ছাতক প্রতিনিধি :: সুনামগঞ্জের ছাতকে শ্যামপাড়া- কান্দিগাঁও সড়ক সংস্কার কাজে ব্যাপক অনিয়ম-দূর্ণীতির অভিযোগ ওঠেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা এ অভিযোগ করেন। সড়ক সংস্কার কাজে অনিয়মের কারণে রবিবার উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে জনপ্রতিনিধিসহ এলাকার বিক্ষুদ্ধ অর্ধশতাধিক লোকজন শ্যামপাড়া-কান্দিগাঁও সড়কের কাজের অনিয়মের বিষয়ে অভিযোগ করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এসময় তারা সংস্কার কাজ দ্রুত সময়ের মধ্যে শেষ করার দাবিও জানান।
জানাগেছে গত ভয়াবহ বন্যায় শ্যামপাড়া-কান্দিগাঁও সড়কের বেশ কিছু এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়।
এ সড়কের কারণে এলাকার লোকজনের যাতায়াতের ক্ষেত্রে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। সড়কের বেশী ক্ষতিগ্রস্থ অংশ ৫৬০ মিটার রাস্তা মেরামতের জন্য উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় থেকে গত বছরের ডিসেম্বর মাসে দরপত্র আহবান করা হয়। চলতি বছরে রাস্তা মেরামতের জন্য গত জানুয়ারি মাসে ৬৭ লাখ ৬২ হাজার টাকা বরাদ্দ দিয়ে রাস্তা মেরামতের কার্যাদেশ দেয়া হয় ‘বেলাল এন্টারপ্রাইজ’ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্টানকে। সংস্কার কাজের মেয়াদ ছিল গত ১৩ মার্চ তারিখ পর্যন্ত। কিন্তু এর মধ্যে কাজের তেমন কোন অগ্রগতি নেই।
স্থানীয় ইউপি সদস্য সমরোজ আলী, দুলাল কৃষ্ণ সরকার,সাবেক ইউপি সদস্য জাহেদুল ইসলাম আহবাবসহ এলাকার লোকজন জানান, ঠিকাদারী প্রতিষ্টানের কাজ শুরু থেকেই পুরনো ও নিম্ম মানের ইট-পাথর দিয়ে কাজ শুরু করা হয়।এবিষয়ে এলাকার লোকজন বারবার প্রতিবাদ করলে ও ঠিকাদার আব্দুস সালাম এতে কোন কর্ণপাত করেন নি। এতে এলাকার লোকজন বিক্ষুদ্ধ হয়ে উঠেছেন। এদিকে কাজের মেয়াদ শেষ হয়েছে আর ঠিকাদার মাত্র সংস্কার কাজ শুরু করেছেন। রাস্তা ভাঙ্গার কংক্রিট ও রড সাইডে মজুদ করে রাখা হয়েছে সংস্কার কাজের জন্য।
এবিষয়ে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্টানের স্বত্তাধিকারি আব্দুস সালাম বলেন,সংস্কার কাজের মালামাল পরিবাহনে সমস্যার কারণে কাজ শুরু করতে বিলম্ব হয়েছে। আগামি দু”মাসের মধ্যে কাজটি শেষ করতে পারবেন তিনি।
উপজেলা প্রকৌশলী আফছর উদ্দিন জানান, আগেও এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে দু”দফা সরজমিনে কাজ পরিদর্শন করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে দ্রুত সময়ের মধ্যে সঠিক ভাবে কাজ শেষ করার তাগিদ ও দেয়া হয়েছে। তাদের অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে সুষ্ট সমাধান দেয়া হবে।
এলাকাবাসীর মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট সাইড ইঞ্জিনিয়ার সোমবার আবারো রাস্তা সংস্কারের কাজ পরিদর্শন করেন। এ সময় ঠিকাদার ও স্থানীয় লোকজন উপস্থিত ছিলেন। এ সময় সিদ্ধান্ত হয়েছে পুরানো রড়,কংক্রিট,নিম্ন মানের ইট-বালু সংস্কার কাজে লাগানো যাবেনা এবং গাইড ওয়াল নির্মাণ করার পর আর সি সি ঢালাইর কাজ শুরু হবে।
রবিবার অভিযোগ প্রদানের সময় উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন এলাকার আব্দুর রহিম, জাহেদুল ইসলাম আহবাব,ইউপি সদস্য সমরুজ আলী, দুলাল কৃষ্ণ সরকার,সাবেক সদস্য আব্দুস সালাম,রইছ আলী, লিয়াকত আলী, সানুর আলী,নুরুল হোসেন, মখলিছ আলী,নুরুল ইসলাম, কাছা মিয়া,আবু তাহির,মতিউর রহমান, রনজিত সরকার, উজ্জ্বল সরকার প্রমুখ।