আজ, , ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সংবাদ শিরোনাম :
«» বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৮ সদস্যের কমিটি ঘোষণা «» প্রেসক্লাবে শিক্ষানুরাগী আব্দুল হান্নানকে সংবর্ধনা «» খালেদা জিয়ার সাথে ৩ ছাত্র উপদেষ্টার কুশল বিনিময় «» ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়ি থেকে দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার «» মাদ্রাসা অঙ্গনে পিএইচডি ও এমফিল ডিগ্রিধারী ২৫০ জন শিক্ষকের সংবর্ধনা «» জগন্নাথপুরে পরীক্ষায় ফেল করায় দশম শ্রেণির ছাত্রীর আত্মহত্যা «» জগন্নাথপুরে চুরির মামলার পলাতক আসামি গ্রেফতার «» জগন্নাথপুরে এমএ মান্নানসহ আ.লীগের ৪৯ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা «» নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার নাসির উদ্দীন «» ব্যারিস্টার সুমনের দুই দিনের রিমান্ডে, আদালতে জুতা ও ডিম নিক্ষেপ





এখনো যেভাবে হারতে পারেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ নভেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে বিজয়ী ঘোষণা করা হলেও বিষয়টি আনুষ্ঠানিক হতে ডিসেম্বরের ১৯ তারিখ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এ দিন যুক্তরাষ্ট্রের ইলেকটোরাল কলেজের ৫৩৮ জন সদস্য বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে একত্রিত হবেন পরবর্তী প্রেসিডেন্টকে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচিত করার জন্য। যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান অনুযায়ী এ ইলেকটোরাল কলেজের ভোটের তেমন কোনো প্রভাব নেই। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ক্ষেত্রে তারা ‘রাবার স্ট্যাম্পের’ মতো কাজ করে। তবে ২০১৬ সালে ইলেকটোরাল কলেজের ভূমিকায় মনে হচ্ছে তারা এ ক্ষেত্রে প্রচলিত যে রীতি আছে সেখানে ব্যত্যয় ঘটাতে পারেন। খবর বিবিসির।

ইলেকটোরাল কলেজের কোনো কোনো সদস্য এরই মধ্যে বলা শুরু করেছেন যে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ক্ষেত্রে তাদের ‘রাবার স্ট্যাম্প’ হওয়ার যে ভূমিকা সেখানে একটা পরিবর্তন আনতে হবে এবং ক্লিনটন শিবির এরই মধ্যে এ ধরনের চিন্তাধারাকে সমর্থনও করছে। মার্কিন নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের বিষয়ে প্রমাণের জন্য ইলেকটোরাল কলেজের ১০ জন সদস্য জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার পরিচালকের কাছ থেকে একটি ব্রিফিং দেয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন। এ ইলেকটোরাল কলেজের সদস্যদের মধ্যে নয়জন ডেমোক্র্যাট এবং একজন রিপাবলিকান।
হিলারির প্রচারণা শিবিরের প্রধান জন পোডেস্টা বলেছেন, এরই মধ্যে এ ধরনের উদ্যোগকে সমর্থন জানিয়েছেন তারা।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানে ইলেকটোরাল কলেজ পদ্ধতি চালু করেছেন অ্যালেক্সান্ডার হ্যামিলটন। তিনি একসময় লিখেছিলেন, কোনো অযোগ্য কিংবা বিদেশি শক্তির দ্বারা প্রভাবিত ব্যক্তি যাতে প্রেসিডেন্ট হতে না পারেন সেজন্য যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানে ইলেকটোরাল কলেজ পদ্ধতি চালু করা হয়েছিল। যে ১০ জন জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার কাছে ব্রিফিং-এর জন্য অনুরোধ করেছেন, তাদের যুক্তি হচ্ছে রাশিয়ার হ্যাকাররা ডেমোক্র্যাটিক পার্টি এবং হিলারি ক্লিনটনের প্রচারণার সাথে জড়িত কর্মকর্তাদের যোগাযোগ ব্যবস্থা টার্গেট করে তথ্য নিতে চেয়েছিলেন। এর উদ্দেশ্য ছিল ডনাল্ড ট্রাম্পকে সহায়তা করা। এ সংক্রান্ত প্রমাণ গোয়েন্দাদের কাছে আছে বলে তারা উল্লেখ করেন।
কোনো কোনো বিশ্লেষক বলছেন, যিনি এ ধারণার প্রবর্তন করেছেন, তিনি কখনো ইচ্ছা পোষণ করেননি যে ইলেকটোরাল কলেজের সদস্যরা তাদের বিবেচনা অনুযায়ী কাজ করবেন। সব কিছুর পরও বাস্তবতা হচ্ছে, ট্রাম্প বেশ দুর্বল সমর্থন নিয়ে প্রেসিডেন্ট হিসেবে হোয়াইট হাউজে যাচ্ছেন। এছাড়া তার ইলেকটোরাল কলেজ প্রাপ্তির সংখ্যা ৫৬ শতাংশ। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এ পর্যন্ত ৫৮টি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ইলেকটোরাল কলেজ প্রাপ্তির বিবেচনায় ট্রাম্পের অবস্থান ৪৬তম। সেটিও ট্রাম্পের সমর্থনের একটি দুর্বল দিক।

এখানে ক্লিক করে শেয়ার করুণ