১৫ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সংবাদ শিরোনাম :





বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল নিয়ে গান গাইলেন সুনামগঞ্জের সাংবাদিক বাউল আল-হেলাল

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি :: “বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল/সাংবাদিকদের বাড়াতে মান, উদ্দেশ্য করে হাসিল।। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ফলে,১৪/২/৭৪ সালে/জন্ম নেয় অর্ডিন্যান্স বলে,হলুদকে করে স্বপ্নীল।। মাঝে মাঝে পদক দিয়ে, স্বীকৃতি দেয় আগবাড়িয়ে/রক্ষাকবচ হতে গিয়ে, একই সাথে হয় সামিল।। নিজামুল হক নাসিম স্যার, বলিলেন বিধি অনুসার/আল-হেলালে জানলো আবার, পেলনা কোন গড়মিল”।। এটি
কোন রপকথার কাহিনী নয় বরং একজন কবির স্বরচিত একটি কবিতা এবং একজন
গীতিকারের রচিত ও বাউল শিল্পীর পরিবেশিত একটি গান মাত্র। ১৫ মে ২০২৩ইং
সোমবার সকালে সুনামগঞ্জ সার্কিট হাউজে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল কর্তৃক
আয়োজিত সেমিনারে প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিজ্ঞ বিচারপতি মোঃ নিজামুল
হক নাসিম মহোদয় কে স্বাগত জানিয়ে নিজের বক্তব্যের সমাপনীতে পরিবেশন করেন
গানটির গীতিকার আল-হেলাল। এর আগে  ২০২১ ইং সনের ২০ ডিসেম্বর বাংলাদেশ
প্রেস ইন্সস্টিটিউট পিআইবির হলরুমে মোবাইল জার্নালিজম বিষয়ে প্রশিক্ষণের
সমাপনী অনুষ্ঠানে তাৎক্ষনিকভাবে লেখা “আমরা সফল সাংবাদিক,আমরা সফল
সাংবাদিক/নিত্যদিনের সব ঘটনায় ছুটে চলছি দিকবিদিক” শিরোনামে অনুরুপ
আরেকটি নাতিদীর্ঘ গান পরিবেশন করে উপস্থিত সবাইকে তাক লাগিয়ে দেন
সাংবাদিক গীতিকার বাউল আল-হেলাল। বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী সিনিয়র এই
সংবাদকর্মী রাষ্ট্র পরিচালিত জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম বাংলাদেশ সংবাদ
সংস্থা বাসস এর জেলা প্রতিনিধি,সুনামগঞ্জ প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি
ও সুনামগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটির সহ-সভাপতি পদে রয়েছেন। এর আগে বিজ্ঞ
বিচারপতির হাতে দৈনিক সুনামগঞ্জ প্রতিদিন পত্রিকাসহ গানটির একটি কপি তুলে
দেন তিনি। এসময় জেলা তথ্য অফিসের উপ-পরিচালক মো.আব্দুস ছাত্তার,সুনামগঞ্জ
প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রওনক আহমদ বখত ও সাংবাদিক রাজু আহমেদ রমজান
উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য বাংলাদেশের মরমী সংস্কৃতির জগতে একটি সাড়াজাগানো নাম আল-হেলাল।
প্রকাশিত নাম হচ্ছে এটি। সার্টিফিকেট নাম আল-হেলাল মোঃ ইকবাল মাহমুদ। তার
পিতার নাম এস.এন.এম মাহমুদুর রসুল যিনি একজন যোদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও
সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও নাট্য অভিনেতা।
তার মাতার নাম মরহুমা রোকেয়া বেগম চৌধুরী। তার স্থায়ী ঠিকানা সুনামগঞ্জের
দিরাই উপজেলার ভরারগাও গ্রাম। বর্তমানে তিনি স্বপরিবারে বসবাস করেন
সুনামগঞ্জ পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের পূর্ব সুলতানপুর আবাসিক এলাকায়। তিনি
১৯৯০ সালে দিরাই উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এস.এস.সি,১৯৯২ইং সালে দিরাই কলেজ
থেকে এইচ.এস.সি এবং ১৯৯৪ সালে সিলেট এমসি কলেজ থেকে বিএ পাশ করেন।
পরবর্তীতে ঢাকার জাতীয় আইন কলেজে অধ্যয়ন করেন। আল-হেলাল ইতিপূর্বে
বাংলাভিশন টেলিভিশন,ঢাকা থেকে প্রকাশিত জাতীয় দৈনিক খবর,দৈনিক
প্রাইম,দৈনিক মুক্তকন্ঠ,দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা,দৈনিক মাতৃভূমি,দৈনিক
মানবজমিন,দৈনিক প্রভাত,দৈনিক সোনার আলো,দৈনিক খবরপত্র,দৈনিক আলোকিত
বাংলাদেশ,দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার,জাতীয় সাপ্তাহিক চিত্রবাংলা,সাপ্তাহিক
বর্তমান দিনকাল,সাপ্তাহিক স্বর্ণালী ও সিলেট বিভাগের আঞ্চলিক দৈনিক
যুগভেরী, দৈনিক সিলেটবানী,দৈনিক সংলাপ,দৈনিক মানচিত্র,দৈনিক
জালালাবাদ,দৈনিক প্রভাতবেলা,সাপ্তাহিক পরিক্রমা,সাপ্তাহিক সময়ের
ডাক,সাপ্তাহিক সিলেটের পত্রিকায় জেলা প্রতিনিধি হিসেবে,জেলা শহর
সুনামগঞ্জ থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক সুনামগঞ্জ সংবাদ এর জেলা
প্রতিনিধি,সাপ্তাহিক সুনামগঞ্জ বার্তা পত্রিকার বার্তা সম্পাদক এবং
সাপ্তাহিক গ্রাম বাংলার কথা পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন
করেন।
প্রতিষ্ঠাতা আহবায়ক হিসেবে গড়ে তুলেন বাউল কল্যাণ পরিষদ ও বাউল কামাল
পাশা স্মৃতি সংসদ নামের ২টি সাংস্কৃতিক সংগঠণ। মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান
কমান্ড এর সুনামগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করেন দীর্ঘদিন।
তিনি বিভিন্ন সময়ে সিলেট বিভাগ গণদাবী পরিষদ এর কেন্দ্রীয় কমিটির
সদস্য,জাগো সিলেট আন্দোলন এর প্রচার সম্পাদক,সিলেটস্থ সুনামগঞ্জ জেলা
উন্নয়ন সংস্থার সহ সম্পাদক,দিরাই থানা উন্নয়ন ও পৌরসভা বাস্তবায়ন কমিটির
যুগ্ম আহবায়ক,দিরাই থানা উন্নয়ন ও ঘুষ দুর্নীতি প্রতিরোধ আন্দোলন পরিষদ
এর প্রতিষ্ঠাতা আহবায়ক,ধর্ম ও নৈতিকতা বিরোধী কার্যকলাপ প্রতিরোধ কমিটির
সাধারন সম্পাদক, ঘুষ দুর্নীতি প্রতিরোধ আন্দোলন সুনামগঞ্জ এর দিরাই থানা
আহবায়ক,দিরাই প্রেসক্লাবের আহবায়ক,দিরাই-শাল্লা সাংবাদিক পরিষদ এর
সভাপতি, মফস্বল সাংবাদিক সংগ্রাম পরিষদ এর প্রতিষ্ঠাতা আহবায়ক,সুনামগঞ্জ
রিপোর্টার্স ইউনিটির প্রতিষ্ঠাতাকালীন সহ-সভাপতি, সিলেট বিভাগ মফস্বল
সাংবাদিক সংগ্রাম পরিষদ এর আহবায়ক,বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের কার্যকরী
সদস্য,বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন সুনামগঞ্জ জেলা শাখার সাবেক সাধারন
সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন ফাউন্ডেশন সুনামগঞ্জ জেলা
শাখার আহবায়ক, আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান সুনামগঞ্জ জেলা শাখার
সভাপতি,কালনী বেতার স্রোতা ক্লাব এর সভাপতি,বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট ও
জেলা গীতিকার ফোরাম এর সুনামগঞ্জ জেলা কমিটির সহ-সভাপতি, বাউল কামাল পাশা
সংস্কৃতি সংসদ সুনামগঞ্জ এর সাধারন সম্পাদক,কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন
সুনামগঞ্জ শাখার নির্বাহী সদস্য এবং সুনামগঞ্জ প্রেসক্লাবের প্রচার ও
প্রকাশনা সম্পাদক পদে অধিষ্টিত রয়েছেন। কর্মরত রয়েছেন দৈনিক সুনামগঞ্জ
প্রতিদিন,দৈনিক আলোকিত সুনামগঞ্জ পত্রিকার বার্তা সম্পাদক ও জাতীয় দৈনিক
খবরপত্র পত্রিকা,বাংলাদেশ সমাচার,দৈনিক খবর,ইংরেজী দৈনিক আওয়ার টাইমস ও
অনলাইন ওয়েবপোর্টাল বিডিটুডেস এর সুনামগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি হিসেবে। তিনি
কোয়ান্টাম ল্যাব শান্তিনগর ঢাকার আজীবন রক্তদাতা ও বাংলাদেশ বেতার সিলেট
কেন্ত্রের তালিকাভূক্ত একজন পল্লীগীতি শিল্পী। তার সম্পাদনায় সম্প্রতি
প্রকাশ হয়েছে সাপ্তাহিক মুক্তির সনদ ও সাপ্তাহিক হীরামন মানিকের দেশে
নামে আরো দুটি পত্রিকা।
অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার অংশ হিসেবে ২০০৮ সালে ১০১টি গান নিয়ে তিনি প্রকাশ
করেন “গানের সম্রাট কামাল উদ্দিন”নামে একখানা গীতিগ্রন্থ। পরবর্তীতে
“শ্রেষ্ট পার্লামেন্টেরিয়ান সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত”,“রাজনীতির রবার্টব্রæস
মতিউর রহমান”,“ভোটযুদ্ধে মমতাজ ইকবাল”, “মডেল মানুষ মমিনুল মউজদীন” ও
সুনামগঞ্জের সোনার মানুষ মুহাম্মদ আব্দুল হাই”সহ আরো অনেক জীবনীগ্রন্থ
প্রকাশ ও সম্পাদনা করেন তিনি। বিভিন্ন সময়ে গানের সম্রাট বাউল কবি কামাল
উদ্দিন (কামাল পাশা) এর শত শত গান নিয়ে পত্রিকা সম্পাদনা ও ক্রোড়পত্র
প্রকাশ করেন তিনি।
একজন গীতিকার হিসেবে তিনি রচনা করেছেন প্রায় শতাধিক গান। সম্প্রতি
সুনামগঞ্জ সার্কিট হাউজে পরিকল্পনা মন্ত্রী জনাব এম.এ মান্নান এমপির
সামনে তাৎক্ষনিকভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গুনকীর্ত্তণ করে একটি গান
লিখে দিয়ে ও গেয়ে জেলা প্রশাসক ও সমবেত সাংবাদিক জনতাকে হতবাক করে দেন
তিনি। আল-হেলাল ২০১৪ ইং সনের ৩রা জুন সাংবাদিক হিসেবে পেশাগত দায়িত্ব
পালনকালে জেলার দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার পাগলা এলাকার সদরপুর নামক
স্থানে মোটর সাইকেল দূর্ঘটনায় মারাত্মক আহত হন। একজন পেশাদার সাংবাদিক ও
বাউল শিল্পী হিসেবে জেলার সকল সংসদ সদস্যগনের সুপারিশের ভিত্তিতে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে বাউল শিল্পীর স্বীকৃতিসহ আর্থিক অনুদান
প্রদান করেন।
বাংলাদেশে সংস্কৃতির কদর বহুকাল পূর্ব থেকেই। দেশ বিদেশের অনেক নামকরা
গীতিকার শিল্পী রয়েছেন যারা সৃষ্টির অনেক তত্ত¡ উপাত্ত নিয়ে কমবেশী গান
রচনা করেছেন। কিন্তু মহান পেশা সাংবাদিকতা নিয়ে কোন গান পরিবেশন কেউ
করেছেন বলে আমাদের জানা নেই। সাংবাদিকদের মধ্যে হয়তো অনেক পেশাদার শিল্পী
ও গীতিকার সুরকার থাকতে পারেন কিন্তু কেউই নিজের পেশা সাংবাদিকতাকে নিয়ে
গান রচনা করার প্রয়োজন মনে করেননি আজোবদি। বিশ্ববরেণ্য পার্লামেন্টেরিয়ান
সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত এমপি,২০২১২ইং সনের ২৮ শে জানুয়ারি সুনামগঞ্জের শহীদ
আবুল হোসেন মিলনায়তনে গানের সম্রাট বাউল কামাল পাশা (কামাল উদ্দিন)
স্মরণোৎসবে যথার্থই বলেছিলেন,সংস্কৃতিবিহীন রাজনীতি কখনও সৃজনশীল হতে
পারে না। এর প্রমাণ আমরা দেখতে পাই রাজনীতিবিদ হোসেন শহীদ
সোহরাওয়ার্দি,মজলুম জননেতা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী ও জাতির জনক
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কে। যারা তাদের রাজনীতিতে সংস্কৃতিকে
আলিঙ্গন করতেন। বাউল শিল্পী,গীতিকার সুরকার,শিল্পী সাহিত্যিক ও
সাংবাদিকদের পৃষ্টপোষকতা করতেন। বাউল শাহ আব্দুল করিম ও বাউল কামাল পাশা
তাদের উৎসাহ উদ্দীপনায় নৌকা প্রতীক,আওয়ামীলীগ ও মুক্তিযুদ্ধকে নিয়ে গান
রচনা ও পরিবেশন করেছেন। আজকে তাদেরকে সঠিকভাবে মূল্যায়ন না করার কারণে
বিশেষ করে যে বাউল কামাল পাশা ৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন থেকে শুরু
করে ৭৫ এর বিয়োগান্তক ঘটনা পর্যন্ত আজীবন নৌকা আওয়ামীলীগ ও বঙ্গবন্ধুকে
নিয়ে সর্বাধিক গান রচনা ও পরিবেশন করেছিলেন সেই কামাল পাশাগংদেরকে
সঠিকভাবে মূল্যায়ন না করার কারনে বিভিন্ন ইউপি নির্বাচনে যেমন নৌকার
শোচনীয় পরাজয় হচ্ছে তেমনি বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও প্রকৃতি হয়ে যাচ্ছে
রাজনীতি বিমুখ। তাই সকল পেশায় সংস্কৃতির কদর বাড়াতে হবে সৃজনশীলতা ও সেই
সকল পেশার উৎকর্ষতা বিকাশের জন্য। এজন্যই সুনামগঞ্জের কবি সাংবাদিক
আল-হেলাল ভিন্ন মাত্রায় সংগীত সাধনা শুরু করেছেন। সকল শ্রেণিপেশার
প্রতিনিধিত্ব নিয়ে সংগীত সাধনা এবং মানুষকে সৃজনশীলতার দিকে ধাবিত করাই
তার সংস্কৃতিচর্চার অন্যতম লক্ষ্য। মূলত এই মহান উদ্দেশ্যকে নিয়েই তিনি
তার জীবনের প্রথম পেশা সাংবাদিকতা নিয়ে সংগীত রচনা করলেন। তার আগ্রহে
সুনামগঞ্জে অনেক কর্মরত সাংবাদিকরাই এখন সংস্কৃতির দিকে ধাবিত হচ্ছেন।
তারা চেষ্টা করছেন সংস্কৃতিবান্ধব সুনামগঞ্জ গড়তে। কিন্তু তা জেলা সদর
সুনামগঞ্জে সীমাবদ্ধ না রেখে এলাকার বাইরেও তারা নিজেদের অগ্রযাত্রা
অব্যাহত রাখতে প্রতিশ্রæতিবদ্ধ। পবিত্র কোরআন হাদিসের ব্যাখ্যার আলোকে
আল-হেলাল তার রচিত গানে স্রষ্টা আল্লাহকে স্বয়ং একমাত্র সম্পাদক এবং
নবীকরিম (সঃ) সহ সকল নবী রাসুলকে সংবাদদাতা হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তার
গানে সুনামগঞ্জের কৃতিসন্তান অধ্যাপক শাহেদ আলী সম্পাদিত সাপ্তাহিক সৈনিক
পত্রিকা ও ঐ পত্রিকায় ভাষা আন্দোলনের অনবদ্য ভূমিকার কথা উপস্থাপিত
হয়েছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সাংবাদিকতায় পেশায় অবদান
রেখেছেন এবং তিনি ইত্তেফাক পত্রিকায় লেখালেখি করতেন সেই ইতিহাসও বিধৃত
হয়েছে গানটিতে।
আওয়ামীলীগ প্রধান জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দূর্ঘটনায় নিহত আহত
সাংবাদিক ও তাদের পরিবারবর্গ এবং করোনাকালীন দুর্যোগে সাংবাদিকদের যে
সহায়তা প্রদান করেছেন সেজন্য তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন তার গানে।
পিআইবির বর্তমান পরিচালক একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক ও কবি জাফর
ওয়াজেদ,পিআইবির প্রশাসনিক কর্মকর্তা সুনামগঞ্জের কৃতিসন্তান মোঃ আফরাজুর
রহমান ও মোঃ জাকির হোসেনসহ তাদের প্রতিষ্ঠানের সফলতার সার্বিক চিত্র তুলে
ধরেছেন গানটিতে। ৩০ টি বাক্য লাইন, ৬ অন্তরা ও ১৪৩ শব্দের গানে
বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী সাংবাদিক আল-হেলাল পান্ডিত্য দেখিয়েছেন মহান
পেশা সাংবাদিকতার। একজন পেশাদার সাংবাদিক শুধু সংবাদ পরিবেশনেই নয়
সদিচ্ছা থাকলে তাৎক্ষনিকভাবে একটি গান লিখে ও পরিবেশন করে যেকোন
পরিস্থিতির চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় অবতীর্ণ হতে পারে এর স্বার্থক প্রমাণ
দিয়েছেন তিনি। মন্ত্রমুগ্ধের মত অধীর আগ্রহে গানটি শুনে কর্মকর্তারা তাকে
নগদ টাকা উপহার প্রদান করে বিশেষভাবে উৎসাহ যুগিয়েছেন। সুনামগঞ্জ
রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি ও দৈনিক সংবাদ পত্রিকার সুনামগঞ্জ জেলা
প্রতিনিধি লতিফুর রহমান রাজু বলেছেন,আমাদের প্রাণের সংগঠন সুনামগঞ্জ
রিপোর্টার্স ইউনিটি যে একটি সৃজনশীল পেশাজীবিদের সংগঠন এর স্বার্থক
প্রমাণ আল-হেলাল। ৩ দিনের প্রশিক্ষণের সমাপনী দিনে সে তাৎক্ষনিকভাবে গান
লিখে ও পরিবেশন করে আমাদের সকলকে হতবাক করে দিয়েছে,তেমনি পিআইবি
কর্তৃপক্ষের কাছে সুনামগঞ্জের সুনাম বয়ে এনেছে। “আমরা সকলে তার সার্বিক
সফলতা কামনা করি।
আমরা সফল সাংবাদিক,আমরা সফল সাংবাদিক
নিত্যদিনের সব ঘটনায় ছুটে চলছি দিকবিদিক।।
আল কোরআনে আছে প্রচার,নবী মোহাম্মদ মূল ম্যাসেঞ্জার
বলছেন নবী বারেবার,সত্য সব সঠিক।
রিপোর্টার নবী পয়গম্বর, স্রষ্টা স্বয়ং ওয়ান এডিটর
কোরআন হাদিসের সকল খবর,যারা মানে তারা আস্তিক।।
চতুর্থ স্তম্ভ সংবাদপত্র,দেশ বিদেশে যত্রতত্র
উন্নয়নের মূলমন্ত্র,গতাণুগতিক।
প্রারম্ভেতে ছিল মাসিক,এখন আসে দৈনিক
ভাষা আন্দোলনের মূখপত্র নামটি সাপ্তাহিক সৈনিক।।
পেশায় মোদের খারাপ চিত্র,কোন্দল গ্রুপিং বহুগোত্র
না মেনে সঠিক সূত্র,বাড়ছেই সাংঘাতিক।
পথ প্রদর্শক জাফর ওয়াজেদ দিয়েছেন তাগিদ
দীক্ষা দিচ্ছেন প্রশিক্ষণে,দক্ষতা বৃদ্ধিতে নির্ভিক।।
জাতির জনক শেখ মুজিবুর, ইত্তেফাকে লিখতেন প্রচুর
জাতীয়করণ করতে জরুর, প্রচেষ্টা চালান।
দূর্ঘটনায় অনুদান, করোনায় সাহায্য প্রদান
সাংবাদিকদের করতে কল্যাণ, শেখ হাসিনা অতি আন্তরিক।।
সত্য প্রেম আর ভালবাসায়, গাইলেন গান কামাল পাশায়
সাংবাদিকরাও বাঁচার আশায়, আছেন স্বার্বক্ষনিক।
প্রশিক্ষক আফরাজুর রহমান, কথায় কাজে রাখলেন প্রমাণ
জাকির হোসেন এর এই আহবাণ, পেশায় যেন হই আধূনিক।।
মহান পেশার মান বাড়াতে, সবাই আসে পিআইবিতে
মোবাইল জার্নালিজম শিখে নিতে, সাফল্যের উদ্দেশ।
প্রেস ইন্সষ্টিটিউট বাংলাদেশ, শিক্ষাদীক্ষার নাই কোন শেষ
আল-হেলালের মনের খায়েশ, শুদ্ধাচার গ্রহন স্বাভাবিক।।
এখানে ক্লিক করে শেয়ার করুণ