আজ, , ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সংবাদ শিরোনাম :





জগন্নাথপুরে নৈশ প্রহরী হত্যার রহস্য উদঘাটন

স্টাফ রিপোর্টার :: জগন্নাথপুরে চাঞ্চল্যকর নৈশ প্রহরী হত্যার রহস্য উদঘাটিত হয়েছে। তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে পলাতক থাকা আরেক নৈশ প্রহরী ইছাক আলী মুছা তাকে হত্যা করেন। বৃহস্পতিবার পুলিশের হাতে গ্রেফতারকৃত ইছাক আলী মুছা পুলিশ ও সাংবাদিকদের সামনে অকপটে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এ সময় মুছা তাঁর জবানবন্দিতে বলেন, ঘটনার দিন বিকেলে খামারে থাকা নৈশ প্রহরীদের ঘরে রাতের খাবার খেতে যান মুছা। এ সময় খামারের কেয়ার টেকার আংগুর মিয়া মুছাকে বলেন, নিহত নৈশ প্রহরী হিরন মিয়ার রাতে জেগে ঠিকমতো দায়িত্ব পালন করেন কি না। জবাবে মুছা জানায়, হিরন সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করছেন। তখন খামারে থাকা কাজের নারী নেহার বেগম হিরনের বিরুদ্ধে কাজে গাফিলাতির অভিযোগ করেন। এ নিয়ে রাতে কেয়ার টেকার আংগুর মিয়া নৈশ প্রহরী হিরন মিয়াকে গালিগালাজ করেন। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হিরন মিয়া তার টং ঘরে গিয়ে আংগুর মিয়ার অগোচরে আংগুর মিয়াকে গালিগালাজ করেন এবং আংগুর মিয়ার সাথে মারামারি করার জন্য বারবার খামার ঘরে যেতে চাইলে তাঁর সাথে থাকা নৈশ প্রহরী মুছা বাঁধা দেন। এ নিয়ে হিরন ও মুছার মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে হিরন মিয়া উত্তেজিত হয়ে মুছাকে মারপিট করেন। এতে মুছা ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। এ সময় মুছার এলোপাতারি আঘাতে আহত হিরন মিয়া খামারের একটি খাদে পড়ে গেলে মুছা পালিয়ে যায়। অবশেষে হিরন মিয়ার মৃত্যু হয়েছে বলে মুছা জানতে পারেন। যে কারণে মুছা তাঁর বিবেকের তাগিদে পুলিশের কাছে এসে আত্মসমর্পন করেছেন বলে জানান। এক প্রশ্নের জবাবে মুছা জানান, তাদের মধ্যে সংঘর্ষের সময় অন্য কোন ব্যক্তি ছিল না। সে নিজেই হিরনকে লোহার হাতুরি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে। প্রসঙ্গত-জগন্নাথপুর পৌর শহরের হাসিমাবাদ গ্রাম এলাকায় যুক্তরাজ্য প্রবাসী গয়াছ মিয়ার একটি বড় মৎস্য খামার রয়েছে। খামারে ৭ নৈশ প্রহরীসহ মোট ৯ জন লোক কাজ করেন। গত শুক্রবার রাতে জগন্নাথপুর পৌর এলাকার কেশবপুর গ্রামের মৃত হুসমত আলীর ছেলে হিরন মিয়া ও উপজেলার পাটলি ইউনিয়নের সাতহাল গ্রামের মৃত সিরাজ আলীর ছেলে ইছাক আলী মুছা নামের দুই নৈশ প্রহরী দায়িত্ব পালন করছিলেন। রাত প্রায় ২ টার দিকে নৈশ প্রহরী হিরন মিয়াকে নির্মমভাবে রামদা দিয়ে কুপিয়ে, বড় লোহার হাতুরি ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় খামারের কেয়ার টেকার ও কাজের নারী, অন্যান্য নৈশ প্রহরীসহ ৮ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও মুছাসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহত নৈশ প্রহরী হিরন মিয়ার বড় ভাই আনা মিয়া বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামি করে জগন্নাথপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। – See more at: http://jpnews24.com/?p=8839#sthash.oCB2s5uQ.dpuf

এখানে ক্লিক করে শেয়ার করুণ